Title | মাই আমব্রেলা |
Author | তানিম কবির |
Publisher | আদর্শ |
Edition | 1st Published, 2016 |
Number of Pages | 63 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
save
৳ 30মাই আমব্রেলা
৳ 120৳ 150
You Save: ৳ 30 (20%)
Customer Reviews
There are no reviews yet.
Credit/Debit card, bKash, Rocket, Nagad, Cash on Delivery is also available
Change of mind is not applicable
Inside Dhaka City Tk. 50 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh) Tk. 100
সুকান্ত ভট্টাচার্য ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কলকাতার তার মায়ের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়। পিতা নিবারণ ভট্টাচার্য, মা সুনীতি দেবী।
নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের এই সন্তান অল্প বয়সেই শোষিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করে তোলেন। বঞ্চনাকাতর মানুষের জীবন-যন্ত্রণার চিত্র যেমন তার কবিতায় অঙ্কিত হয়েছে, তেমনি প্রতিবাদ ও বিদ্রোহের সুর উচ্চারিত হয়েছে। তিনি সেকালের দৈনিক পত্রিকা ‘স্বাধীনতার কিশোর সভা’ অংশের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। আমৃত্যু তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
আট-নয় বছর বয়স থেকেই সুকান্ত লিখতে শুরু করেন। স্কুলের হাতে লেখা পত্রিকা ‘সঞ্চয়’-এ একটি ছোট্ট হাসির গল্প দিয়ে লেখালেখিতে আত্মপ্রকাশ করেন। কিছুদিন পরে ‘শিখা’ কাগজে ছাপা হয় তার লেখা। তার রচনাবলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো: ছাড়পত্র, পূর্বাভাস, মিঠেকড়া, অভিযান, ঘুম নেই, হরতাল, গীতিগুচ্ছ প্রভৃতি।
সুকান্ত ভট্টাচার্য ১৯৪৭ সালের ১৩ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
মোস্তফা হামেদী
জন্ম: ২৭ আগস্ট, ১৯৮৫, দেইচর, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। প্রভাষক, বাংলা বিভাগ, সরকারি মুজিব কলেজ, নোয়াখালী।
প্রকাশিত বই
মেঘ ও ভবঘুরে খরগোশ [কবিতা, কা বুকস, ঢাকা, ২০১৫]
তামার তোরঙ্গ [কবিতা, জেব্রাক্রসিং প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৮]
জড়োয়া [কবিতা, তবুও প্রয়াস, নদীয়া, ভারত, ২০১৯]
শেমিজের ফুলগুলি [কবিতা, প্রিন্ট পোয়েট্রি, ঢাকা, ২০২০]
ঋতুরহস্যের ধারে [কবিতা, ঐতিহ্য প্রকাশন, ঢাকা, ২০২২]
পুরস্কার
হিমেল বরকত কবিতা পুরস্কার ২০২০ [শেমিজের ফুলগুলি কাব্যের জন্য]
আধুনিক ছড়া সাহিত্যে নিজস্বধারা তৈরি করে আনজীর লিটন দৃঢ়তার সঙ্গে নিবেদিত শিশুসাহিত্যের ভুবনে। শিশু-কিশোরদের জন্য গল্প, ছড়া, উপন্যাস ও নাটক রচনার মধ্য দিয়ে তার লেখা আঙ্গিকের নতুনত্বে ও বিষয়ের অভিনবত্বে ছোটদের এবং বড়দের কাছে প্রিয়। তার ছড়ায় বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে লোকবাংলার আধুনিক রূপ। জন্ম ১৭ জুন ১৯৬৫, ময়মনসিংহে। পিতা আবদুল হাকিম। মাতা জামিলা খাতুন। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাসের পর ভর্তি হন আনন্দ মোহন কলেজে। কলেজজীবন শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সসহ মাস্টার্স করেন।
তিনি ২০০০ সালে প্রথম প্রবর্তিত এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন ‘গুডবয় ব্যাডবয়’ ছড়াগ্রন্থের জন্য। ২০১৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার লাভ করেন ‘ও ছড়া তুই যাস কই’ ছড়াগ্রন্থের জন্য। শিশুসাহিত্যে অবদান রাখায় ছড়াগ্রন্থ ‘বিড়ালটি সিমকার্ড খেয়ে ফেলেছে’ এবং ‘ছোটদের নাটিকা’ গ্রন্থের জন্য পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক-বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, কিশোর উপন্যাস গ্রন্থ ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’র জন্য পেয়েছেন সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার। অর্জন করেছেন ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব পদক, বাংলাদেশ পাবলিক লাইব্রেরি একুশে সাহিত্য পুরস্কার, টেলিভিশন দর্শক ফোরাম পুরস্কার এবং ভারতের কুসুমের ফেরা সাহিত্য পুরস্কারসহ অন্যান্য সম্মাননা।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি বুয়েটের ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে বুয়েট থেকে যন্ত্রকৌশল বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেয়া জাতীয় কবিতা পরিষদের তিনি চার মেয়াদে (২০০৭-২০১৫) সভাপতি ছিলেন।
কবি হিসেবে হাবীবুল্লাহ সিরাজীর বিকাশ ষাটের দশকের শেষ দিকে। এই দশকে অনেক মেধাবী ও জনপ্রিয় কবি থাকা সত্ত্বেও হাবীবুল্লাহ সিরাজীর কাব্যাঙ্গন ষাটের মূল প্রবণতা থেকে প্রাতিস্বিক।
হাবীবুল্লাহ সিরাজীর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৩৫। এছাড়াও তার ১০টি পদ্য/ছড়াগ্রন্থ, ২টি উপন্যাস, ২টি প্রবন্ধ, ১টি স্মৃতিকথা প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলা সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি-স্বরূপ তিনি যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৭), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯), বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯১), বিষ্ণু দে পুরস্কার (২০০৭), রূপসী বাংলা পুরস্কার (২০১০) ও একুশে পদক (২০১৬) লাভ করেন।
কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন। ক্যানসারে আক্রান্ত হাবীবুল্লাহ সিরাজী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মে ২০২১ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলা সাহিত্যের এই মহান কবি ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
]কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালের ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা কাজী ফকির আহমদ এবং মা জায়েদা খাতুন।
১৮ বছর বয়সে নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। ২৩ বছর বয়সে তিনি বিদ্রোহী কবিতা লিখে রাতারাতি বিদ্রোহী কবি হিসেবে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। তাঁর রচিত চল্ চল্ চল্ বাংলাদেশের রণসংগীত।
১৯৪২ সালে তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। ১৯৭২ সালের ২৪ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নজরুলকে ঢাকায় নিয়ে আসেন এবং জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করেন। অসামান্য সাহিত্যপ্রতিভার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি লিট ডিগ্রি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী স্বর্ণপদক, ভারতের পদ্মভূষণসহ অসংখ্য পদক, পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।
মাত্র ২০ বছরের সাহিত্যজীবনে তিনি অজস্র কবিতা, গান, গল্প, নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তাঁর অগ্নি-বীণা, বিষের বাঁশী, সাম্যবাদী, দোলন-চাঁপা, সিন্ধু-হিন্দোল প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ; ব্যথার দান, রিক্তের বেদন প্রভৃতি গল্পগ্রন্থ; বাঁধন-হারা, মৃত্যুক্ষুধা প্রভৃতি উপন্যাস; ঝিলিমিলি, আলেয়া প্রভৃতি নাটক; যুগবাণী, রাজবন্দীর জবানবন্দী প্রভৃতি প্রবন্ধগ্রন্থ; রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম, রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ প্রভৃতি অনুবাদগ্রন্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য রচনা।
ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি মূলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। নজরুল প্রায় তিন হাজার গান লিখেছেন এবং অধিকাংশে সুর দিয়েছেন যেগুলো এখন নজরুল-সংগীত বা নজরুল-গীতি নামে পরিচিত।
বাংলা সাহিত্যের এই মহান কবি ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শামসুর রাহমানের জন্ম ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর, ঢাকার মাহুতটুলিতে। বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী ও মা আমেনা বেগম।
জীবদ্দশাতেই তিনি বাংলাদেশের প্রধান কবি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ওপর লিখিত তার দুটি কবিতা খুবই জনপ্রিয়। কবিতার পাশাপাশি তিনি গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কলাম, স্মৃতিকথাও লিখেছেন। তার প্রকাশিত ৬৬টি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ১৪টি ছড়াগ্রন্থ। ছোটদের জন্য চমৎকার সব ছড়া লিখেছেন তিনি। ছড়াগ্রন্থগুলো হলো: এলাটিং বেলাটিং, ধান ভানলে কুঁড়ো দেবো, গোলাপ ফোটে খুকির হাতে, রঙধনুর সাঁকো, লাল ফুলকির ছড়া, আগুনের ফুলকি ছোটে, নয়নার জন্যে, ইচ্ছে হলো যাই ছুটে যাই, তারার দোলনায় দীপিতা, সবার চোখে স্বপ্ন, চাঁদ জেগেছে সবার চোখে, আমের কুঁড়ি জামের কুঁড়ি, হীরার পাখির গান ও গোছানো বাগান।
তার অধিকাংশ ছড়ার মধ্যেই ফুটে উঠেছে শিশুদের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা। তার ছড়ায় আছে ছোটদের মনভোলানোর রূপকথার কাহিনি, আছে স্বপ্নরাজ্যের হাতছানি।
তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কারসহ দেশের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার ও পদক পেয়েছেন। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট, ৭৬ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
জন্ম কুষ্টিয়ার হাজরাহাটী গ্রামে। বেড়ে উঠেছেন ট্রাডিশনাল হিন্দু ফ্যামিলিতে। ছেলেবেলা কেটেছে প্রচুর বই পড়ে। যৌথ পারিবারিক আবহে সময়টা ছিল কালারফুল। বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে থেকেছেন অনেক জায়গায়। স্কুলজীবন ধারাবাহিক ছিল না। উচ্চশিক্ষাও স্থিতিশীল হয়নি। আইইবি (বুয়েট)-এ সিভিলে অনার্সে ভর্তি হন। তিন বছর পড়ে ভালো না লাগায় সেখানকার পাঠ চুকান। সিনেমার নেশা ছিল আগে থেকেই। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে সিনেমা নিয়ে পড়ছেন। মেইনস্ট্রিম সিনেমায় কাজ করেন। স্ক্রিপ্ট সুপারভাইজার, এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার, ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। ভালো লাগে লিখতে।
চঞ্চল আশরাফ
কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও সমালোচক। জন্ম: ১২ জানুয়ারি, ১৯৬৯; ফেনী। বাবা ডা. মাহবুবুল হক, মা তাহেরা বেগম চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর।
প্রকাশিত গ্রন্থ
কবিতা: ‘চোখ নেই দৃশ্য নেই’ (১৯৯৩), ‘অসমাপ্ত শিরদাড়া’ (১৯৯৬), ‘ও-মুদ্রা রহস্যে মেশে’ (২০০২), ‘গোপনতাকামী আগুনের প্রকাশ্য রেখাগুলো’ (২০০৮), ‘খুব গান হলো, চলো’ (২০১২), ‘কবিতাসংগ্রহ’ (২০১৬); গল্প: শূন্যতার বিরুদ্ধে মানুষের জয়ধ্বনি’ (১৯৯৯), ‘সেই স্বপ্ন, যেখানে মানুষের মৃত্যু ঘটে’ (২০০৭), ‘কোথাও না অথচ সবখানে’ (২০১২), ‘নির্বাচিত গল্প’ (২০১৯); উপন্যাস ও নভেলা: ‘কোনো এক গহ্বর থেকে’ (১৯৯৭), ‘যে মৎস্যনারী’ (২০১১), ‘হাওয়া, মৃতের শহরে’ (২০১৮); প্রবন্ধ: ‘কবিতার সৌন্দর্য ও অন্যান্য বিবেচনা’ (২০১১); কোষগ্রন্থ: ‘সাহিত্যের পরিভাষা’ (২০১৪); স্মৃতি: ‘আমার হুমায়ুন আজাদ’ (২০১০): সম্পাদনা: জীবনানন্দ দাশের নির্বাচিত কবিতা’ (২০২৪)
Be the first to review “মাই আমব্রেলা”