ছাওইয়ানহুয়া
জন্ম ও বেড়ে ওঠা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে। লেখাপড়া করেছেন ‘কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটি অব চায়না’র বাংলা বিভাগে ও বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে।
ঢাকায় চীনা দূতাবাসে কাজ করেছেন দু’বছর। বর্তমানে চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)-র বাংলা বিভাগে উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভালোবাসেন ঘুরে বেড়াতে।
এনামুল হক টুটুল
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদীর তীরে এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নাট্যকলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০১৪ সাল থেকে বেইজিংয়ে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের (সিআরআই)-র বাংলা বিভাগে ‘বিদেশি বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি ২০১৬ সাল থেকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন ‘কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটি অব চায়না’র বাংলা বিভাগে। ভালোবাসেন সমুদ্র, পাহাড় আর দিগন্তবিস্তৃত সবুজ প্রকৃতি।
তাকে যদি বলা হয় একদল উৎসুক মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানের কোনো একটা জটিল বিষয় বোঝাতে, সেটা অনেকটা মাছকে পানিতে সাঁতার কাটতে বলার মতো হয়ে যায়। এমন অনায়াসে তিনি কাজটি করতে পারেন, ভালোবাসেন বলেই। পেশায় প্রকৌশলী, কিন্তু মনে-প্রাণে তিনি একজন শিক্ষক। জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম অন্যরকম পাঠশালা এবং টেন মিনিট স্কুলের জন্যে তিনি শতাধিক লেকচার দিয়েছেন বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে। এনটিভির পর্দায় প্রচারিত তার বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বিজ্ঞানে আনন্দ’ শিশু-কিশোরদের বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তুলছে। আর যারা সরাসরি তার ক্লাস করেছে, তারা তো ভালোভাবেই জানে তার রকম-সকম! বলার মতো লেখাতেও তিনি সমান স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ছোটদের প্রিয় অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের ম্যানুয়াল বই, গল্পের সুন্দর লেখাগুলোর বেশ কিছু রাতুল খানেরই করা! আইডিয়াল স্কুল, নটরডেম কলেজ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) কাটে তার শিক্ষাজীবন। যেখানেই গেছেন, সেখানেই শেখা এবং শেখানোর জন্যে কাজ করেছেন। ভবিষ্যতেও তাই করতে চান। রাতুল খান বর্তমানে কর্মরত আছেন অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে।
মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনির্ভাসিটি অব নর্থ ডাকোটার কলেজ অব এডুকেশন এন্ড হিউম্যান ডেভলপমেন্ট-এর অধীনে এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ বিভাগে পিএইচডি করছেন। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু হলেও শিক্ষা ও গবেষণার প্রতি প্রবল আগ্রহ থেকেই বর্তমানে তিনি শিক্ষা গবেষক। কাজ করেছেন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)-এ সহকারী বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তিনি ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আই.ই.আর) হতে শিক্ষা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান), শিক্ষায় মূল্যায়ন ও গবেষণা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে পরবর্তীকালে শিক্ষা বিষয়ে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন।
এছাড়াও তিনি ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, ইউএনএইচসিআর, আইওএম, সেইভ দ্যা চিলড্রেন, প্লান ইন্টারন্যাশনাল, ব্রিটিশ কাউন্সিল, ইংলিশ ইন এ্যাকশন, মেরী স্টোপস বাংলাদেশসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে গবেষণা পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর বিশের অধিক গবেষণা প্রবন্ধ ইতোমধ্যে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যৌথভাবে তাঁর দুইটি বই যথাক্রমে ২০১৩ সালে ‘Academic Educational Research in Bangladesh: Methodological Trends’ জার্মানি থেকে এবং ২০১৫ সালে ‘Impact of Connecting Schools: Project on Students’ Achievement’ বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ২০২১ সালের বইমেলায় বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কর্মসহায়ক গবেষণা নামে একটি বই প্রকাশিত হয়।
Be the first to review “ব্যবহারিক ব্যাকরণ”