তত্ত্বতালাশ ষষ্ঠ সংখ্যা প্রকাশিত হল, এবং তা মোটামুটি সময়ক্রম রক্ষা করে। একদিক থেকে একে সাফল্য বলা যায়; বিশেষত, উপযোগী লেখার অভাবের কারণে যথাসময়ে পত্রিকা বের করতে পারব কি না–প্রথম সংখ্যার সম্পাদকীয়তে প্রচারিত এমন আশঙ্কার কথা মনে রাখলে। পাঠক-সংখ্যার দিক থেকে বলা যায়, এ ধরনের একটা পত্রিকা সংখ্যার হিসাবে যতটা গৃহীত হবে বলে আমরা অনুমান করেছিলাম—প্রকাশক ও বিপণনকারীদের তরফে জেনেছি—তা মোটের উপর পাওয়া গেছে। পত্রিকাটির ব্যাপারে পাঠকদের কৌতূহল—ব্যক্তিগত আলাপে যতটা জেনেছি—সন্তোষজনক বলা চলে।
তবে যাকে বলা যায় সক্রিয় পাঠক, তা যথেষ্ট পাওয়া গেছে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। প্রকাশিত লেখার উপর প্রতিক্রিয়া ছাপানোর ব্যাপারে প্রথম থেকেই আমাদের আগ্রহ ছিল। তা আমরা খুব একটা করতে পারিনি। ব্যক্তিগত আলাপে বা লোক-মারফতও খুব নিবিড় পাঠের খবর খুব বেশি পাইনি। এর কারণ কী হতে পারে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া অবশ্য সহজ কাজ নয়। আপাতত আমরা পাঠকদের আগ্রহ ও কৌতূহলের উপর ভরসা রাখতে চাই।
তিন-চার সংখ্যা প্রকাশের পর থেকে বিষয়ভিত্তিক সংখ্যা করার প্রতি মনোযোগ দেব ভেবেছিলাম। প্রথম সংখ্যায় আমরা সে ঘোষণাও দিয়েছিলাম। কিন্তু বলতেই হবে, ছয় সংখ্যায় মোট যে পরিমাণ লেখকের সাথে আমাদের যোগাযোগ তৈরি হয়েছে, তার উপর ভরসা করে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার সাহস আমরা পাইনি। যারা লেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তাদের হিসাবের মধ্যে আনলে সংখ্যাটা নেহায়েত কম হবে না। কিন্তু শুধু আগ্রহের ভিত্তিতে ‘কাজের’ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে ধরে নেয়া নিশ্চয়ই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। নিজেদের পরিকল্পনা মোতাবেক লেখা পাওয়ার উচ্চাভিলাষ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সম্ভবত আরো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
লেখক হিসাবে যাদের সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়নি, আমরা তাদের লেখার আহবান জানাই। জানি, কাজটা সহজ নয়। একদিকে প্রকাশের বিচিত্র মাধ্যম ও উপায় থাকায় অনেকেই হয়ত একটা বিশেষ পত্রিকার ব্যাপারে অনাগ্রহী হতে পারেন। অন্যদিকে, যে ধরনের লেখা আমরা ছাপতে চাই, তা যথেষ্ট পরিশ্রম-সাপেক্ষ; অথচ প্রাপ্তিযোগ অতি সামান্য। তবু, এমন হওয়া খুবই সম্ভব যে, কেউ একজন কোনো বক্তব্য বা ‘জ্ঞান’ প্রকাশ করতে চান, এবং পত্রিকার মেজাজ ও পরিসর বিবেচনায় তত্ত্বতালাশ সে চাওয়ার সঙ্গী হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। এমন হলে, আমরা অনুরোধ করব, লেখার পরে বা আগেই আমাদের জানতে দিন। এমনও হতে পারে, আপনার আগ্রহ আর আমাদের আগ্রহে যথেষ্ট ঐক্য আছে।
লেখক ও পাঠকের জন্য শুভকামনা।
তত্ত্বতালাশ ৬ (ষষ্ঠ সংখ্যা, অক্টোবর ২০২২)
৳ 200
Title | তত্ত্বতালাশ ৬ |
Author | মোহাম্মদ আজম |
Publisher | আদর্শ |
ISBN | 978-984-96774-3-7 |
Edition | প্রথম প্রকাশ |
Number of Pages | 184 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
Category | ত্রৈমাসিক/quterly |
মোহাম্মদ আজম
জন্ম ২৩ আগস্ট, ১৯৭৫ নোয়াখালীর হাতিয়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত।
বাংলা ভাষার উপনিবেশায়ন ও বি-উপনিবেশায়ন নিয়ে গবেষণা করে পিএইচ ডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। প্রবন্ধ ও সমালোচনা লিখে থাকেন। আগ্রহের বিষয় সাহিত্য, নন্দনতত্ত্ব, ইতিহাস, রাজনীতি ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন। ছোট-বড় শতাধিক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। অনুবাদ করেছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু তাত্ত্বিক রচনা।
প্রকাশিত গ্রন্থ : বাংলা ও প্রমিত বাংলা সমাচার [প্রথমা, ২০১৯]। বাংলা একাডেমি থেকে বেরিয়েছে সম্পাদিত গ্রন্থ নির্বাচিত কবিতা : সৈয়দ আলী আহসান [২০১৬]। কবি ও কবিতার সন্ধানে এবং বাংলাদেশ : সাংস্কৃতিক রাজনীতি ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি নামে দুটি বই প্রকাশের পথে। এখন কাজ করছেন হুমায়ূন আহমেদের উপর পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ প্রণয়নের লক্ষ্যে।
Customer Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “তত্ত্বতালাশ ৬ (ষষ্ঠ সংখ্যা, অক্টোবর ২০২২)”