প্রতিটি মানুষের কিছু স্বপ্ন থাকে। জীবনের শুরুতে, মাঝখানে এবং শেষে সেই স্বপ্নগুলোর মধ্যে ধারণাগত কিছু পার্থক্য থাকলেও সেগুলোকে বাস্তবায়ন করতে বেশ সময় লেগে যায়। স্বপ্ন পূরণে মানুষকে সহযোগিতা করতে পারে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের সহায়ক কাঠামোগুলো কিছুটা বুদ্ধিমান হলেই প্রতিটি মানুষের চাহিদা আলাদা করে মেটানো সম্ভব। কেউ যদি শেষ জীবনে একটা ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরির স্বপ্ন দেখেন, তার জন্য বিভিন্ন ছাড়পত্র, জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে সব ধরনের সুবিধা দিতে পারে রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রযন্ত্রের দক্ষতা বাড়াতে মানুষের পাশাপাশি হাত লাগাতে হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। তবে শুরুতে লাগবে ডেটার ব্যবহার।
একটা মানুষের প্রায় প্রতিটি তথ্য রাষ্ট্রের কাছে থাকলে জনগণের মুখ ফুটে চাওয়ার আগে যেকোনো নাগরিক সুবিধা দিতে তৈরি হতে পারে ডেটা নির্ভর আগাম ধারণার প্রশাসন। মানুষের জন্মের পরে তাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিটি নাগরিকের জন্য সর্বজনীন ন্যূনতম ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থাপনা, সবার জন্য আলাদা করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা (প্রতিটি মানুষ আলাদা বলে তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসার পারমিট ইত্যাদির জন্য চাহিদা ভিন্ন হবে) ইত্যাদি সরকারি সেবা সহজীকরণের কিছু ব্লু প্রিন্ট এসেছে এই বইটিতে।
save
৳ 160কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় মানবিক রাষ্ট্র
৳ 640৳ 800
You Save: ৳ 160 (20%)
Title | কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় মানবিক রাষ্ট্র |
Author | রকিবুল হাসান |
Publisher | আদর্শ |
ISBN | 978-984-95648-8-1 |
Edition | 1st Published, 2021 |
Number of Pages | 328 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
“স্কুলে থাকতেই রেডিও কমিউনিকেশন নিয়ে ভালোবাসায় পড়ে যান লেখক। ১৯৭০ সালে ঢাকায় জন্ম নেওয়া লেখকের ছোটবেলার ঢাকার স্কাইলাইন ফাঁকা ছিল অনেকটাই। ফলে বাসার ছাদই পাল্টে গিয়েছিল ‘রেডিও অ্যানটেনা’ হিসেবে। দূরের দুর্বল সিগন্যালকে ‘অ্যামপ্লিফাই’ করার ধারণা নিতে নিতেই চলে যেতে হয় ক্যাডেট কলেজে।
ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনের প্রতি ‘অসম্ভব’ দুর্বলতা তাকে নিয়ে আসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরে। মার্কিন সেনাবাহিনীর সিগন্যাল স্কুল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সত্তরের বেশি ট্রেনিং জুটেছে তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে। পাশাপাশি ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির কোর্সেরার ‘লার্নিং হাউ টু লার্ন’ কোর্স নতুন জিনিস শেখার ব্যাপারে পাল্টে দেয় তার দৃষ্টিভঙ্গি। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনে প্রায় সাত বছরের অভিজ্ঞতা দিয়েছে অন্যভাবে চিন্তা করতে। সরাসরি কাজ করেছেন কোটি কোটি ডেটা রেকর্ডকে সরকারি প্রজ্ঞায় যুক্ত করতে।
২০০৯ সালে জাতীয় স্কেলে প্রতিটি টেলিকম অপারেটরের কোটি কোটি মিনিটের ‘ইন্টারকানেকশন ভয়েস কল কস্ট মডেলিং’ তৈরিতে সহযোগিতা করতে গিয়ে তার ধারণা পাল্টায় ডেটার ব্যাপারে। সরকারি কাজের ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে বড় বড় ডেটা ইন্টারমেডিয়ারি (গুগল, ফেসবুক ইত্যাদি) এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইটিইউ, বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য এজেন্সি) সঙ্গে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে সরকারি ‘ন্যাশনাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স স্ট্র্যাটেজি ডেভেলপমেন্ট’ ওয়ার্কিং গ্রুপকে সহযোগিতা করছেন। পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’-এ ‘পিএইচডি রিসার্চার’ হিসেবে কাজ করছেন নীতিনির্ধারণীদের জন্য সরকারি ডেটা ব্যবহারের দক্ষ ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে। এখন তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে প্রেষণে ‘ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার’-এ কর্মরত।
“
Customer Reviews
There are no reviews yet.
Frequently Bought Together
500 টাকার বই অর্ডারে 15% অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট
Be the first to review “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় মানবিক রাষ্ট্র”