আধুনিক বিজ্ঞানে বাংলাদেশি নবীন তারকা, ড. মাহ্দী রহমান চৌধুরী ও জনাব রাতুল খান রচিত ‘আলো ও তড়িৎ-চুম্বক’ বইটি মায়ের ভাষায় লিখিত আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের একটি বিরল পাঠ্যপুস্তকের স্থানলাভ করবে বলে আমি মনে করি। বইটিতে পদার্থবিজ্ঞানের অনেক জটিল বিষয়কে যথোপযুক্ত উপমা ও কার্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে যা এক কথায় অতুলনীয়।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ।
যেদিন জানলাম ড. মাহ্দী রহমান চৌধুরী পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলায় একটি বই লিখছে, সেদিন থেকেই বইটি দেখার প্রচণ্ড আগ্রহ জমিয়ে রেখেছিলাম। এই বইয়ের প্রতিটি পাতা, প্রতিটি লাইনে লেখকদের মৌলিক চিন্তার প্রতিফলন পাওয়া যায়। পদার্থবিজ্ঞানের আলো ও তড়িৎ-চুম্বক তত্ত্বের ওপর একটি বইকে কার্টুন দিয়ে যৌক্তিক প্রবাহ ঠিক রেখে লেখা দারুণ ব্যাপার। আমার ধারণা এই বইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে বাংলায় বিজ্ঞানের মৌলিক বই লেখার একটা ধারা তৈরি হবে। সেই ধারার অগ্রদূত হিসেবে লেখকদ্বয়কে আমার শুভেচ্ছা।
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ।
ড. মাহ্দী রহমান চৌধুরী বর্তমানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৮৭ সালের ১২ অক্টোবর দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা ক্যাডেট কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে পড়েছেন বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে তার পিএইচডি থিসিস জমা দেওয়ার পরপরই তিনি ২০১৭ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন। এখন পর্যন্ত তিনি ৩১টি আন্তর্জাতিক জার্নাল আর্টিকেল প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে পাঁচটি নেচার পাবলিশিং গ্রুপে প্রকাশিত। ২০১৮-২০ সালে গবেষণায় অবদানের কারণে তাকে ২০২১ সালের অন্যতম সেরা গবেষক পুরস্কার দেয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও ২০১৮ সালে তিনি World Academy of Science (TWAS) থেকে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুদান পেয়েছেন।
পেশায় প্রকৌশলী, কিন্তু মনে প্রাণে তিনি একজন শিক্ষক। জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম অন্যরকম পাঠশালা ও টেন মিনিট স্কুলে পদার্থবিজ্ঞানের ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে বিজ্ঞানচর্চা জনপ্রিয়করণের জন্য তার চেষ্টার অন্ত নেই। ছোটদের সায়েন্স কিট, বিজ্ঞানভিত্তিক বই রচনা এবং বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েব কনটেন্ট ও টিভি অনুষ্ঠান নিয়ে কাজ করছেন তিনি। আইডিয়াল স্কুল, নটরডেম কলেজ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) কাটে তার শিক্ষাজীবন। যেখানেই গেছেন, সেখানেই শেখা এবং শেখানোর জন্য কাজ করেছেন, ভবিষ্যতেও তা-ই করতে চান। রাতুল খান বর্তমানে কর্মরত আছেন অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে।
Customer Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “আলো ও তড়িৎ চুম্বক”