গৌতম দাসের জন্ম ১৯৬২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি, দিনাজপুরে। বুয়েটের ছাত্র থাকা অবস্থায় এরশাদ-বিরোধী তিরাশির ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। বুয়েটের লেখাপড়া শেষ হওয়ার আগেই রাজনীতির সূত্রে লেখাপড়ায় ইস্তফা দিয়ে বুয়েট থেকে বেরিয়ে আসেন।
পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের পরে অবশ্য আবার বুয়েটে ফিরে গিয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন। দেশে চাকরি করেছেন। এরপর জাতিসংঘ মিশনে চাকরিসূত্রে এবং পারিবারিক কারণে দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ আফ্রিকার নানা দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
পুরানা কমিউনিস্ট আন্দোলনকে ফিরে দেখা ও রিভিউ, আর রাষ্ট্রবিষয়ক তত্ত্ব ও ধারণা তাঁর প্রিয় বিষয়। সেই সাথে আরেক গুরুত্বপূর্ণ স্টাডির জায়গা অবিভক্ত ভারত, হিন্দু জাতি-রাষ্ট্রের ভারত, আর এদিকে ওয়ার অন টেররের পরিণতি। এছাড়া মোস্ট বার্নিং ইস্যু গ্লোবাল রাজনীতির বাঁকবদল, নেতা হিসেবে আমেরিকার বদলে চীনের উত্থান; সেই সুত্রে আমাদের আঞ্চলিক রাজনীতির অন্দরের নড়াচড়া আর তার বিশ্লেষণ— এগুলোও তার লেখার প্রিয় বিষয়।
এছাড়া, দৈনিক নয়া দিগন্ত ও অন্য কিছু পত্রিকায় তিনি নিয়মিত রাজনৈতিক বিশ্লেষণমূলক কলাম লিখে থাকেন। এককথায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পুরানা সব রাজনৈতিক বয়ান রিভিউ করা আর ভুল সংশোধনে সেসবের উপর নয়া বয়ান ও প্রভাবশালী বদল আনা তার রাজনৈতিক লক্ষ্য।
প্রকাশিত গ্রন্থ
কার্ল মার্কসের জর্মান ভাবাদর্শ (অনুবাদ), আগামী প্রকাশনী, ২০০৯
একদেশে সমাজতন্ত্র ও বিপ্লবে কৃষকের ভূমিকার প্রশ্নে, প্রতিপক্ষ প্রকাশনী, ১৯৯০
চীন: গ্লোবাল অর্থনীতিতে নতুন নেতা, একাদেমিয়া প্রকাশনী, ২০১৮
নতুন নেপাল, একাদেমিয়া প্রকাশনী, ২০১৮
Be the first to review “নীলখাতা”