ঘুম নিয়ে ফরিদের বিচিত্র সমস্যা আছে।
তার ঘুম কখনোই সময়মতো ভাঙে না। সকাল নয়টায় অফিস। সাতটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়া উচিত, কিন্তু কখনোই সেটা হচ্ছে না। এই সমস্যা মোকাবেলায় ফরিদ মোবাইলে বিশেষ ধরনের এলার্ম সেট করেছে। খুবই বিকট স্বরের একটা এলার্ম। ফরিদের ধারণা, ঘুমন্ত মানুষ তো বটেই, এই এলার্মের শব্দে মিশরের মমি পর্যন্ত উঠে বসবে। কিন্তু তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না।
ছুটির দিনের কথা অবশ্য ভিন্ন। এ সময় এলার্ম ঘড়ি বন্ধ রাখা হয়। রহস্যময় কারণে, ছুটির দিনে ফরিদের ঘুম ভাঙে অতি প্রত্যুষে। হালকা নিদ্রাভঙ্গ নয়। পরিপূর্ণভাবে জেগে ওঠা, শরীরে এক বিন্দু ক্লান্তি থাকে না। বিছানায় এপাশ ওপাশ করেও সেই ঘুমকে আর ফেরানো যায় না। ছুটির দীর্ঘ সকাল কাটানো দুরুহ হয়ে পড়ে।
আজ ছুটির দিন নয়। তবু কাকডাকা ভোরে ফরিদের ঘুম ভেঙে গেল। আকাশ পুরোপুরি আলোয় ভরে উঠেনি। আবার অন্ধকারও পুরোটা বিদায় নেয়নি। মনে হচ্ছে, আলো এবং অন্ধকার পরস্পর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। কে সম্পূর্ণ পৃথিবী দখল করে নেবে, এই নিয়ে তারা দ্বিধাগ্রস্ত।
চন্দ্রমুখী এই দ্বিধাময় সময়ের গল্প। আলোর গল্প, অন্ধকারের গল্প এবং আলো ও অন্ধকারের অসম লড়াইয়ের গল্প।
save
৳ 40চন্দ্রমুখী
৳ 160৳ 200
You Save: ৳ 40 (20%)
Title | চন্দ্রমুখী |
Author | আশীফ এন্তাজ রবি |
Publisher | আদর্শ |
ISBN | 978-984-9266-35-8 |
Edition | ১ম প্রকাশ ২০১৮ |
Number of Pages | 87 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী লেখক আশীফ এন্তাজ রবির জন্ম ঢাকায়। ১৯৭৭ সালের ২১ আগস্টে। তখন মসজিদে ফজরের আযান হচ্ছিলো, সেই পবিত্র প্রত্যুষে বাংলা গল্পের এই বরপুত্র ভূমিষ্ট হোন।
শৈশবেই তিনি রিমেটিক ফিভার নামক বিরল রোগে আক্রান্ত হোন। এই কালাত্মক ব্যাধির কারণে তার গা সবসময় ম্যাজ ম্যাজ করে, হাতে পায়ে অসহনীয় ব্যথা। প্রখ্যাত শিশুরোগ বিশেজ্ঞ ড. এম আর খান তার চিকিৎসা করেন। এই চিকিৎসার গুণেই যৌবণে পর্দাপন করার আগেই এই সুমহান শিল্পী রোগমুক্ত হোন। তার শরীরের ব্যথা চলে গেলেও কিছু ব্যথা তার হাতের আঙুলে রয়ে যায়।
মূলত এই ব্যথার কারণেই বাংলা সাহিত্যের এই দিকপাল লেখালেখি কম করেন। তবে তিনি মুখে গল্প বলতে পটু, কেননা তার গলায় কোনো সমস্যা নেই। জনৈক জ্যোতিষী বলেছেন, কোনো মায়াবতী তার হাত ধরলে, তিনি এই ব্যধিমুক্ত হবেন। তার হাতের যন্ত্রণা লাগব হবে।
আশীফ এন্তাজ রবি তাই সকাতরে প্রায়ই বলেন, আমার জন্য না— বাংলা সাহিত্যের মুখের দিকে তাকিয়ে কোনো হূদয়বতী কি এগিয়ে আসবে না?
পৃথিবী তুমুল নিষ্ঠুর। কাজেই অদ্যাবধি কেউ এগিয়ে আসেনি। অগত্যা— দীর্ঘ চার বছর পর— হাতের যন্ত্রণা উপেক্ষা করে তিনি লিখেছেন নতুন উপন্যাস: চন্দ্রমুখী। নিঃসন্দেহে এই উপন্যাসটির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য একটি নতুন যুগে পদার্পন করল। দেশ ও জাতির জন্য এটা অনেক বড় একটি ঘটনা।
কিছু কিছু বড় ঘটনা মানুষের চোখ এড়িয়ে যায়। চন্দ্রমুখী লেখার ঘটনাটিও কারো চোখে পড়বে না বলেই লেখকের বিশ্বাস।
লেখক পরিচিতির এই নির্লজ্জ অংশটুকু আশীফ এন্তাজ রবি নিজেই লিখেছেন। বড় ঘটনার মতো এই তুচ্ছ ব্যাপারটিও মানুষের চোখ এড়িয়ে যাবে, এটাই তার প্রত্যাশা।
Customer Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “চন্দ্রমুখী”