ততদিন আল মাহমুদ কবি হিসেবেই খ্যাত ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত বের হওয়ার পরপরই বাংলা সাহিত্য আরেকটি ঝাঁকুনি খায়। সমকালীন লেখক, পাঠক ও সমালোচকরা নড়েচড়ে বসেন। তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থের পানকৌড়ির রক্ত ও জলবেশ্যা তো আজতক বাংলা সাহিত্যে এক ও অদ্বিতীয়ম। অনুভূতির এমন উত্তুঙ্গতা, ঘটনার এমন অভিনবত্ব, নির্মিতির এমন চমঙ্কারিত্ব বাংলা সাহিত্য আর দেখেনি।
প্রখ্যাত কথাশিল্পী আবু রুশদ মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশে আল মাহমুদের সমতুল্য অন্য কোনো কবির হাত থেকে এত কয়টা ভালো গল্প বেরিয়েছে বলে আমার জানা নেই। এটা তার সাহিত্যিক গুরুত্বে ঈর্ষণীয় এক মাত্রা যোগ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ স্রষ্টা আল মাহমুদের প্রথম গল্পগ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত-এর আদর্শ প্রকাশিত প্রথম সংস্করণ মাত্র এক বছরেই ফুরিয়ে যায়। দ্বিতীয় সংস্করণও পাঠকের সমান ভালোবাসা অর্জন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
Title | পানকৌড়ির রক্ত |
Author | আল মাহমুদ |
Publisher | আদর্শ |
ISBN | 978-984-8040-05-8 |
Edition | ১ম প্রকাশ ২০১৪ |
Number of Pages | 80 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ জুলাই তিতাস-এর পলি বিধৌত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে আল মাহমুদ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদ। প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর (১৯৬৩)। লোক লোকান্তর ও কালের কলস- মাত্র এ দুটি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কারে ভূষিত হন। সোনালি কাবিন (১৯৭৩) তাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌছায়। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী হন। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোট গল্পগ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত প্রকাশিত হয়। ১৯৯৩ সালে বের হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল। আল মাহমুদ সাংবাদিক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সাহিত্যপ্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি একুশে পদকসহ বেশ কিছু সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার ও জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কার অন্যতম। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি পাঁচ পুত্র ও তিন কন্যার জনক। মরহুমা সৈয়দা নাদিরা বেগম তাঁর স্ত্রী।
Be the first to review “পানকৌড়ির রক্ত”