কিশোর রচনা
৳ 240ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
উনিশ বছর বয়সে বিশেষ পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করে তিনি ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। বদান্যতার জন্য তিনি ‘দয়ার সাগর’ নামেও অভিহিত হন। ১৮৪১ সালে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রধান পণ্ডিত নিযুক্ত হন এবং পরে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ হন।
তিনিই প্রথম বাংলা গদ্যের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আবিষ্কার করেন এবং গদ্য ভাষায় যতিচিহ্ন যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন। ফলে তার গদ্য হয়ে ওঠে শৈলীসম্পন্ন। এ জন্য তাকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
১৮৫৫ সালের শিশুদের বাংলা বর্ণমালার প্রথম সার্থক গ্রন্থ ‘বর্ণ পরিচয়’ তারই লেখা। এ গ্রন্থ আজও বাংলা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে পথনির্দেশক। বেতাল পঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা, সীতার বনবাস, চরিতাবলী, ভ্রান্তিবিলাস প্রভৃতি গ্রন্থ তার প্রধান রচনা।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।৳ 300ভালোবাসার হাট-বাজার
৳ 160তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রটাই আমার জগৎ। লেখালেখারি মাধ্যমে চেষ্টা করে যাচ্ছি পাঠকদের এই জগতের নানান জানা–অজানা কথা জানাতে—কখনো সংবাদপত্রে লিখে, কখনো বই লিখে। আমার চিন্তার সবটাজুড়েই আছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাত।
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে সাংবাদিকতা করছি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে লেখালেখির মাধ্যমে তুলে ধরায় পেয়েছি বিভিন্ন স্বীকৃতি ও সম্মাননা। সাংবাদিকতার পাশাপাশি লেখক হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সফল গল্পগুলোও তুলে ধরছি এবং উপন্যাসে রূপ দিচ্ছি। এরই মধ্যে আমার আটটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বেশির ভাগ বই–ই লেখা তথ্যপ্রযুক্তি জগৎ ঘিরে।
আইটি সাংবাদিকতা করতে এসে দেখলাম, এই শিল্প খাত নিয়ে মানুষের মধ্যে খুব একটা সচেতনতা তৈরি হয়নি। আর তাই আমি এ বিষয় নিয়ে লিখতে শুরু করি। সাংবাদিকতার বাইরে এসে আমি এখন মৌলিক লেখার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি।
আমি আমার লেখার মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির কথা দেশ ও দেশের বাইরের মানুষদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আমার সবটুকু সময়ই শুধু তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংবাদ সংগ্রহ ও এ ক্ষেত্রে নিত্যনতুন গল্প নিজের লেখনীতে তুলে ধরা।
বর্তমানে আমি গুগল ডেভেলপার গ্রুপ (জিডিজি) বাংলার কমিউনিকেশন অ্যাসোসিয়েট ও সহকারী বাবস্থাপক এবং দেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আরও জানতে: www.rahitulislam.com ঠিকানায়।
রাহিতুল ইসলাম৳ 200মেয়েটি জিহাদে গিয়েছিল
৳ 320তন্ময় ইমরান
জন্ম ১৯৮৩ সালের ৫ নভেম্বর, ঢাকার শান্তিনগরের ফরিদা ক্লিনিকে। বাবা মুহাম্মদ আলী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী ছিলেন এবং মা আইরিন পারভীন গৃহিণী। নানার বাড়িতে বড় হয়েছেন।
বন্ধুরা জনি নামেই ডাকে। কেতাবি নাম— হাবিব ইমরান। তবে তন্ময় ইমরান নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত। তন্ময় নামে দাদাবাড়ির লোকজন ডাকে। সে কারণে এটি বেছে নেওয়া।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ।
ছোটবেলা থেকে লেখালেখির অভ্যাস। ‘দৈনিক আমাদের সময়’ দিয়ে পত্রিকায় চাকরি শুরু। এরপর দৈনিক যায়যায়দিন, কালের কণ্ঠ, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও একাত্তর টিভি হয়ে এখন সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রবাস পাতার সম্পাদক। এর পাশাপাশি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং বিভাগের ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন কিছুদিন।
ছাত্রজীবনে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘দিয়াশলাই’ নামের একটি ছোটকাগজ বের করার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একাধিক গল্প নিয়ে টিভি নাটক হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— শহুরে সব গঙ্গা ফড়িং আর বুড়োঘোড়া।
‘মনফড়িং’ নামে একটি চিত্রনাট্য লিখেছেন, যা ২০১৭ সালে ইংরেজিতে দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকার সেরা ফিকশন ফিল্ম ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। দেশে-বিদেশে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পাওয়া ‘মনফড়িং’ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত জাতীয় শিশু চলচ্চিত্র উৎসবেও সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে।
‘মৃত্যু ও মিডিয়া এক্সপোজার’ তার প্রথম গল্পের বই। আর প্রথম উপন্যাস ‘মেয়েটি জিহাদে গিয়েছিল’।
৳ 400রবীন্দ্রসৃজনে বাংলাদেশ
৳ 176জন্ম : ১৯৮৯ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের জামালপুর জেলার কুলকান্দি গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি (২০০৫), নটর ডেম কলেজ ঢাকা থেকে এইচএসসি (২০০৭), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মান (২০১১) ও স্নাতকোত্তর (২০১২)। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে (সিজিপিএ) প্রথম স্থান। একই বিভাগের অধীনে ‘বাংলাদেশের উপন্যাসে সাতচল্লিশের রাজনীতি’ বিষয়ে পিএইচডি গবেষণারত। আগ্রহের বিষয় : সাহিত্যে আর্থ-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতা অনুসন্ধান এবং কবিতাপাঠ। প্রকাশিত কবিতার বই : শরীরী অশরীরী (২০১৪), অসময়ের ঘ্রাণ (২০১৯)। সম্পাদনা : শ্রেষ্ঠ গল্প সৈয়দ মুজতবা আলী (২০১৬)। সম্পাদিত সাহিত্যপত্র : বীজমন্ত্র (২০১১)।
৳ 220লেখক হওয়ার পথে
৳ 224আফসানা বেগম
জন্ম : ২৯ অক্টোবর, ১৯৭২, ঢাকা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর। নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। ২০১৩ সালে নাদিন গোর্ডিমারের ঝাঁপ ও অন্যান্য গল্প অনুবাদের মাধ্যমে সাহিত্য জগতে প্রবেশ। এরপর আইজ্যাক আসিমভ, অ্যালিস মানরো, উইলিয়াম ফকনার, হুলিও কোর্তাসারসহ প্রখ্যাত লেখকদের বই অনুবাদ করেছেন। মৌলিক লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ছোটগল্পের বই দশটি প্রতিবিম্বের পাশে বইটির জন্য ২০১৪ সালে পেয়েছেন জেমকন সাহিত্য পুরস্কার। বেদনার আমরা সন্তান (উপন্যাস), প্রতিচ্ছায়া (উপন্যাস), আমি অথবা আমার ছায়া (ছোটগল্প), দিনগত কপটতা (ছোটগল্প) তার উল্লেখযোগ্য বই। এ ছাড়া, সায়েন্স ফিকশন ও কিশোরদের জন্য লেখা উপন্যাসসহ তার গ্রন্থসংখ্যা ২১।৳ 280