কীয়েক্টাবস্থা
৳ 272‘কীয়েক্টাবস্থা’ লেখকের বিচিত্র অভিজ্ঞতাপুষ্ট জীবনের গল্প। এ বইটিতে উল্লিখিত সব চরিত্র বাস্তব, সব কাহিনি নির্ভেজাল সত্য। রহস্য, রোমাঞ্চ, ভ্রমণ, প্রেম, বিরহ, কিংবা একজন নিরীহ ছাত্রের গতানুগতিক জীবন এই গল্পগুলোর বিষয়বস্তু হলেও, একটি বিশেষ ক্ষেত্রে বইটি যেন এক সূত্রে গাঁথা মালা। আর সেই সুতোটি হলো প্রাত্যহিক জীবনের নানা বিড়ম্বনা। প্রতিটি গল্পের শুরুতে আমরা দেখতে পাই কিছু নিদারুণ ঘটনা, আর শেষে গিয়ে এক চিলতে রোদ্দুরের মতো এক টুকরো হাসি। ঠিক যেমনটি আমাদের যাপিত জীবন।
কীয়েক্টাবস্থার গল্পগুলোর সূতিকাগার পৃথিবীর নানা প্রান্ত। কখনো তা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের ছাত্রহল, কখনো তা হিমালয়ের পাদদেশ কিংবা নেপালের দুর্গম পথ, কখনো কাতারের ঊষর বিমানবন্দর, কখনো নিউ মেক্সিকো কিংবা মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য।
জীবন, সে তো অনুমানের অতীত! এ কারণে ‘কীয়েক্টাবস্থা’ কোনো মিথ নয়, সত্য। যে ছেলেটি আজ সানন্দে প্রকৌশল যন্ত্র নিয়ে খুটখাট করে, যে মেয়েটি চিকিৎসক হওয়ার মানসে হাড়গোড় গোনে কিংবা যে ছেলেটি কোনো কিছুর পরোয়া না করে ভার্সিটির ক্যাফেটেরিয়ায় বসে তাস পেটায় আর সিগারেট ফোঁকে, সবাই তার নিজ নিজ জীবনের পরিক্রমায় নানা তিক্ত, বিচিত্র ও চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে যায়। অভিজ্ঞতালব্ধ হলে কেউ তা ভুলে যায়, কেউ তা মনে রাখে। আর কেউ কেউ এই তুচ্ছ লেখকের মতো তা অহেতুক লিখে রাখে।৳ 340বাঘ
৳ 240
রোমেল রহমান কবি ও নাট্যকার। নিয়মিত লেখেন বাংলাভাষার বিভিন্ন পত্রিকা এবং ওয়েবজিনে। মঞ্চ ও পথনাটক রচনা করে যাচ্ছেন, যা দেশ ও দেশের বাইরে মঞ্চস্থ হয়। চিত্রনাট্য রচনার সঙ্গে যুক্ত আছেন। গল্পের জন্য ‘PEN Bangladesh সাহিত্য পুরস্কার ২০২০’ পেয়েছেন।
বসবাস: খুলনা, বাংলাদেশ।
গ্রন্থ: ‘বিনিদ্র ক্যারাভান’; ‘মহামারী দিনের প্যারাবল’; ‘প্রোপাগান্ডা ও আরোগ্যবিতান’।৳ 300রঙপ্যাথি
৳ 320হিমালয় কোনো বইয়ে লহিয়মা কিংবা হিলমায় হলে কি জাত চলে যাবে?
জাতের প্রসঙ্গই যেহেতু এল একটা গল্প বলি। ত্রিধা নামের এক কন্যাশিশু আমার লেখা ‘প্রযত্নে-হন্তা’ বইটি হাতে নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গেল, একেবারে রোদের মতো নীরব। একপর্যায়ে থাকতে না পেরে জেরা শুরু করল- ‘আঙ্কেল, তুমি কি চুরি করেছ?’ হঠাৎ এই প্রশ্নের হেতু কী, বোঝার চেষ্টা করব তার আগেই বইয়ের ২য় ফ্ল্যাপে আঙুল তাক করে বলে, ‘একে ধরিয়ে দিন লিখে পত্রিকায় যেমন ছবিসহ বিজ্ঞাপন দেয়, তোমার ছবিও বইতে সেভাবে ছাপা হয়েছে। ছিঃ আঙ্কেল, তোমাকে ভালো মানুষ ভেবেছিলাম।’
আত্মপক্ষ সমর্থনের ভঙ্গিতে জানাই, ‘বাবু, আমি তো লেখক; যারা টাকা দিয়ে বই কেনে তারা যাতে রাস্তাঘাটে দেখলে চিনতে পারে সে জন্য ছবি দিয়েছি।’ শুনে সে নতুন আব্দার ধরল, ‘তোমার নাম-ছবি সরিয়ে আমারটা বসালেই কি লোকজন তখন আমাকে চিনবে? খুবই সহজ কাজ, করে দাও না আঙ্কেল।’
সরলমনে বললেও বাচ্চাটার কথার ওজনে ধরণি ক্রমশ দ্বিধা হতে থাকে; সামান্য ভাষাজ্ঞান আর কিছু বই পড়া-সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা পুঁজি করে যেকোনো মানুষই লিখতে পারে, তারা যদি প্রেসের লোককে হাত করে নাম আর ছবি অপসারণ করে, শত-সহস্র বাক্য আর শব্দের কল্পনাস্বত্বও তো লোপাট! নাম-ছবি কিছুই নেই তবু ছয়-সাতটা বাক্য পড়েই অনুমান করা যাবে সম্ভাব্য লেখকের পরিচিতি, তেমন সিগনেচার টোন তৈরি করতে না পারলে লেখককে মনে হবে বাংলা সিনেমার জাম্বু— এমন পর্বতপ্রমাণ শরীর শুধু নায়কের বেদম প্রহার সয়েই বিনোদন দিয়ে গেল! তাই সভয়ে সকাতরে ছবি একটা দিচ্ছি বটে, কিন্তু কেবলই মনে হচ্ছে এই বুঝি ঘুষি বাগিয়ে আসছে তেড়ে নায়ক জসিম।
[email protected]৳ 400