রঙপ্যাথি

৳ 320৳ 400

You Save: ৳ 80 (20%)

আমি জাশুরিট; নামের আগে ‘জনাব’ নয় ‘জনৈক’ বিশেষণ পাওয়াই যার নিয়তি। আমি যে গল্পটা শোনাতে চাই তার পটভূমি আফ্রিকার এক কাল্পনিক দেশ, পশ্চাৎপট ২০৩৯!
মাত্র এক বাক্যেই হয়ে যাক গল্পের বিজ্ঞাপন-
Downfall directing delusional Discourse!
বিবিধ বর্ণিল চরিত্র আর অজস্র প্রতীককে পাশে ঠেলে লেখক কেন আমাকেই দায়িত্ব দিলেন গল্পের প্রচারণা চালানোর, প্রশ্নটা আপনাদের মতো আমারও। শুনেছি উত্তর মিলতেও পারে অপেক্ষায়। গল্পপ্রচারক, নাকি চরিতস্র কোনো পরিচয়ে আপনারা চিনবেন আমাকে; সংশয়টা তবু রয়েই যাচ্ছে। মূল প্রসঙ্গে আসি: কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, মতবাদ এবং কর্মফলসংক্রান্ত মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আপনাদের গড় রংবোধ নিয়ে যদি প্রশ্ন তুলি আহত হবেন কি? হয় সাদা অথবা কালো; কেউ কেউ উদারতাবশত ধূসরকে টেনে নেন ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায়। তাতে মনরক্ষা হলেও মানরক্ষা কি করা যায়?
এই অমীমাংসিত সংমিশ্রণে সাদা-কালোকে লাগছে নিছকই রংহীনতার নিস্ফল পরিণতি। প্রশ্নটা তাই টগবগে প্রাসঙ্গিক; বাকি চার রং গেল কই? ভেবেছিলাম বইয়ের মুখবন্ধ অংশে অজন্তা হালদারকেও করব প্রশ্নটা, লেখকের ধূর্ততায়-ধৃষ্টতায় উল্টো নিজই ফেঁসে গেলাম আজান্তার প্রশ্নের জালে ।
আমি জাশুরিট, এক বিশেষ বিমান নিয়ে বাসে আছি টার্মিনালে। কতিপয় কৌতুহলী আর কল্পনাপ্রিয় যাত্রী নিয়ে উড়াল দিব নিজ দেশের গন্তব্যে। উৎসাহী হলে উঠে পড়ুন এখুনি ছাড়বে ফ্লাইট; সময় মাত্র সাত মিনিট

Book Info
Title রঙপ্যাথি
Author মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়
Publisher আদর্শ
ISBN 978-984-94696-4-3
Edition 1st Published, 2022
Number of Pages 20
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা

হিমালয় কোনো বইয়ে লহিয়মা কিংবা হিলমায় হলে কি জাত চলে যাবে?
জাতের প্রসঙ্গই যেহেতু এল একটা গল্প বলি। ত্রিধা নামের এক কন্যাশিশু আমার লেখা ‘প্রযত্নে-হন্তা’ বইটি হাতে নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গেল, একেবারে রোদের মতো নীরব। একপর্যায়ে থাকতে না পেরে জেরা শুরু করল- ‘আঙ্কেল, তুমি কি চুরি করেছ?’ হঠাৎ এই প্রশ্নের হেতু কী, বোঝার চেষ্টা করব তার আগেই বইয়ের ২য় ফ্ল্যাপে আঙুল তাক করে বলে, ‘একে ধরিয়ে দিন লিখে পত্রিকায় যেমন ছবিসহ বিজ্ঞাপন দেয়, তোমার ছবিও বইতে সেভাবে ছাপা হয়েছে। ছিঃ আঙ্কেল, তোমাকে ভালো মানুষ ভেবেছিলাম।’
আত্মপক্ষ সমর্থনের ভঙ্গিতে জানাই, ‘বাবু, আমি তো লেখক; যারা টাকা দিয়ে বই কেনে তারা যাতে রাস্তাঘাটে দেখলে চিনতে পারে সে জন্য ছবি দিয়েছি।’ শুনে সে নতুন আব্দার ধরল, ‘তোমার নাম-ছবি সরিয়ে আমারটা বসালেই কি লোকজন তখন আমাকে চিনবে? খুবই সহজ কাজ, করে দাও না আঙ্কেল।’
সরলমনে বললেও বাচ্চাটার কথার ওজনে ধরণি ক্রমশ দ্বিধা হতে থাকে; সামান্য ভাষাজ্ঞান আর কিছু বই পড়া-সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা পুঁজি করে যেকোনো মানুষই লিখতে পারে, তারা যদি প্রেসের লোককে হাত করে নাম আর ছবি অপসারণ করে, শত-সহস্র বাক্য আর শব্দের কল্পনাস্বত্বও তো লোপাট! নাম-ছবি কিছুই নেই তবু ছয়-সাতটা বাক্য পড়েই অনুমান করা যাবে সম্ভাব্য লেখকের পরিচিতি, তেমন সিগনেচার টোন তৈরি করতে না পারলে লেখককে মনে হবে বাংলা সিনেমার জাম্বু— এমন পর্বতপ্রমাণ শরীর শুধু নায়কের বেদম প্রহার সয়েই বিনোদন দিয়ে গেল! তাই সভয়ে সকাতরে ছবি একটা দিচ্ছি বটে, কিন্তু কেবলই মনে হচ্ছে এই বুঝি ঘুষি বাগিয়ে আসছে তেড়ে নায়ক জসিম।
[email protected]

Customer Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “রঙপ্যাথি”

Your email address will not be published. Required fields are marked *