তখন বাংলা অঞ্চলে আধুনিক শিক্ষা সবেমাত্র শুরু হচ্ছে। শিশুরা চেয়ার-টেবিল-বেঞ্চিওয়ালা স্কুলে যাচ্ছে পড়তে। কিন্তু পড়তে গেলেই তো আর হবে না! তাদের পড়ার জন্য তো বই লাগবে! আগে তো বই লাগত না। টোলে বা গুরুর বাড়িতে শিশু-কিশোররা পড়তে যেত। গুরু মুখে মুখে যা বলতেন তাই-ই তারা শিখত। কিন্তু আধুনিক শিক্ষার জন্য চাই বইপত্তর। কিন্তু কে লিখবে বই! এ তো আর বড়দের বই না যে চাইলে অনেকেই লিখতে পারবে!
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর লিখলেন শিশুদের জন্য একের পর এক বই। লিখলেন বর্ণপরিচয় থেকে শুরু করে কথামালা, নীতিবোধ, চরিতাবলী, জীবনচরিত ইত্যাদি মজার মজার সব বই।
বিদ্যাসাগরের ‘কিশোর রচনা’র এই সংকলনে মূলত ছোটদের মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ অর্জনে সহায়ক গল্পগুলোই নেয়া হয়েছে। এসব গল্প পড়ে তারা যাতে বড় মানুষ হওয়ার পথে পা বাড়ায়; বড় পৃথিবীর পথে পা বাড়ায়।
বইতে সংকলিত গ্রন্থগুলোতে বিদ্যাসাগরের বানানরীতিই অনুসরণ করা হয়েছে। যাতে আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীগণ তার ভাষারীতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারে।
save
৳ 60কিশোর রচনা
৳ 240৳ 300
You Save: ৳ 60 (20%)
Title | কিশোর রচনা |
Author | ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর |
Publisher | রূপসী বাংলা |
ISBN | 978-984-95741-3-2 |
Edition | 1st Published, 2021 |
Number of Pages | 200 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
উনিশ বছর বয়সে বিশেষ পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করে তিনি ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। বদান্যতার জন্য তিনি ‘দয়ার সাগর’ নামেও অভিহিত হন। ১৮৪১ সালে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রধান পণ্ডিত নিযুক্ত হন এবং পরে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ হন।
তিনিই প্রথম বাংলা গদ্যের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আবিষ্কার করেন এবং গদ্য ভাষায় যতিচিহ্ন যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন। ফলে তার গদ্য হয়ে ওঠে শৈলীসম্পন্ন। এ জন্য তাকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
১৮৫৫ সালের শিশুদের বাংলা বর্ণমালার প্রথম সার্থক গ্রন্থ ‘বর্ণ পরিচয়’ তারই লেখা। এ গ্রন্থ আজও বাংলা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে পথনির্দেশক। বেতাল পঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা, সীতার বনবাস, চরিতাবলী, ভ্রান্তিবিলাস প্রভৃতি গ্রন্থ তার প্রধান রচনা।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
Customer Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “কিশোর রচনা”