জগদীশচন্দ্র বসু শুধু সাহিত্যের জগতে বিচরণ করলেও যে খ্যাতি অর্জন করতে পারতেন—সেই স্বীকৃতি দিয়েছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই স্বীকৃতি যে সঠিক তার প্রমাণ অব্যক্ত সংকলনটি।
এই গ্রন্থের লেখাগুলো খুবই সহজ-সরল, শিশু-কিশোরদের পাঠোপযোগী। যেমন আকাশ-স্পন্দন ও আকাশ-সম্ভব জগৎ প্রবন্ধে তরল ও বায়বীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে শক্তি কীভাবে শব্দ, বিদ্যুৎ ও সূর্যকিরণরূপে প্রবাহিত হয়, তার সরল বর্ণনা করা হয়েছে। গাছের কথা প্রবন্ধে লেখক গাছের সঙ্গে অন্যান্য জীবের জীবনপ্রণালির সহজে দৃশ্যমান মিলগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন। উদ্ভিদের জন্ম ও মৃত্যু প্রবন্ধে লেখক একটা সাধারণ উদ্ভিদের বীজ থেকে পূর্ণাঙ্গতা প্রাপ্তি, বংশবিস্তার ও মৃত্যুর বিবরণ দিয়েছেন।
উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে, এই মৌলিক আবিষ্কারটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রাচ্যের বিজ্ঞান ও দর্শনচিন্তার বীজসূত্র। তাই জগদীশ চন্দ্র বসু এবং তাঁর এই গ্রন্থটি আমাদের বিজ্ঞানের ইতিহাসে এত গুরুত্বপূর্ণ।
Book Info
Title | অব্যক্ত |
Author | জগদীশচন্দ্র বসু |
Publisher | রূপসী বাংলা |
ISBN | 978-984-95741-6-3 |
Edition | 1st Published, 2021 |
Number of Pages | 168 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
জগদীশচন্দ্র বসু ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর বর্তমান বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে তার পরিবারের প্রকৃত বাসস্থান ছিল।
তিনি ছিলেন একজন বাঙালি পদার্থবিদ, জীববিজ্ঞানী এবং কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা তার হাত ধরে হয় বলে মনে করা হয়। ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্স তাকে রেডিওবিজ্ঞানের একজন জনক হিসেবে অভিহিত করে।
মূলত ইংরেজিতে গ্রন্থ রচনা করলেও বাংলায় তার উল্লেখযোগ্য একটি গ্রন্থ হচ্ছে ‘অব্যক্ত’।
১৯৩৭ সালের ২৩ নভেম্বর ভারতের ঝাড়খন্ডের গিরিডিতে এই বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানীর জীবনাবসান ঘটে। মৃত্যুর কিছুদিন আগে তার আজীবন সঞ্চিত ১৭ লাখ টাকার মধ্যে ১৩ লাখ টাকা ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’কে দান করেন।
Be the first to review “অব্যক্ত”