• চন্দ্রমুখী

    বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী লেখক আশীফ এন্তাজ রবির জন্ম ঢাকায়। ১৯৭৭ সালের ২১ আগস্টে। তখন মসজিদে ফজরের আযান হচ্ছিলো, সেই পবিত্র প্রত্যুষে বাংলা গল্পের এই বরপুত্র ভূমিষ্ট হোন।
    শৈশবেই তিনি রিমেটিক ফিভার নামক বিরল রোগে আক্রান্ত হোন। এই কালাত্মক ব্যাধির কারণে তার গা সবসময় ম্যাজ ম্যাজ করে, হাতে পায়ে অসহনীয় ব্যথা। প্রখ্যাত শিশুরোগ বিশেজ্ঞ ড. এম আর খান তার চিকিৎসা করেন। এই চিকিৎসার গুণেই যৌবণে পর্দাপন করার আগেই এই সুমহান শিল্পী রোগমুক্ত হোন। তার শরীরের ব্যথা চলে গেলেও কিছু ব্যথা তার হাতের আঙুলে রয়ে যায়।
    মূলত এই ব্যথার কারণেই বাংলা সাহিত্যের এই দিকপাল লেখালেখি কম করেন। তবে তিনি মুখে গল্প বলতে পটু, কেননা তার গলায় কোনো সমস্যা নেই। জনৈক জ্যোতিষী বলেছেন, কোনো মায়াবতী তার হাত ধরলে, তিনি এই ব্যধিমুক্ত হবেন। তার হাতের যন্ত্রণা লাগব হবে।
    আশীফ এন্তাজ রবি তাই সকাতরে প্রায়ই বলেন, আমার জন্য না— বাংলা সাহিত্যের মুখের দিকে তাকিয়ে কোনো হূদয়বতী কি এগিয়ে আসবে না?
    পৃথিবী তুমুল নিষ্ঠুর। কাজেই অদ্যাবধি কেউ এগিয়ে আসেনি। অগত্যা— দীর্ঘ চার বছর পর— হাতের যন্ত্রণা উপেক্ষা করে তিনি লিখেছেন নতুন উপন্যাস: চন্দ্রমুখী। নিঃসন্দেহে এই উপন্যাসটির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য একটি নতুন যুগে পদার্পন করল। দেশ ও জাতির জন্য এটা অনেক বড় একটি ঘটনা।
    কিছু কিছু বড় ঘটনা মানুষের চোখ এড়িয়ে যায়। চন্দ্রমুখী লেখার ঘটনাটিও কারো চোখে পড়বে না বলেই লেখকের বিশ্বাস।
    লেখক পরিচিতির এই নির্লজ্জ অংশটুকু আশীফ এন্তাজ রবি নিজেই লিখেছেন। বড় ঘটনার মতো এই তুচ্ছ ব্যাপারটিও মানুষের চোখ এড়িয়ে যাবে, এটাই তার প্রত্যাশা।

    ৳ 160৳ 200
  • পালিয়ে যাবার পরে

    আশীফ এন্তাজ রবি

    আশীফ এন্তাজ রবিআমার জীবনের লক্ষ্য বারবার বদলে গেছে।
    ছোটবেলায় আমি আইসক্রিমওয়ালা হতে চেয়েছিলাম। স্কুলে পড়ার সময় হতে চেয়েছিলাম ডাক্তার। যৌবনে আমার জীবনের লক্ষ্য আমূল বদলে যায়। তখন আমি লেডিস হোস্টেলের দারোয়ান হওয়ার বাসনা পোষণ করতাম।
    আমি শেষমেশ কিছুই হতে পারিনি। যেটা হয়েছি, তার নাম ফেরিওয়ালা, আমি গল্প ফেরি করে বেড়াই।
    আড্ডায় আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প বলে যাই। সেই গল্প শোনার জন্য অনেকেই আড্ডায় আসেন। একসময় আড্ডার পরিসর বেড়ে যায়। আমি রেডিওতে রাত জেগে গল্প বলা শুরু করি। কয়েক বছর ধরে গল্পগুলো লিখে ফেলার চেষ্টা করছি। আমার মতো অলস মানুষের জন্য এটি অনেক কঠিন কাজ।
    আমার জন্ম ঢাকায়, ১৯৭৭ সালে। আমার জন্ম নিয়েও তিনটি গল্প আছে। যে ডাক্তারের হাতে আমি জন্মেছিলাম, ওই ডাক্তারনি ছিলেন দেশের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক। পরবর্তী সময়ে অন্য কারণে তিনি বিখ্যাত হন। পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে তার ছেলে একটি খুন করেছিল। নব্বইয়ের দশকে সেই ছেলেটির ফাঁসি হয়। সে সময় এ ঘটনাটি বেশ সাড়া ফেলেছিল।
    জন্ম নিয়ে দ্বিতীয় গল্পটি হলো, আমি জন্মেছিলাম রবিবারে। কাজেই আমার বাবা আমার নাম রাখেন রবি। যদিও এ নামটি নিয়ে সেই সময়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়। মুসলমান ছেলের নাম কেন রবি হবে, এ নিয়ে আমার আত্মীয়রা আপত্তি তোলেন। আমার পিতা দ্বিধায় পড়ে যান।
    আমার জন্মসংক্রান্ত তৃতীয় গল্পটি বলতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু ফ্ল্যাপে জায়গা কম থাকার কারণে সেই গল্পটি আপাতত মুলতবি থাকুক।
    লেখক পরিচিতিতে শুধু এ বাক্যটিই থাকুক, আমি আশীফ এন্তাজ রবি, গল্পের ফেরিওয়ালা।

    ৳ 160৳ 200
  • কাগজের নৌকা

    আমার নাম আশীফ এন্তাজ রবি। জন্ম ২১ আগস্ট ১৯৭৭। তবে অন্য অনেকের মতো আমারও একটা সার্টিফিকেট জন্মসাল আছে, ২৪.১০.১৯৭৯। নটরডেম কলেজে পড়ার সময় জনৈক বালিকাকে মুগ্ধ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে একটা উপন্যাস লিখে ফেলেছিলাম। একদিন জলসিঁড়ি নামক উপন্যাসটি সেই বালিকাকে দ্রবীভূত করতে পারেনি। লেখক হিসেবে সেই দিন থেকেই আমি ব্যর্থ। ব্যর্থতাকে সহজভাবে মেনে নিয়ে আমি অন্য কাজকর্মে মনোনিবেশ করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর হুট করে বিয়ে করে ফেলি। সংসার চালানোর জন্য টিউশনির চেষ্টা করি। একটা টিউশনি জুটেও যায়। ছাত্র ইন্টারমিডিয়েটে বিজ্ঞানবিভাগে পড়ে। প্রথম দিন তাকে নিউটনের গতিসূত্র বোঝাই। মাস্টার হিসেবে আমি কেমন এটা পরখ করার জন্য ছাত্রের বাবা পাশে বসে ছিলেন। ছাত্রটি নিউটনের গতিসূত্র চমৎকারভাবে ধরে ফেললেও তার ক্লাস এইট পাশ বাবা ব্যাপারটার আগামাথা কিছুই বুঝলেন না। কাজেই প্রথমদিনেই টিউশনি থেকে বাদ পড়ে গেলাম। এরপর শুরু করলাম পত্রিকায় লেখালেখি। শুধু টাকার জন্য প্রথম আলো পত্রিকায় দুই হাতে লেখা শুরু করলাম। সেই লেখালেখির জেরেই যুগান্তর পত্রিকায় চাকরি পেয়ে যাই । টানা ১৩ বছর সেখানে সাংবাদিকতা করি। যুগান্তরে থাকার সময় জনৈক প্রকাশক আমার সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি আমার একটি বই বের করতে চান। পুরনো ব্যর্থতার কথা ভুলে আমি বই বের করতে রাজি হয়ে যাই। চার মাস ঘুরানোর পর চারটি ছোট গল্প তার হাতে তুলে দেই। প্রকাশক বিরস বদনে বলেন, এইটুকু দিয়ে তো দুই ফর্মাও হবে না। প্রকাশককে উদ্ধার করার জন্য আমি আরও দুইজন তরুণ লেখককে জোগাড় করি, যারা লম্বা লম্বা গল্প লিখতে পারেন। তিনজনের বারোটি গল্প মিলে বের হয়, তিন তরুণের গল্প। এরপরের বছর একই কায়দায় ত্রয়ী নামে আরেকটি গল্পগ্রন্থ বের হয়। আশ্চর্যজনকভাবে প্রথম বই তিন কপি, দ্বিতীয় বইটিও সর্বমোট তিন কপি বিক্রি হয়। লেখক তিনজন থাকায় এই দারুন সাফল্য। তিনে মিলে করি কাজ, হারিজিতি নাহি লাজ।
    এরপর টানা আট বছর আমি কোনো বই ফাঁদার কথা স্বপ্নেও ভাবিনি।
    তবু স্বভাবদোষে বের হলো, কাগজের নৌকা। এখন নৌকাডুবির অপেক্ষা।
    লেখক পরিচিতিতে ভালো ভালো কথা লেখার নিয়ম। অধিকাংশক্ষেত্রে লেখক নিজেই নিজের ঢোল ফাটিয়ে ফেলেন। আমার কোনো ঢোল নেই, তাই ফাটাতে পারলাম না। আমি দুঃখিত।

    ৳ 160৳ 200
  • কিশোর উপন্যাস

    আল মাহমুদ

    আল মাহমুদবাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন আল মাহমুদের কবিতার বই পড়েননি এমন সাহিত্যপ্রেমী খুঁজে পাওয়া ভার। গুণী এই কবি একাধারে একজন সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তার কবি পরিচয়। আধুনিক বাংলা কবিতা নানা দিক থেকে তার কাছে ঋণী থাকবে। বাচনভঙ্গি আর রচনাশৈলীতে তার কবিতা সমকালীন যেকোনো কবির তুলনায় অনন্য। ‘কবিতাসমগ্র’ (দুই খন্ড) ‘উড়ালকাব্য’, ‘সোনালি কাবিন’, ‘আল মাহমুদের স্বাধীনতার কবিতা’, ‘প্রেমের কবিতা সমগ্র’, ‘আল মাহমুদের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ ইত্যাদি কবিতার বই নিয়ে আল মাহমুদ কবিতাসমগ্র। এছাড়াও আল মাহমুদ উপন্যাস সমগ্র প্রকাশিত হয়েছে তিন খণ্ডে। জাতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক টানাপোড়েন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও প্রেক্ষাপটসহ সমাজ ও ব্যক্তি জীবনের দ্বন্দ্ব স্থান পেয়েছে আল মাহমুদ এর বই সমূহ-তে। ‘কালের কলম’, ‘লোক লোকান্তর’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’, ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’, ‘আরব্য রজনীর রাজহাঁস’, ‘গল্প সমগ্র’, ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য লেখা।

    আল মাহমুদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে। তার পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। শিক্ষাজীবনেই তিনি লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত হন। রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল আর মধ্যযুগের বৈষ্ণব পদাবলী পাঠ করতে করতে নিজের কবি প্রতিভা আবিষ্কার করেন তিনি। ১৯৫৪ সালে সাপ্তাহিক কাফেলা পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। কিছুকাল পরই এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পুরো ৬০-এর দশক জুড়ে তিনি অসংখ্য কবিতা রচনা করেন এবং কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতি লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ পত্রিকায় সরকার বিরোধী লেখালেখির কারণে এক বছরের জন্য কারাদণ্ডও ভোগ করতে হয় তাকে। ১৯৭৫-৯৩ সাল পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে কাজ করে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

    কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য রচনাশৈলীর জন্য ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’, ‘একুশে পদক’, ‘জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার’, ‘নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক’ সহ অসংখ্য পদক ও সম্মাননা লাভ করেছেন। ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি পরলোকগমন করেন।

    ৳ 240৳ 300
  • তোমারে চিনি না আমি

    মাহবুব মোর্শেদ

    মাহবুব মোর্শেদজন্ম ১৯৭৭ সালে ২৯ জানুয়ারী রংপুরে। গল্পকার, ঔপন্যাসিক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে। পেশা সাংবাদিকতা। শৈশব-কৈশর কেটেছে উত্তরের রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা ও দক্ষিণ-পশ্চিমের কুষ্টিয়ায়। ২০০৬ সালে তার গল্পগ্রন্থ ‘ব্যক্তিগত বসন্তদিন’ প্রকাশিত হয়েছে কাগজ প্রকাশনী থেকে। ২০১০ সালে ভাষাচিত্র থেকে প্রকাশিত হয়েছে উপন্যাস ‘ফেস বাই ফেস’। ২০১১ সালে ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত হয়েছে গল্পগ্রন্থ ‘দেহ’। গল্প-উপন্যাস রচনা ছাড়াও তিনি একসময় বিচিত্র বিষয়ে ব্লগ লিখতেন। এখন ফেসবুকে সময় কাটে নানা বিষয়ে ছোট ছোট কথা ও কলহে।

    ৳ 304৳ 380
  • অরূপকথা

    সবাকের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৩০ জুলাই নোয়াখালীর প্রত্যন্ত এক গ্রামে; সেখানেই বেড়ে ওঠা। লেখালিখির চর্চা স্কুলজীবন থেকে। কলেজে পড়ার সময় আঞ্চলিক পত্রিকায় ফিচার লেখার মধ্য দিয়ে সংবাদমাধ্যমের সাথে যুক্ত হন। সম্পাদনাও করেন কিছুদিন। ব্লগ যুগ শুরু হওয়ার পর ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত ব্লগ লিখেছেন। ২০১৫ সালে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে চার বছর থাকার পর ২০১৯ সালে চলে যান কানাডায়। বর্তমানে কানাডার একটি শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

    ৳ 304৳ 380
  • চায়ের কাপে সাঁতার

    এনামুল রেজা

     

    জন্ম ১৯৯১ সালে ঢাকায়, মায়ের বাসায়।
    পৈত্রিক নিবাস খুলনায় কেটেছে শৈশব ও কৈশোর।
    প্রথম উপন্যাস কোলাহলে প্রকাশিত হয়েছে ২০১৬ সালে।
    বর্তমানে ঢাকায় বসবাস।

    ৳ 640৳ 800
  • পূর্বপুরুষ

    আমার জীবনের লক্ষ্য বারবার বদলে গেছে।
    ছোটবেলায় আমি আইসক্রিমওয়ালা হতে চেয়েছিলাম। স্কুলে পড়ার সময় হতে চেয়েছিলাম ডাক্তার। যৌবনে আমার জীবনের লক্ষ্য আমূল বদলে যায়। তখন আমি লেডিস হোস্টেলের দারোয়ান হওয়ার বাসনা পোষণ করতাম।
    আমি শেষমেশ কিছুই হতে পারিনি। যেটা হয়েছি, তার নাম ফেরিওয়ালা, আমি গল্প ফেরি করে বেড়াই।
    আড্ডায় আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প বলে যাই। সেই গল্প শোনার জন্য অনেকেই আড্ডায় আসেন। একসময় আড্ডার পরিসর বেড়ে যায়। আমি রেডিওতে রাত জেগে গল্প বলা শুরু করি। কয়েক বছর ধরে গল্পগুলো লিখে ফেলার চেষ্টা করছি। আমার মতো অলস মানুষের জন্য এটি অনেক কঠিন কাজ।

    ৳ 528৳ 660
  • কিশোর উপন্যাস

    শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার কৈশোর ও যৌবনের অধিকাংশ সময় ভাগলপুরে মায়ের বাড়িতেই অতিবাহিত হয়। পরীক্ষার ফি জোগাড় করতে না পারায় তিনি কলেজশিক্ষা শেষ করতে পারেননি।
    ১৯০৩ সালে জীবিকার সন্ধানে তিনি মায়ানমারের রেঙ্গুন যাত্রা করেন। ১৯১৬ সাল পর্যন্ত রেঙ্গুনেই ছিলেন। সেখানে অবস্থানকালে সাহিত্য সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। ‘ভারতী’ পত্রিকায় ‘বড়দিদি’ উপন্যাস প্রকাশিত হলে তার সাহিত্যিক খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর একের পর এক গল্প-উপন্যাস লেখেন তিনি। বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকে পরিণত হন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার দরুন তিনি ‘অপরাজেয় কথাশিল্পী’ নামে পরিচিতি পান।
    সাধারণ বাঙালি পাঠকের আবেগকে তিনি যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তার বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে: পল্লীসমাজ, দেবদাস, শ্রীকান্ত (চার পর্ব), গৃহদাহ, দেনাপাওনা, পথের দাবী, শেষ প্রশ্ন প্রভৃতি। সাহিত্য প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট উপাধি লাভ করেন।
    বাংলা সাহিত্যের এই কালজয়ী কথাশিল্পীর জীবনাবসান ঘটে ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে, কলকাতায়।

    ৳ 240৳ 300
  • সাদা খাম

     


    জন্ম ১৯৮২ সালে, গাইবান্ধায়। সেখানেই উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ।
    উৎসবপ্রিয়। কোনো উৎসব ঘিরে যখন মানুষ একত্র হয়, সবার প্রাণে প্রাণ মেলাতে ভালোবাসেন। মনে মনে সে আনন্দ উপভোগ করেন। সবুজ পছন্দের রং বলে প্রকৃতি তার এত প্রিয়। প্রকৃতির ঔদার্যে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হন তিনি।
    ‘সাদা খাম’ লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস। প্রথম উপন্যাস ‘দীঘল জলে নিমগ্নতা’ প্রকাশ হয় ২০২০ বইমেলায়। প্রথম গল্পগ্রন্থ: ‘সুতপার হাই হিল’ প্রকাশিত হয় ২০১৮ বইমেলায়।

    ৳ 176৳ 220
  • মিনোল্টা ম্যাক্সাম ৭০০০

    মাহবুব মোর্শেদ

    স্বতঃস্ফূর্ত ভাষায়, বৈঠকি ঢঙে জমিয়ে গল্প বলতে পছন্দ করেন মাহবুব মোর্শেদ। চেনাপরিচিত গল্প শুনতে শুনতে পাঠক সহসা নিজেকে আবিষ্কার করেন অচেনা জগতে। একের পর এক আবিষ্কার ও চমক সেখানে তাকে মগ্ন করে রাখে। মাহবুবের স্টোরিটেলিং আকর্ষণীয়; গদ্য সরল, অথচ দ্ব্যর্থকতায় ভরপুর— ইশারা ও পরিহাসে ঠাসা।
    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন প্রত্নতত্ত্বে। পেশা সাংবাদিকতা। শৈশব-কৈশোর কেটেছে উত্তরের রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা ও দক্ষিণ-পশ্চিমের কুষ্টিয়ায়।
    প্রকাশিত বই
    ব্যক্তিগত বসন্তদিন, গল্পগ্রন্থ, ২০০৬, পুনঃপ্রকাশ: ২০২০
    ফেস বাই ফেস, উপন্যাস, ২০১০
    দেহ, গল্পগ্রন্থ, ২০১১
    অর্ধেক জাগ্রত রেখে, নভেলা, ২০১৩
    গুরু ও চণ্ডাল, স্মৃতিগ্রন্থ, ২০১৩
    তোমারে চিনি না আমি, উপন্যাস, ২০১৮
    অরব বসন্ত, কবিতা, ২০২০
    সন্দেহ, গল্প, ২০২১
    অপ্রকাশিত জীবনানন্দ, কবিতা, ২০২২
    ফেসবুক প্রোফাইল
    https://www.facebook.com/tomorshed

    ৳ 224৳ 280
  • মোহিনী আর নেই

    মো. ইয়াছিন
    একজন শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী। সারাদিন কর্মস্থলে কাটিয়ে বাসায় ফিরে হাত-মুখ ধুয়ে কাগজ-কলম নিয়ে বসে পড়াই তার নিত্যদিনের কাজ। এই কাগজ-কলম তার পৃথিবী, তার জীবন, তার স্বপ্ন। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন এই পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার আগে এমন কিছু লিখে রেখে যাওয়া যার মাধ্যমে মানুষ তাকে চিরকাল মনে রাখবে। সেই চেষ্টায় তিনি রাত জাগেন, কাগজ-কলমের সাথে কথা বলেন, শব্দ জমা করেন। দিনশেষে তার একমাত্র সম্বল, একটি একটি করে জমিয়ে রাখা শব্দগুলো দিয়ে বই প্রকাশিত হয়। আশা ফুরায় না। আরো ভালো কিছু করার লোভে তিনি আবারও কাগজ-কলম নিয়ে বসে পড়েন। আবার শুরু হয় শব্দ জমিয়ে রাখা।

    ৳ 240৳ 300
  • চক্রবিধি

    আসিব রায়হান
    কথাসাহিত্যিক আসিব রায়হান পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, নেশায় একজন লেখক। তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে এসএসসি ও রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। বিএসসি ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে। প্রাণের নেশায় লেখালেখিতে হাতেখড়ি। ছোটগল্পের বই ‘এডিসনের মা’র মাধ্যমে লেখকজীবনে আত্মপ্রকাশ। এরপর একে একে জন্ম নিয়েছে ভ্রমণ সাহিত্য ‘দেশে বিদেশে মুসাফিরের বেশে’ ও উপন্যাস ‘মহাতরু’।
    হোক সেটা গ্রামের আবহ কিংবা শহুরে জীবনের চাঞ্চল্য, উভয় ভাব প্রকাশেই তিনি তার লেখায় সমান পারদর্শিতা দেখান। তার লেখায় আবেগ ও বাস্তবতার এক অপূর্ব মেলবন্ধন পাওয়া যায়। সর্বোপরি, তিনি সৃজনশীলতার মাধ্যমে অবচেতন সত্তার উন্মেষ ঘটান, সৃষ্টি করেন নিত্যনতুন জগৎ।

    ৳ 240৳ 300
  • The Emerald Stone

    Umme Maisun is a young educator in Bangladesh. She teaches Basic English to kids who are studying in Bangla medium. Maisun herself is a Bangla medium student. She makes videos on the digital platform for kids so that they can adapt to the English Language way faster. Many think that English is a very hard language to learn and adapt but Maisuns thinking was that, English is just a language, you can learn it very easily if you think it is easy. She is 11 years old, studying in class five. She lives in Chittagong with her parents. Her YouTube channel is Maisuns world, Facebook page is Maisuns world and English with Maisun, Instagram is it_is_maisun. She also has another book published which is Chotoder Spoken English.

    ৳ 288৳ 360
  • আমি কোনো আগন্তুক নই

    কামরুল আহসানের জন্ম ১৯৮২ সালের ২০ অক্টোবর, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার ধামঘর গ্রামে, মামাবাড়িতে। ছোটবেলা থেকেই ঢাকার মাতুয়াইলে বসবাস। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। তারপর বিচিত্রসব অভিজ্ঞতা। জড়িত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে। টেলিভিশনের জন্য অসংখ্য নাটক লিখেছেন। কাজ করেছেন বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে। ‘আদর্শ’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার উপন্যাস ‘মহাজীবন’ (২০২২) এবং অনূদিত গ্রন্থ ‘মাই স্টোরি’ (মেরিলিন মনরোর আত্মজীবনী, ২০২৩)।

    ৳ 240৳ 300
  • জেমসন

    ওসমান সজীবের বেড়ে ওঠা ঢাকার জুরাইনে। শৈশব-কৈশোর থেকে বর্তমান- এখানেই কাটছে তার। ২০১৫ সালে বৈশাখী টিভি আয়োজিত ‘তোমার গল্পে সবার ঈদ’ ক্যাম্পেইনে তিনি শ্রেষ্ঠ গল্পকার নির্বাচিত হন।

    টিভিতে তার লেখা একাধিক নাটক প্রচারিত হয়েছে। লেখা দুটি নাটক ‘কথোপকথন’ ও ‘ভালোবাসার পংক্তিমালা’ দর্শকমহলে অভূতপূর্ব সাড়া ফেলে।

    তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিনটি। উপন্যাস: ‘অন্তর্গত অন্ধকার’ (২০২২), ‘মুহাম্মদ’ (২০২২)। গল্পগ্রন্থ: ‘ডিভোর্স পার্টি’ (২০২৩)।

    ৳ 256৳ 320
  • অদ্বিতীয়া

    প্লাবন রায়ের জন্ম ১৯৯৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এক শুক্লপক্ষে। বেড়ে ওঠা জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে। শিক্ষাজীবনে তিনি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। বাবা-মা, কিছু প্রিয়জন আর কাল্পনিক চরিত্রদের নিয়ে তার বসবাস। মানুষের ভালোবাসা অর্জনকে লেখক তার জীবনের পরম প্রাপ্তি মনে করেন।

    প্রকাশিত গ্রন্থ:

    এই শহরে প্রেম নেই’ (কাব্য)

    ‘নীল নির্বাসন’ (গদ্য)

    ‘ভালো থেকো মেঘমালা’ (উপন্যাস)

    ৳ 196৳ 280
  • মহাজীবন

     

    জন্ম ২০ অক্টোবর ১৯৮২। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। বর্তমানে একটি গবেষণা-প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। টেলিভিশনের জন্য অসংখ্য নাটক লিখেছেন। এক সময় ব্যস্ত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে। এখনো চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন। প্রকাশিত গ্রন্থ: নহর ও লীথী (গল্পগ্রন্থ, ২০০৯), এই আমার আকাশ (উপন্যাস, ২০১১), অমৃত এবং হলাহল ( গল্পগ্রন্থ, ২০২০), স্বর্ণমৃগ (উপন্যাস, ২০২০), সৃজনশীলতা (অনুবাদ, ২০২২)।

    ৳ 192৳ 240
  • ভালো থেকো মেঘমালা

    প্লাবন রায়ের জন্ম ১৯৯৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এক শুক্লপক্ষে। বেড়ে ওঠা জামালপুর জেলার সরিষাবাড়িতে। বর্তমানে আনন্দ মোহন কলেজে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে অধ্যয়নরত। সরিষাবাড়ি রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নটর ডেম কলেজ ময়মনসিংহ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন। বাবা-মা, কিছু প্রিয়জন আর কাল্পনিক চরিত্রদের নিয়ে তার বসবাস।
    প্রকাশিত গ্রন্থ
    এই শহরে প্রেম নেই (কাব্য)
    নীল নির্বাসন (গদ্য)

    ৳ 192৳ 240
  • ক্যাঁক

    কথাসাহিত্যিক দেলাওয়ার জাহানের জন্ম ২০ মার্চ ১৯৮৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
    পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। তিনি নয়াদিল্লির সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক আইনে স্নাতকোত্তর। পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
    ‘ক্যাঁক’ তার প্রথম উপন্যাস।
    [email protected]
    www.facebook.com/delawar.jahan

    ৳ 192৳ 240