মনোসন্ধি: মানসিক চাপ মোকাবিলার সহজ উপায়
৳ 160জন্ম: আটোয়ারী, পঞ্চগড়
মা আয়েশা খাতুন ও বাবা মো. এমদাদুল হক।
পেশা: শিক্ষকতা। এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
নেশা: শেখা এবং শেখানো
পড়াশোনা: আটোয়ারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েসমিনিস্টার (লন্ডন)
প্রকাশিত গ্রন্থ: মানসিক প্রশান্তি আর মর্যাদাপূর্ণ জীবনের জাদুকাঠি (আদর্শ, ২০১৬)
সাংগঠনিক তৎপরতা: সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি সোসাইটি; আজীবন সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন; সদস্য, বাংলাদেশ চাইল্ড এন্ড এডলসেন্স মেন্টাল হেলথ।
প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক: মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনলাইন ভিত্তিক ম্যাগাজিন মনোযোগী মন
(www.monojogimon.com)
ব্যক্তিগত জীবন: বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।৳ 200মহাজীবন
৳ 192জন্ম ২০ অক্টোবর ১৯৮২। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। বর্তমানে একটি গবেষণা-প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। টেলিভিশনের জন্য অসংখ্য নাটক লিখেছেন। এক সময় ব্যস্ত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে। এখনো চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন। প্রকাশিত গ্রন্থ: নহর ও লীথী (গল্পগ্রন্থ, ২০০৯), এই আমার আকাশ (উপন্যাস, ২০১১), অমৃত এবং হলাহল ( গল্পগ্রন্থ, ২০২০), স্বর্ণমৃগ (উপন্যাস, ২০২০), সৃজনশীলতা (অনুবাদ, ২০২২)।
৳ 240মানসিক প্রশান্তি আর মর্যাদাপূর্ণ জীবনের জাদুকাঠি
৳ 200জন্ম: আটোয়ারী, পঞ্চগড়
মা আয়েশা খাতুন ও বাবা মো. এমদাদুল হক।
পেশা: শিক্ষকতা। এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
নেশা: শেখা এবং শেখানো
পড়াশোনা: আটোয়ারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েসমিনিস্টার (লন্ডন)
প্রকাশিত গ্রন্থ: মানসিক প্রশান্তি আর মর্যাদাপূর্ণ জীবনের জাদুকাঠি (আদর্শ, ২০১৬)
সাংগঠনিক তৎপরতা: সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি সোসাইটি; আজীবন সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন; সদস্য, বাংলাদেশ চাইল্ড এন্ড এডলসেন্স মেন্টাল হেলথ।
প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক: মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনলাইন ভিত্তিক ম্যাগাজিন মনোযোগী মন
(www.monojogimon.com)
ব্যক্তিগত জীবন: বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।৳ 250মানুষ ও ভাইরাসের যুদ্বের ইতিহাস: করোনার শুরু থেকে শেষ
৳ 192মোস্তফা তানিম লেখালেখি করছেন তিন দশক ধরে। তিনি মূলত: একজন সায়েন্স ফিকশান এবং বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক। বাংলাদেশের যে স্বল্প সংখ্যক লেখক সায়েন্স ফিকশান লিখে পাঠকের মনোযোগ কেড়েছেন, মোস্তফা তানিম তাদেরই একজন।
লেখক তীর্থভূমি হিসেবে খ্যাত ‘কচি কাঁচার আসর’ দিয়ে তার লেখক জীবনের সূচনা। নব্বই দশকে পত্রিকার জন্য দুই হাতে লিখেছেন। এখন নিয়মিত লিখছেন প্রথম আলোতে।
লেখালেখির মতো তার পেশাও ভীষণভাবে বিজ্ঞানকেন্দ্রিক। বুয়েটে লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে তিনি পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এ এন্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একটি মার্কিন আই,টি, কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
জগতের রহস্যময়তা এবং যুক্তি – এই দু’টি বিপরীতমুখী জিনিস তাকে সমানভাবে টানে। তার লেখালেখিতে এই দুয়ের সুন্দর সমন্বয় ঘটেছে। যে কারণে তার সায়েন্স ফিকশান অথবা বিজ্ঞানের তথ্যমূলক গ্রন্থগুলো কেবল বিজ্ঞানের নীরস কচকচানি নয়, একই সাথে রহস্যময় জগতের সরস বর্ণনামুখর।এটি নিয়ে তার তেরটি গ্রন্থ প্রকাশিত হলো।
৳ 240মালাকার সম্প্রদায় ও শোলাশিল্প
৳ 160সাকার মুস্তাফা লোকসংস্কৃতির নিবিষ্ট সেবক। পারিববারিক আবহ থেকে রূপকথা, উপকথা ও সংগীতের যে মুগ্ধতা শুরু হয়েছিল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগে শিক্ষকতার সুযোগে সেই মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে কর্মে ও সাধনায়। ক্ষেত্রসমীক্ষার পাশাপাশি লোকসংস্কৃতিকে তাত্ত্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসেন তিনি। দেশে-বিদেশে তার গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা দশের অধিক। আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে মরোক্কোয়, জওহরলালনেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, এবং ওড়িষ্যার পুরী কনফারেন্সে তিনি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন এবং ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেছেন।
জন্ম ২৬ মাঘ ১৩৯৭ বঙ্গাব্দে সাতক্ষীরা জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিক স্বর্ণপদক, অ্যাওয়ার্ড ও স্কলারশিপে ভূষিত হয়েছেন। মালাকার সম্প্রদায় ও শোলাশিল্প তাঁর চতুর্থ গ্রন্থ। এর আগে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাগ্রন্থ মধ্যযুগের কবি কৃষ্ণদাস বিরচিত পুথিকাব্য: স্বরূপ বর্ণনা (২০২২), নজরুলের শ্যামাসাধনা ও শ্যামাসংগীত (২০১৯) এবং গল্পগ্রন্থ ভাঙা ইতিহাস (২০১৫)। তার সম্পাদনায় ২০২০ সাল থেকে বাৎসরিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ফোকলোর গবেষণা পত্রিকা।৳ 200মুসলিম দুনিয়ার ক্ষমতা সম্পর্কের ইতিহাস জিহাদ ও খেলাফতের সিলসিলা
৳ 320পারভেজ আলম
লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী।প্রকাশিত গ্রন্থ
মুসলিম জগতের জ্ঞানতাত্ত্বিক লড়াই
শাহবাগের রাষ্ট্রপ্রকল্প
জিহাদ ও খেলাফতের সিলসিলাইমেইল: [email protected]
ব্লগঃ৳ 400মেয়েটি জিহাদে গিয়েছিল
৳ 320তন্ময় ইমরান
জন্ম ১৯৮৩ সালের ৫ নভেম্বর, ঢাকার শান্তিনগরের ফরিদা ক্লিনিকে। বাবা মুহাম্মদ আলী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী ছিলেন এবং মা আইরিন পারভীন গৃহিণী। নানার বাড়িতে বড় হয়েছেন।
বন্ধুরা জনি নামেই ডাকে। কেতাবি নাম— হাবিব ইমরান। তবে তন্ময় ইমরান নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত। তন্ময় নামে দাদাবাড়ির লোকজন ডাকে। সে কারণে এটি বেছে নেওয়া।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ।
ছোটবেলা থেকে লেখালেখির অভ্যাস। ‘দৈনিক আমাদের সময়’ দিয়ে পত্রিকায় চাকরি শুরু। এরপর দৈনিক যায়যায়দিন, কালের কণ্ঠ, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও একাত্তর টিভি হয়ে এখন সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রবাস পাতার সম্পাদক। এর পাশাপাশি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং বিভাগের ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন কিছুদিন।
ছাত্রজীবনে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘দিয়াশলাই’ নামের একটি ছোটকাগজ বের করার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একাধিক গল্প নিয়ে টিভি নাটক হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— শহুরে সব গঙ্গা ফড়িং আর বুড়োঘোড়া।
‘মনফড়িং’ নামে একটি চিত্রনাট্য লিখেছেন, যা ২০১৭ সালে ইংরেজিতে দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকার সেরা ফিকশন ফিল্ম ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। দেশে-বিদেশে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পাওয়া ‘মনফড়িং’ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত জাতীয় শিশু চলচ্চিত্র উৎসবেও সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে।
‘মৃত্যু ও মিডিয়া এক্সপোজার’ তার প্রথম গল্পের বই। আর প্রথম উপন্যাস ‘মেয়েটি জিহাদে গিয়েছিল’।
৳ 400মোহিনী আর নেই
৳ 240মো. ইয়াছিন
একজন শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী। সারাদিন কর্মস্থলে কাটিয়ে বাসায় ফিরে হাত-মুখ ধুয়ে কাগজ-কলম নিয়ে বসে পড়াই তার নিত্যদিনের কাজ। এই কাগজ-কলম তার পৃথিবী, তার জীবন, তার স্বপ্ন। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন এই পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার আগে এমন কিছু লিখে রেখে যাওয়া যার মাধ্যমে মানুষ তাকে চিরকাল মনে রাখবে। সেই চেষ্টায় তিনি রাত জাগেন, কাগজ-কলমের সাথে কথা বলেন, শব্দ জমা করেন। দিনশেষে তার একমাত্র সম্বল, একটি একটি করে জমিয়ে রাখা শব্দগুলো দিয়ে বই প্রকাশিত হয়। আশা ফুরায় না। আরো ভালো কিছু করার লোভে তিনি আবারও কাগজ-কলম নিয়ে বসে পড়েন। আবার শুরু হয় শব্দ জমিয়ে রাখা।৳ 300মৌনতা ক্লাব
৳ 336হিমালয় কোনো বইয়ে লহিয়মা কিংবা হিলমায় হলে কি জাত চলে যাবে?
জাতের প্রসঙ্গই যেহেতু এল একটা গল্প বলি। ত্রিধা নামের এক কন্যাশিশু আমার লেখা ‘প্রযত্নে-হন্তা’ বইটি হাতে নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গেল, একেবারে রোদের মতো নীরব। একপর্যায়ে থাকতে না পেরে জেরা শুরু করল- ‘আঙ্কেল, তুমি কি চুরি করেছ?’ হঠাৎ এই প্রশ্নের হেতু কী, বোঝার চেষ্টা করব তার আগেই বইয়ের ২য় ফ্ল্যাপে আঙুল তাক করে বলে, ‘একে ধরিয়ে দিন লিখে পত্রিকায় যেমন ছবিসহ বিজ্ঞাপন দেয়, তোমার ছবিও বইতে সেভাবে ছাপা হয়েছে। ছিঃ আঙ্কেল, তোমাকে ভালো মানুষ ভেবেছিলাম।’
আত্মপক্ষ সমর্থনের ভঙ্গিতে জানাই, ‘বাবু, আমি তো লেখক; যারা টাকা দিয়ে বই কেনে তারা যাতে রাস্তাঘাটে দেখলে চিনতে পারে সে জন্য ছবি দিয়েছি।’ শুনে সে নতুন আব্দার ধরল, ‘তোমার নাম-ছবি সরিয়ে আমারটা বসালেই কি লোকজন তখন আমাকে চিনবে? খুবই সহজ কাজ, করে দাও না আঙ্কেল।’
সরলমনে বললেও বাচ্চাটার কথার ওজনে ধরণি ক্রমশ দ্বিধা হতে থাকে; সামান্য ভাষাজ্ঞান আর কিছু বই পড়া-সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা পুঁজি করে যেকোনো মানুষই লিখতে পারে, তারা যদি প্রেসের লোককে হাত করে নাম আর ছবি অপসারণ করে, শত-সহস্র বাক্য আর শব্দের কল্পনাস্বত্বও তো লোপাট! নাম-ছবি কিছুই নেই তবু ছয়-সাতটা বাক্য পড়েই অনুমান করা যাবে সম্ভাব্য লেখকের পরিচিতি, তেমন সিগনেচার টোন তৈরি করতে না পারলে লেখককে মনে হবে বাংলা সিনেমার জাম্বু— এমন পর্বতপ্রমাণ শরীর শুধু নায়কের বেদম প্রহার সয়েই বিনোদন দিয়ে গেল! তাই সভয়ে সকাতরে ছবি একটা দিচ্ছি বটে, কিন্তু কেবলই মনে হচ্ছে এই বুঝি ঘুষি বাগিয়ে আসছে তেড়ে নায়ক জসিম।
[email protected]৳ 420যখন আমি রেগে যাই
৳ 112মাইশা ইসলাম একজন শিল্পী ও ফটোগ্রাফার, একজন মা ও শিক্ষাবিদ। বাস করছেন মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়ায়।
শিশু-কিশোরদের জন্য অর্থপূর্ণ বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করা তার আগ্রহ। তার বই পড়ে শিশুরা বাড়িতে ও ক্লাসরুমে নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখবে, এটাই তার প্রত্যাশা।
৳ 140যে পথে জ্যান্ত গল্পেরা হেঁটে গেছে
৳ 214জন্ম কুষ্টিয়ার হাজরাহাটী গ্রামে। বেড়ে উঠেছেন ট্রাডিশনাল হিন্দু ফ্যামিলিতে। ছেলেবেলা কেটেছে প্রচুর বই পড়ে। যৌথ পারিবারিক আবহে সময়টা ছিল কালারফুল। বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে থেকেছেন অনেক জায়গায়। স্কুলজীবন ধারাবাহিক ছিল না। উচ্চশিক্ষাও স্থিতিশীল হয়নি। আইইবি (বুয়েট)-এ সিভিলে অনার্সে ভর্তি হন। তিন বছর পড়ে ভালো না লাগায় সেখানকার পাঠ চুকান। সিনেমার নেশা ছিল আগে থেকেই। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে সিনেমা নিয়ে পড়ছেন। মেইনস্ট্রিম সিনেমায় কাজ করেন। স্ক্রিপ্ট সুপারভাইজার, এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার, ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। ভালো লাগে লিখতে।
৳ 267রঙপ্যাথি
৳ 320হিমালয় কোনো বইয়ে লহিয়মা কিংবা হিলমায় হলে কি জাত চলে যাবে?
জাতের প্রসঙ্গই যেহেতু এল একটা গল্প বলি। ত্রিধা নামের এক কন্যাশিশু আমার লেখা ‘প্রযত্নে-হন্তা’ বইটি হাতে নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গেল, একেবারে রোদের মতো নীরব। একপর্যায়ে থাকতে না পেরে জেরা শুরু করল- ‘আঙ্কেল, তুমি কি চুরি করেছ?’ হঠাৎ এই প্রশ্নের হেতু কী, বোঝার চেষ্টা করব তার আগেই বইয়ের ২য় ফ্ল্যাপে আঙুল তাক করে বলে, ‘একে ধরিয়ে দিন লিখে পত্রিকায় যেমন ছবিসহ বিজ্ঞাপন দেয়, তোমার ছবিও বইতে সেভাবে ছাপা হয়েছে। ছিঃ আঙ্কেল, তোমাকে ভালো মানুষ ভেবেছিলাম।’
আত্মপক্ষ সমর্থনের ভঙ্গিতে জানাই, ‘বাবু, আমি তো লেখক; যারা টাকা দিয়ে বই কেনে তারা যাতে রাস্তাঘাটে দেখলে চিনতে পারে সে জন্য ছবি দিয়েছি।’ শুনে সে নতুন আব্দার ধরল, ‘তোমার নাম-ছবি সরিয়ে আমারটা বসালেই কি লোকজন তখন আমাকে চিনবে? খুবই সহজ কাজ, করে দাও না আঙ্কেল।’
সরলমনে বললেও বাচ্চাটার কথার ওজনে ধরণি ক্রমশ দ্বিধা হতে থাকে; সামান্য ভাষাজ্ঞান আর কিছু বই পড়া-সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা পুঁজি করে যেকোনো মানুষই লিখতে পারে, তারা যদি প্রেসের লোককে হাত করে নাম আর ছবি অপসারণ করে, শত-সহস্র বাক্য আর শব্দের কল্পনাস্বত্বও তো লোপাট! নাম-ছবি কিছুই নেই তবু ছয়-সাতটা বাক্য পড়েই অনুমান করা যাবে সম্ভাব্য লেখকের পরিচিতি, তেমন সিগনেচার টোন তৈরি করতে না পারলে লেখককে মনে হবে বাংলা সিনেমার জাম্বু— এমন পর্বতপ্রমাণ শরীর শুধু নায়কের বেদম প্রহার সয়েই বিনোদন দিয়ে গেল! তাই সভয়ে সকাতরে ছবি একটা দিচ্ছি বটে, কিন্তু কেবলই মনে হচ্ছে এই বুঝি ঘুষি বাগিয়ে আসছে তেড়ে নায়ক জসিম।
[email protected]৳ 400রবীন্দ্রসৃজনে বাংলাদেশ
৳ 176জন্ম : ১৯৮৯ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের জামালপুর জেলার কুলকান্দি গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি (২০০৫), নটর ডেম কলেজ ঢাকা থেকে এইচএসসি (২০০৭), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মান (২০১১) ও স্নাতকোত্তর (২০১২)। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে (সিজিপিএ) প্রথম স্থান। একই বিভাগের অধীনে ‘বাংলাদেশের উপন্যাসে সাতচল্লিশের রাজনীতি’ বিষয়ে পিএইচডি গবেষণারত। আগ্রহের বিষয় : সাহিত্যে আর্থ-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতা অনুসন্ধান এবং কবিতাপাঠ। প্রকাশিত কবিতার বই : শরীরী অশরীরী (২০১৪), অসময়ের ঘ্রাণ (২০১৯)। সম্পাদনা : শ্রেষ্ঠ গল্প সৈয়দ মুজতবা আলী (২০১৬)। সম্পাদিত সাহিত্যপত্র : বীজমন্ত্র (২০১১)।
৳ 220