সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি বই

৳ 486৳ 608

7 in stock

মুখোমুখি

সাংবাদিকতার জগতে স্পষ্টবাদিতার আরেক নাম খালেদ মুহিউদ্দিন। সাংবাদিক জীবনের একদম শুরুর দিকে তিনি ৪জন রাজনৈতিক নেতার মুখোমুখি হন। তারা হলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, সাবেক নৌপরিবহণমন্ত্রী শাহজাহান খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং আওয়ামী লীগ নেতা এইচ টি ইমাম। এই ইন্টারভিউতে উঠে আসে খালেদা জিয়ার ছেলেদের বিদেশযাত্রা, বিচারপতির বয়সসীমা পরিবরর্তন, টকশোতে অসদাচরণসহ নানান বিতর্কিত প্রসঙ্গ।
ধরা যাক, রাজনীতিতে আপনার আগ্রহ নেই। সাংবাদিকতাও আপনাকে আকৃষ্ট করে না। তাহলে বইটি কেন পড়বেন? সঠিক জায়গায় সঠিক প্রশ্নটি কীভাবে করতে হয় বা উত্তরটি কীভাবে আদায় করে নিতে হয় তার একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত এই বইটি। অন্তত প্রশ্নকর্তা তার ক্ষুরধার প্রশ্ন ও বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা দিয়ে পুরো বইতে আপনার মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম। এবার সিদ্ধান্ত আপনার।

 

শামসুর রাহমান আল মাহমুদ: তফাৎ ও সাক্ষাৎ

বাংলা সাহিত্যে অনেককে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। হাল আমলে আলোচনা ও বির্তক হয় আমাদের দেশের দুই প্রধান কবিকে নিয়ে। শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদ দুজনই সমসাময়িক কবি। কিন্তু মত ও পথ আলাদা। এই দুই কবির সঙ্গে আমার পরিচয় দীর্ঘকালের। শামসুর রাহমানকে আমি সম্বোধন করি ‘স্যার’। আর অতীতে বন্ধুত্ব থাকা সত্ত্বেও কিছু নীতিগত কারণে আল মাহমুদ থেকে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু শামসুর রাহমানের লেখা যেভাবে আমি গুরুত্ব সহকারে পাঠ করি, সেভাবে আল মাহমুদকেও পাঠ করি। আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ পোরট্রেট ফটোগ্রাফার নাসির আলী মামুন এই দুই কবিকে একসাথে বসিয়ে যে সাক্ষাৎপর্ব ঘটিয়েছেন তা বাংলা সাহিত্যে একটি বিরল ঘটনা বলে আমি শনাক্ত করি। মামুন শুধু দুই কবিকে এক করে সাক্ষাৎকার নিয়েই ক্ষান্ত হননি, সে তাদের দুজনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও দূরত্বের কারণগুলো বের করে এনেছেন। শামসুর রাহমান আল মাহমুদ: তফাৎ ও সাক্ষাৎ বইটিতে বরেণ্য আলোকচিত্রী মামুন এমন সব তথ্য ও বক্তব্য দুই কবির বয়ান থেকে বের করে নিয়েছেন যার অনেক কিছু এই প্রথম আমরা অবগত হয়েছি। দুই কবির অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা এখানে লিপিবদ্ধ আছে, যা পাঠকেদের টেনে নিয়ে যাবে শেষ পর্যন্ত। তাছাড়া মামুনের দীর্ঘদিনের তোলা বেশ কয়েকটি দুর্লভ আলোকচিত্র বইটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিল ২০০৪ সালে। আর যে সময়ে বইটি প্রকাশিত হল তখন আমাদের মাঝে প্রিয় কবি শামসুর রাহমান নেই। তাঁকে আমরা নানাভাবে স্মরণ করব। এ বইটিও তেমন একটি আয়োজন। আমি নাসির আলী মামুন-এর এই বইটিকে বাংলা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল বলেও চিহ্নিত করতে চাই।
—বেলাল চৌধুরী

খালেদ মুহিউদ্দিনখালেদ মুহিউদ্দিন সবার কাছে পরিচিত নির্ভীক ও নিরপেক্ষ সাংবাদিক হিসেবে। তিনি বর্তমানে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে’র বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
সাংবাদিকতার টানে নিরাপদ সরকারি চাকরি ছেড়ে যোগ দেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে। তিনি সবার নজরে আসেন এখানে প্রচারিত ’আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। তাঁর নেওয়া একের পর এক ইন্টারভিউ সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে ঝড় তোলে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ইন্টারভিউটি।
এতেও থেমে থাকেননি তিনি। তাঁর লেখা বই সাংবাদিকতায় পড়ুয়াদের জন্য অবশ্যপাঠ্য। এভাবে তিনি সাংবাদিকতা জগতে হয়ে উঠেছেন একটি দৃষ্টান্ত।

নাসির আলি মামুন১৯৭২ সালে নাসির আলী মামুন বাংলাদেশে পোট্রেট ফটোগ্রাফির সূচনা করেন। আমাদের কালের শ্রেষ্ঠ মানুষেরা তাঁর ক্যামেরায় বন্দি হয়ে আছে। তাদের বিভিন্ন সময়ের মুহূর্তগুলো তিনি অত্যন্ত পারদর্শিতার সঙ্গে ধরে রেখেছেন আলোকচিত্রে এবং তার তোলা বিশিষ্টজনদের স্থিরচিত্রে আলো আঁধারের ঐশ্বরিক স্পর্শ তাঁকে।

Customer Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি বই”

Your email address will not be published. Required fields are marked *