পূর্ব বাংলার ফটোগ্রাফির জনক কে? এক বিস্মৃত ইতিহাসের সন্ধানে
আপনি কি জানেন, ১৯১২ সালে যখন ক্যামেরা ছোঁয়াও বাঙালি মুসলমান সমাজে এক প্রকার নিষিদ্ধ ছিল, তখন এক তরুণ সাইকেলে ক্যামেরা ঝুলিয়ে বাজি ধরেছিলেন ইতিহাসের সাথে?
‘পূর্ব বাংলার ফটোগ্রাফি’ কেবল একটি বই নয়, এটি আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভিজ্যুয়াল ইতিহাসের এক প্রত্নতাত্ত্বিক খনন। নাসির আলী মামুন, যিনি নিজেই বাংলা আলোকচিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, তিনি খুঁজে বের করেছেন আমাদের ফটোগ্রাফির আদিপিতা গোলাম কাসেম ড্যাডিকে। বইটিতে উঠে এসেছে ১৯১২ সাল থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগ পর্যন্ত পূর্ব বাংলার আলোকচিত্র চর্চার চড়াই-উতরাই।
এখানে পাঠক পাবেন গোলাম কাসেম ড্যাডির তোলা দুর্লভ সব ছবি, গ্লাস নেগেটিভের গল্প এবং তাঁর দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার। ব্রিটিশ ভারতের শেষ সময়, দাঙ্গা, দেশভাগ এবং বাংলাদেশের জন্ম—সবকিছুর সাক্ষী এই মানুষটি। নাসির আলী মামুনের জাদুকরী গদ্যে এই বইটি হয়ে উঠেছে গুরু-শিষ্যের এক অনবদ্য কথোপকথন এবং একটি জাতির দৃশ্যকলাবিকাশের রাজসাক্ষী।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ বিস্মৃত ইতিহাসের উন্মোচন: পূর্ব বাংলার আলোকচিত্র চর্চার আদি ইতিহাস এবং প্রথম বাঙালি মুসলিম আলোকচিত্রীর সংগ্রামের অজানা অধ্যায়।
✅ দুর্লভ ছবির সংগ্রহ: গোলাম কাসেম ড্যাডির তোলা ১৯১২ সালের গ্লাস নেগেটিভ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ছবি এবং তৎকালীন সমাজের দুষ্প্রাপ্য আলোকচিত্র।
✅ মাস্টারক্লাস ইন্টারভিউ: নাসির আলী মামুনের নেওয়া ড্যাডির দীর্ঘ সাক্ষাৎকার, যা নতুন প্রজন্মের আলোকচিত্রীদের জন্য এক গাইডলাইন।
✅ গবেষণা ও দলিল: যারা বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ভিজ্যুয়াল আর্ট নিয়ে গবেষণা করছেন, তাদের জন্য এই বইটি একটি আবশ্যিক রেফারেন্স।
লেখক পরিচিতি: বাংলাদেশের পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির প্রবাদপুরুষ নাসির আলী মামুন, যিনি তার লেন্স ও লেখনী দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের মহীরূহদের।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।
















