যখন পুরো পৃথিবীই হয়ে উঠেছিল এক বন্দিশালা, এই বই সেই দুঃসময়েরই এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি
মনে আছে সেই দিনগুলোর কথা? যখন পরিচিত পৃথিবীটা হঠাৎ ছোট হয়ে ঘরের চার দেয়ালে বন্দী হয়ে গেল? যখন প্রতিটি নিঃশ্বাস ছিল আতঙ্কের, আর ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলো ঢেকে গিয়েছিল অনিশ্চয়তার কালো মেঘে? আমরা হয়তো ভুলে যেতে চাই সেই ৮৮ দিনের স্মৃতি, কিন্তু ইতিহাস ভুলে যাওয়া মানেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি।
'ঘোরবন্দী গোল্ডফিশ' মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়ের কলমে উঠে আসা করোনা-কালের এক অসামান্য দলিল। ৮ মার্চ থেকে ৪ জুন, ২০২০—এই সময়টাতে একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ হিসেবে লেখক দেখেছেন সমাজের খোলস পাল্টে যাওয়া। একরত্তি দুই কন্যা 'উনিশ' আর 'তেইশ'-এর বাবার চোখে এই বইতে ধরা পড়েছে সংসারের টানাপড়েন, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা, আর সামাজিক দূরত্বের নামে তৈরি হওয়া অদ্ভুত সব মনস্তাত্ত্বিক দেয়াল।
এটি কোনো কাঠখোট্টা দিনলিপি নয়। এখানে আছে তীব্র স্যাটায়ার, যা প্রশ্নবিদ্ধ করে আমাদের হুজুগি স্বভাব, মিডিয়ার ভুমিকা এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের ভণ্ডামি। লেখকের ভাষায়, এটি 'মেহগনি কাঠের সত্যজিৎ' হওয়ার চেষ্টা—যেখানে কোনো মেকআপ ছাড়াই সময়ের নগ্ন রূপ তুলে ধরা হয়েছে। ল্যাবে তৈরি ভাইরাস থেকে শুরু করে চাল চুরির মহোৎসব, মৃত্যুভয় থেকে শুরু করে বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছা—সবই উঠে এসেছে এক নির্লিপ্ত অথচ গভীর পর্যবেক্ষণে।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ নির্মোহ সমাজ বিশ্লেষণ: করোনা মহামারি কীভাবে আমাদের চেনা সমাজের মুখোশ খুলে দিয়েছিল, তার এক সাহসী বয়ান।
✅ মধ্যবিত্তের আয়না: অর্থনৈতিক সংকটে পিষ্ট হয়েও কীভাবে সম্মানের ঠুলি পরে বাঁচতে হয়, সেই গোপন যন্ত্রণার শরীক হতে পারবেন।
✅ ঐতিহাসিক দলিল: ২০৬৯ সালে কেউ যদি ২০২০ সালকে জানতে চায়, তবে এই ডায়েরি হবে অন্যতম বিশ্বস্ত সূত্র।
✅ চিন্তার খোরাক: গতানুগতিক ভাবনার বাইরে গিয়ে লেখক প্রশ্ন তুলেছেন লকডাউন, চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং মানুষের আচরণ নিয়ে, যা আপনাকে নতুন করে ভাবাবে।
লেখক পরিচিতি: মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়—যিনি নিজেকে 'প্রক্সি লেখক' ভাবতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, কিন্তু যার লেখনীতে উঠে আসে সময়ের সবচেয়ে অপ্রিয় সত্যগুলো।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।