চিন্তায়, শূন্যতায় আর স্বপ্ন-দর্শনে মানুষ যেভাবে নিজের কাছেই মরে যায় প্রতিদিন
বেঁচে থাকা আর বংশবৃদ্ধি করা কি একই কথা? যদি তা-ই হতো, তবে মানুষের চেয়ে ঘাসফুল হওয়াই কি ঢের ভালো ছিল না? মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয় তার ‘প্রযত্নে-হন্তা’ বইটিতে এমন সব অস্বস্তিকর অথচ ধ্রুব সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন পাঠককে।
এটি গতানুগতিক কোনো গল্পের বই নয়। এখানে ‘৪১’ সংখ্যার রহস্যময় আশ্রমের গল্প আছে, যেখানে মানুষ গিনিপিগ হয় এক অদ্ভুত গবেষণার। আছে ‘মৃন্ময় আকাশ’ নামের এক ব্যর্থ কবির দলিল লেখক হয়ে ওঠার করুণ আখ্যান কিংবা সাহিত্য সমাজের ভণ্ডামি নিয়ে লেখা ‘পাঠক সমীপেষু’র মতো তীক্ষ্ণ স্যাটায়ার।
লেখক অত্যন্ত নিপুণভাবে দেখিয়েছেন কীভাবে মানুষ তার স্বপ্ন, দর্শন, এমনকি তার লালিত যত্ন-আত্তির মাধ্যমেই নিজের বিনাশ ডেকে আনে। গল্পগুলোর পরতে পরতে মিশে আছে অস্তিত্ববাদ, নাগরিক নিঃসঙ্গতা, আর মধ্যবিত্ত জীবনের করুণ সব প্রহসন। লেখকের ভাষায়—মানুষ আসলে প্রতিমুহূর্তেই নিজের কাছে নিজে মরে যায়, অথচ মানুষটি বেঁচে থাকে। এই বেঁচে থাকা লাশের ব্যবচ্ছেদই হলো ‘প্রযত্নে-হন্তা’।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ মনস্তাত্ত্বিক ভ্রমণ: প্রতিটি গল্প আপনার চিন্তাজগতকে নাড়া দেবে এবং নিজেকে নতুন করে প্রশ্ন করতে শেখাবে।
✅ তীক্ষ্ণ সমাজ-সমালোচনা: সাহিত্যিক আড্ডা থেকে শুরু করে কর্পোরেট ভণ্ডামি—সমাজের মুখোশ উন্মোচনকারী সাহসী সব আখ্যান।
✅ ভিন্নধর্মী প্লট: সংখ্যাতত্ত্বের রহস্য, ডায়েরির পাতা থেকে উঠে আসা জীবন কিংবা উল্টো রিয়েলিটির অদ্ভুত সব এক্সপেরিমেন্ট।
✅ মননশীল পাঠকের খোরাক: যারা সস্তা বিনোদনের বাইরে জীবনের গভীরতা ও অ্যাবসার্ডিটি খুঁজতে চান, বইটি তাদের জন্য।
লেখক পরিচিতি: মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয় নিজেকে কোনো কালজয়ী সাহিত্যিক দাবি করেন না, বরং তার লেখায় উঠে আসে নিজের সীমাবদ্ধতার প্রতি এক নির্মম ও সৎ স্বীকারোক্তি, যা তাকে করে তোলে অনন্য।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।