মাইন্ড ট্রাভেল: মস্তিষ্কের গোলকধাঁধায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার গল্প
মানুষ পৃথিবীর মাটি থেকে মহাকাশ—সব জয় করেছে। কিন্তু নিজের মস্তিষ্কের গহীনে ভ্রমণের কথা কখনো ভেবেছেন? যদি এমন হয়, একটি ক্যাপসুল আপনাকে নিয়ে যাবে চেতনার এক সমান্তরাল জগতে, যেখান থেকে ফিরে আসাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ?
তরুণ মিরাজের বাবা একজন বিজ্ঞানী, যিনি দীর্ঘ ২২ বছর গবেষণা করে আবিষ্কার করেছেন ‘টার্ডে’ নামক ক্যাপসুল। কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখনই, যখন এই ক্যাপসুল সেবনকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা যেতে থাকে। বাবাকে গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু তিনি দাবি করেন তার গবেষণা সফল। বাবার এই পাগলামি নাকি যুগান্তকারী আবিষ্কার—সত্য উদঘাটনে মিরাজ নিজেই বেছে নেয় সেই ভয়ঙ্কর পথ। সেবন করে ‘টার্ডে’ ক্যাপসুল।
শুরু হয় এক অবিশ্বাস্য যাত্রা। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে এক নতুন জগত, যেখানে সময়ের হিসেব পৃথিবীর মতো নয়। এখানে পৃথিবীর ১ ঘণ্টা মানে পুরো ১ দিন । মিরাজের হাতে সময় মাত্র ২৪ ঘণ্টা (বাস্তবের হিসেবে), এর মধ্যেই তাকে খুঁজে বের করতে হবে বাস্তবে ফেরার গোপন চাবি। একটু দেরি হলেই চিরতরে হারিয়ে যেতে হবে মস্তিষ্কের অতল গহ্বরে।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ অভিনব প্লট: সায়েন্স ফিকশন এবং সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের এক দুর্দান্ত সংমিশ্রণ, যেখানে ‘টাইম ডাইলেশন’ বা সময়ের আপেক্ষিকতা গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
✅ আবেগ ও রহস্য: বাবার হারানো সম্মান ফিরিয়ে আনার জন্য সন্তানের আত্মত্যাগ এবং রহস্যময় এক জগতের রোমাঞ্চকর বর্ণনা।
✅ অজানা জগত: গল্পের প্রতিটি ভাঁজে রয়েছে মস্তিষ্কের এক কাল্পনিক জগতের চিত্রায়ন—কখনো পাহাড়, কখনো বা পরিচিত মানুষের অচেনা রূপ।
✅ তরুণ প্রজন্মের জন্য: যারা রহস্য, অ্যাডভেঞ্চার এবং ফ্যান্টাসি জনরা পছন্দ করেন, তাদের এক বসায় পড়ে শেষ করার মতো বই।
লেখক পরিচিতি: তরুণ লেখক মো. ইয়াছিন তার সাবলীল লেখনী এবং চমৎকার কল্পনাশক্তির মাধ্যমে পাঠককে এমন এক জগতে নিয়ে যান, যেখানে বিজ্ঞান আর ফ্যান্টাসি মিলেমিশে একাকার।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা।















