বাঙালি নাকি বাংলাদেশি? জাতীয়তাবাদের গোলকধাঁধা থেকে বের হওয়ার তাত্ত্বিক মানচিত্র
১৯৪৭, ১৯৭১ নাকি ১৯৭৫—আমাদের জাতীয়তাবাদের ভিত্তি আসলে কোনটি? আবেগের আড়ালে চাপা পড়ে যাওয়া যুক্তির এক নতুন দুয়ার খুলতে যাচ্ছে এই বইটি, যা আপনাকে শেখাবে কীভাবে জাতিগত আবেগের ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্রীয় পরিচয়ে গর্বিত হতে হয়।
‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ’ কেবল ইতিহাসের বই নয়, বরং এটি সমকালীন রাজনীতির এক ব্যবচ্ছেদ। লেখক মারুফ মল্লিক দেখিয়েছেন, কীভাবে জাতিবাদী জাতীয়তাবাদ একটি সমাজকে ‘আমরা ও তাহারা’-তে বিভক্ত করে ফেলে এবং কীভাবে ‘রাষ্ট্রীয় জাতীয়তাবাদ’ একটি বহুত্ববাদী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের জন্ম দিতে পারে।
বইটিতে ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী সময়ে ৭ নভেম্বরের পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’-এর বিকাশকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, খাল কাটা কর্মসূচি এবং পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে কীভাবে একটি তাত্ত্বিক ধারণা রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে রূপ পেল—তার পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা আপনাকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে। পশ্চিমের তাত্ত্বিকদের ধারণার পাশাপাশি আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপট মিলিয়ে লেখক দাঁড় করিয়েছেন এক অনবদ্য বিশ্লেষণ।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ জাতীয়তাবাদের স্পষ্ট ধারণা: উদারপন্থী, মার্কসবাদী ও রক্ষণশীল—জাতীয়তাবাদের সবকটি ধারার তুলনামূলক বিশ্লেষণ এক মলাটে।
✅ পরিচয় সংকটের সমাধান: বাঙালি ও মুসলিম জাতীয়তাবাদের দ্বান্দ্বিক অবস্থান এবং এর বিপরীতে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’-এর উত্থানের যৌক্তিক প্রেক্ষাপট।
✅ রাষ্ট্রীয় নীতি ও প্রয়োগ: কীভাবে একটি রাজনৈতিক দর্শন (যেমন: উৎপাদনমুখী রাজনীতি, গ্রামীণ উন্নয়ন) রাষ্ট্রের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিকে বদলে দিতে পারে, তার বাস্তব কেস স্টাডি।
✅ ইতিহাস ও রাজনীতির পাঠ: রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজতত্ত্বের শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি বুঝতে আগ্রহী যেকোনো পাঠকের জন্য এটি একটি রেফারেন্স বুক।
লেখক পরিচিতি: জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকারী মারুফ মল্লিক সাংবাদিকতা ও গবেষণার এক অনন্য মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন তার লেখনীতে।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।



















