মায়ার আবরণে ঢাকা কিছু সম্পর্কের ব্যবচ্ছেদ ও আত্মানুসন্ধানের গল্প
সুখানদিঘির শান্ত জলের ওপর দিয়ে যখন ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়, তখন কি সব সম্পর্ক আগের মতো থাকে? মায়া কি সবসময় মানুষকে বেঁধে রাখে, নাকি কখনও কখনও তা হয়ে ওঠে এক অসহ্য পিছুটান?
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র জেসমিন, যার গর্ভবতী শরীরের ক্লান্তির চেয়েও বড় হয়ে ওঠে স্বামী খালেদের উদাসীনতা। এক অকাল মৃত্যু যখন জেসমিনের জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দেয়, তখন সুখানদিঘির সেই বড় বাড়িতে শুরু হয় এক নতুন টানাপোড়েন। সমাজ চায় জেসমিনের ছোট বোন রুনা তার দুলাভাই খালেদকেই বিয়ে করে সংসার সামলাক। কিন্তু রুনার চোখে আছে অন্য কোনো স্বপ্ন, অন্য কোনো মানুষের ছায়া।
অন্যদিকে, নাতাশা ফিরে আসে তার শেকড়ের সন্ধানে। ছোটবেলায় ছেড়ে যাওয়া বাবা জহিরুলের নিঃশব্দ ভালোবাসার ভেতর সে খুঁজে পায় জীবনের এক চিরন্তন সত্য। মায়া আসলে কী? তা কি কেবল রক্তের বন্ধন, নাকি আত্মার এক গভীর আকুতি? সাফিনাজ সুলতানার দক্ষ লেখনীতে উঠে এসেছে মায়া আর বাস্তবতার এক অদ্ভুত দোলাচল।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ আবেগঘন চিত্রায়ন: মধ্যবিত্ত জীবনের সম্পর্কের গভীর টানাপোড়েন এবং নীরব আত্মত্যাগের অসাধারণ এক প্রতিচ্ছবি।
✅ শেকড়ের সন্ধান: নাতাশা ও জহিরুলের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে নিজের পরিচয় ও শেকড় খুঁজে পাওয়ার এক চিরন্তন জার্নি।
✅ জীবনদর্শন: প্রতিটি চরিত্রের মধ্য দিয়ে লেখক জীবনের ধ্রুব সত্য এবং বদলে যাওয়ার গল্পগুলোকে নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
✅ গতিশীল আখ্যান: গ্রামবাংলার সহজ-সরল প্রকৃতির পটভূমিতে তৈরি হওয়া এক রোমাঞ্চকর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।
লেখক পরিচিতি: সাফিনাজ সুলতানা তাঁর সহজ অথচ তীক্ষ্ণ লেখনী দিয়ে মানুষের মনের গহীনের অব্যক্ত কথাগুলোকে জীবন্ত করে তোলেন। এটি তাঁর প্রকাশিত তৃতীয় উপন্যাস।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















