প্রশাসন পুনর্গঠন

জুলাইয়ের স্বপ্নে কেমন হবে আগামীর বাংলাদেশ? জেনে নিন রাষ্ট্র সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা

জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি সরকারের পতন ঘটায়নি, এটি আমাদের সামনে ছুড়ে দিয়েছে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ—রাষ্ট্র মেরামত। কিন্তু দীর্ঘদিনের দলীয়করণে পচে যাওয়া প্রশাসন দিয়ে কি নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব? নাকি পুরোনো বোতলেই নতুন মদ ভরার আয়োজন চলছে?

‘প্রশাসন পুনর্গঠন’ নিছক কোনো একাডেমিক বই নয়; এটি সময়ের প্রয়োজনে লেখা এক সাহসী দলিল। লেখক ড. মোসলেহ উদ্দিন আহমদ অত্যন্ত নিপুণভাবে ব্যবচ্ছেদ করেছেন বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে কীভাবে পুলিশ, বিচার বিভাগ এবং স্থানীয় সরকারকে দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল।

বইটিতে কেবল সমস্যার কথাই বলা হয়নি, বরং উঠে এসেছে সমাধানের পথ। পুলিশকে কীভাবে রাজনীতিমুক্ত করা যায়, বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার উপায় কী, এবং আমলাতন্ত্রের লাল ফিতা ছিঁড়ে কীভাবে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়—তার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে এই বইয়ে। আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সেজন্য রাষ্ট্রকে ঢেলে সাজানোর তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গাইডলাইন হিসেবে এই বইটি অপরিহার্য।

কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি? 

✅ জুলাই স্পিরিট ও সংস্কার: অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রশাসনিক জটিলতা ও উত্তরণের পথ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন। 
✅ প্রতিষ্ঠান মেরামত: বিচার বিভাগ, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে কীভাবে স্বাধীন ও শক্তিশালী করা যায়, তার এক্সপার্ট অপিনিয়ন। 
✅ দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধ: সরকারি চাকরিতে মেধার মূল্যায়ন এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর বাস্তবসম্মত প্রস্তাবনা। 
✅ সচেতন নাগরিকের হাতিয়ার: নীতিনির্ধারক, শিক্ষার্থী, বিসিএস পরীক্ষার্থী এবং সচেতন নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে বোঝার এক অনন্য মাধ্যম।

লেখক পরিচিতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক এবং পাবলিক পলিসি বিশেষজ্ঞ ড. মোসলেহ উদ্দিন আহমদ তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে এই সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি করেছেন।

গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।