উন্নয়নের 'মেগা' মিথের আড়ালে লুকিয়ে থাকা দুঃশাসনের অকাট্য দলিল!
গত দেড় দশকে বাংলাদেশ কি আসলেই এগিয়েছে, নাকি কতিপয় গোষ্ঠীর লুণ্ঠনের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছিল? চাকচিক্যময় অবকাঠামোর আড়ালে কীভাবে ধসে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি, মানবাধিকার এবং বিচারব্যবস্থা—তা কি আপনি জানেন?
‘শেখ হাসিনার দুঃশাসনের খতিয়ান’ কোনো সাধারণ রাজনৈতিক বই নয়; এটি একটি জাতির দেড় দশকের বঞ্চনা ও প্রতিরোধের দালিলিক প্রমাণ। লেখক কল্লোল মোস্তফা তার স্বভাবসুলভ তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণে তুলে এনেছেন কীভাবে ব্যাংক খাতকে পরিকল্পিতভাবে দেউলিয়া করা হয়েছে, জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি দিয়ে হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মানুষের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।
বইটিতে কেবল সমস্যার কথাই নেই, আছে গভীর অনুসন্ধান। ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে শুরু করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি—প্রতিটি বিষয় লেখক ব্যবচ্ছেদ করেছেন তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থান আমরা দেখেছি, তার পেছনের বারুদ কীভাবে ধাপে ধাপে জমেছিল, তার উত্তর মিলবে এই বইয়ের পাতায় পাতায়। যারা আগামীর বাংলাদেশকে বুঝতে চান, তাদের জন্য অতীতের এই নির্মোহ ময়নাতদন্ত পাঠ করা অপরিহার্য।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ লুণ্ঠনের অর্থনীতি: ব্যাংক কেলেঙ্কারি, শেয়ার বাজার কারসাজি এবং মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতির ভেতরের খবর ও পরিসংখ্যান।
✅ জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট: কোটা সংস্কার আন্দোলন কীভাবে স্বৈরাচার পতনের একদফা আন্দোলনে রূপ নিল, তার বিশ্লেষণ।
✅ মানবাধিকার ও পররাষ্ট্রনীতি: গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং ভারতের সঙ্গে অসম সম্পর্কের অকাট্য খতিয়ান।
✅ ভবিষ্যতের সতর্কতা: সচেতন নাগরিক, শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের জন্য এই বই একটি সতর্কবার্তা, যেন ইতিহাস আর কখনও ফিরে না আসে।
লেখক পরিচিতি: কল্লোল মোস্তফা একজন প্রকৌশলী ও গবেষক, যিনি গত এক দশক ধরে উন্নয়ন অর্থনীতি, পরিবেশ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য-উপাত্তভিত্তিক সাহসী লেখনীর জন্য পাঠকসমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















