জুলাই অভ্যুত্থান: রক্ত, বারুদ আর সাহসের এক মহাকাব্যিক দলিল ‘আজাদি’
আপনি কি সেই সময়ের সাক্ষী, যখন রাজপথ ভিজেছিল তাজা রক্তে আর আকাশ ভারী হয়েছিল মায়ের কান্নায়? জুলাইয়ের সেই দিনগুলোতে আমাদের চেনা শহরটা পরিণত হয়েছিল এক অচেনা যুদ্ধক্ষেত্রে, যেখানে মৃত্যু ছিল নিত্যসঙ্গী, আর ‘আজাদি’ বা মুক্তি ছিল একমাত্র স্বপ্ন।
সালাহ উদ্দিন শুভ্রর ‘আজাদি’ কোনো সাধারণ কল্পকাহিনি নয়; এটি আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় গণজাগরণের এক বিশ্বস্ত আখ্যান। উপন্যাসের পাতায় পাতায় উঠে এসেছে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সেই শ্বাসরুদ্ধকর দিনগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। এখানে আবু সাঈদের বুক পেতে দেওয়ার দৃশ্য যেমন জীবন্ত, তেমনি মুগ্ধর ‘পানি লাগবে পানি’র হাহাকার আপনাকে স্তব্ধ করে দেবে।
গল্পের চরিত্র দোলা, আবেদ, মইন কিংবা প্রিয়া খান—এরা কেউ আপনার চেনা, কেউবা কল্পিত, কিন্তু তাদের প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস বড্ড বাস্তব। প্রিয়া খান যখন মর্গের লাশের স্তূপ দেখে থমকে দাঁড়ায়, কিংবা সন্তানহারা মায়ের বিলাপ যখন বাতাস ভারী করে তোলে—তখন আপনি অনুভব করবেন এক তীব্র দহন। স্বৈরাচারের পতন, ছাত্র-জনতার অকুতোভয় লড়াই এবং নতুন দিনের স্বপ্ন—সবই এক সুতোয় গেঁথেছে এই উপন্যাস। এটি একাধারে বেদনার, ক্ষোভের এবং চূড়ান্ত বিজয়ের গল্প।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ জীবন্ত ইতিহাস: চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও তারিখের নিখুঁত চিত্রায়ন, যা আগামী প্রজন্মের জন্য ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে।
✅ আবেগের রোলারকোস্টার: গল্পটি আপনাকে কখনো রাগে কাঁপাবে, কখনো কান্নায় ভাসাবে, আবার পরমুহূর্তেই বিজয়ের আনন্দে শিহরিত করবে।
✅ বীরের আখ্যান: আবু সাঈদ, মুগ্ধ, প্রিয়াম, বা রিয়া গোপের মতো শহীদদের আত্মত্যাগ এবং সাধারণ মানুষের অসাধারণ সাহসের গল্প এক মলাটে।
✅ সচেতন পাঠকের জন্য: যারা কেবল নিউজফিডের খবরে সন্তুষ্ট নন, বরং ইতিহাসের গভীরে গিয়ে সেই সময়ের রাজনীতি ও মানবিক বিপর্যয়কে অনুভব করতে চান, এই বই তাদের জন্য।
লেখক পরিচিতি: সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত থাকায় সালাহ উদ্দিন শুভ্র দেখেছেন ঘটনার ভেতরের ঘটনা; সেই অভিজ্ঞতাই এই উপন্যাসকে দিয়েছে অবিশ্বাস্য এক গভীরতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















