জুলাই বিপ্লব: কেবল ঘটনার ঘনঘটা নয়, এটি এক জাতির জেগে ওঠার বুদ্ধিবৃত্তিক দলিল
২০২৪ সালের জুলাই মাসে আপনি কোথায় ছিলেন? রাজপথে, নাকি অনলাইনে? যেভাবেই হোক, সেই সময়কার প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি গুলি আর প্রতিটি স্লোগান আমাদের অস্তিত্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আবেগের তোড়ে অনেক গভীর সত্য আমাদের চোখের আড়ালে থেকে গেছে। সেই সত্যগুলোই এবার উঠে এসেছে ড. ফাহমিদুল হকের কলমে।
‘জুলাই জাগরণের দিনলিপি’ গতানুগতিক কোনো রাজনৈতিক কলামের সংকলন নয়। এটি একজন সমাজবিজ্ঞানী ও অ্যাক্টিভিস্টের চোখে দেখা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের ‘লাইভ ডকুমেন্টেশন’। লেখক বইটিতে ১৪ জুলাই থেকে শুরু করে ৫ আগস্টের সরকার পতন এবং পরবর্তী সময়কাল অর্থাৎ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের চিত্র নিখুঁতভাবে এঁকেছেন।
বইটি আপনাকে নিয়ে যাবে সেই দিনগুলোতে, যখন ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটে দেশ ছিল বিচ্ছিন্ন, যখন কারফিউর মধ্যে ঢাকার রাস্তায় নেমেছিল জেন-জি। কেবল ঘটনার বিবরণ নয়, লেখক ব্যবচ্ছেদ করেছেন স্বৈরাচারী শাসনের ‘৩ সি’ মডেল (Coercion, Credo, Communication) এবং দেখিয়েছেন কীভাবে ছাত্র-জনতা সেই দুর্গ চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল। ‘বিমর্ষ আগস্ট’ থেকে শুরু করে ‘দিশার খোঁজে ডিসেম্বর’— প্রতিটি অধ্যায়ে আপনি পাবেন নতুন বাংলাদেশের এক গভীর ও নির্মোহ বিশ্লেষণ।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ ইতিহাসের সাক্ষী: জুলাই অভ্যুত্থান থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তারিখওয়ারি বিশ্লেষণ ও প্রামাণ্যকরণ।
✅ তাত্ত্বিক বোঝাপড়া: কেন হঠাৎ কোটা আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিল? এর পেছনের সমাজতাত্ত্বিক কারণগুলো জানুন।
✅ ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা: স্বৈরাচার পতনের পর বাংলাদেশ কোন পথে? সংস্কার নাকি নতুন সংঘাত? লেখকের তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ আপনাকে ভাবতে শেখাবে।
✅ প্রামাণ্য দলিল: এটি কেবল পড়ার জন্য নয়, আগামী প্রজন্মের কাছে ‘জুলাই ২০২৪’-এর সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংগ্রহে রাখার মতো একটি বই।
লেখক পরিচিতি: স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষক নেটওয়ার্কের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও গবেষক ড. ফাহমিদুল হক, যার কলম সবসময় সত্যের পক্ষে আপসহীন।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















