কপালকুণ্ডলা

প্রকৃতি, প্রেম আর প্রতিহংসার এক শ্বাসরুদ্ধকর ধ্রুপদী আখ্যান

"পথিক, তুমি কি পথ হারাইয়াছ?"—সমুদ্রের গর্জনের মাঝে ভেসে আসা এই একটি প্রশ্ন বাংলা সাহিত্যের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আপনি কি প্রস্তুত সেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতায় ডুব দিতে, যেখানে প্রতিটি পাতায় অপেক্ষা করছে রহস্য?

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’ কেবল একটি প্রেমের উপন্যাস নয়; এটি প্রকৃতি ও সমাজের দ্বন্দ্বের এক অসাধারণ চিত্র। কাহিনির শুরু সাগরসঙ্গম থেকে ফেরার পথে, যেখানে কুয়াশায় পথ হারিয়ে নবকুমার এক কাপালিকের পাল্লায় পড়েন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে এক অপরূপা নারী, যে সমাজের রীতিনীতি চেনে না, চেনে কেবল বনের স্বাধীনতা।

কিন্তু নবকুমারের হাত ধরে কপালকুণ্ডলা যখন লোকালয়ে আসে, তখন শুরু হয় আরেক লড়াই। একদিকে কপালকুণ্ডলার নির্লিপ্ত উদাসীনতা, অন্যদিকে নবকুমারের পূর্বরাগ ও লুৎফ-উন্নিসা (মতিবিবি)-র রাজকীয় চক্রান্ত। কাপালিকের অলৌকিক প্রতিহিংসা আর আগ্রার রাজপ্রাসাদের জটিল রাজনীতি মিলে উপন্যাসটি হয়ে উঠেছে এক অনিবার্য ট্র্যাজেডি।

কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি? 

✅ কালজয়ী চরিত্রচিত্রণ: কপালকুণ্ডলার মতো এমন রহস্যময়ী ও স্বাধীনচেতা নারী চরিত্র বাংলা সাহিত্যে বিরল। 
✅ অসামান্য রোমাঞ্চ: তান্ত্রিক কাপালিকের ভয়ংকর সাধনা থেকে শুরু করে মতিবিবির ছদ্মবেশ—প্রতিটি মোড়ে রয়েছে চমক। 
✅ প্রকৃতির জীবন্ত রূপ: বঙ্কিমচন্দ্রের লেখনীতে সমুদ্রের গর্জন আর অরণ্যের নিস্তব্ধতা আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে। 
✅ সুন্দর ঝকঝকে সংস্করণ: ‘আদর্শ’ থেকে প্রকাশিত এই সংস্করণে পাচ্ছেন আধুনিক প্রচ্ছদ ও ঝকঝকে ছাপা, যা নতুন প্রজন্মের পাঠকদের জন্য সুখপাঠ্য।

লেখক পরিচিতি: আধুনিক বাংলা উপন্যাসের পথিকৃৎ ও ‘সাহিত্য সম্রাট’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখনী মানেই ইতিহাসের সাথে রোমান্সের এক জাদুকরী মিশেল, যা আজও বাঙালির মননে অমলিন।

গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।