সাংবাদিকতার বাতিঘর ও ভাষাসৈনিক মাশির হোসেন হিরু: এক বিস্মৃত নায়কের ফিরে আসা
আপনি কি জানেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি প্রথম মঞ্চায়নের অপরাধে কাকে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল? তিনি আর কেউ নন, সাংবাদিকতার কিংবদন্তি পুরুষ মাশির হোসেন হিরু। অথচ ইতিহাসের এই মহানায়ক আজ আমাদের স্মৃতি থেকে প্রায় মুছে যেতে বসেছেন।
‘বিস্মৃতি থেকে স্মৃতিতে’ নিছক কোনো স্মারকগ্রন্থ নয়, এটি বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল। মুস্তাফা মজিদের সম্পাদনায় এই গ্রন্থে উঠে এসেছে মাশির হোসেন হিরুর বর্ণাঢ্য জীবন—যিনি একাধারে ছিলেন ভাষাসৈনিক, তুখোড় ছাত্রনেতা এবং আজীবন আপসহীন সাংবাদিক।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল কাসেম ফজলুল হক, ইকবাল সোবহান চৌধুরীর মতো প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বদের কলমে ফুটে এসেছে হিরু ভাইয়ের কর্মময় জীবন। কীভাবে তিনি ক্রীড়া সাংবাদিকতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, কীভাবে অর্থনৈতিক রিপোর্টিংয়ে তিনি ছিলেন বাতিঘর, এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর নেপথ্য ভূমিকা—সবই লিপিবদ্ধ হয়েছে এই গ্রন্থে। যারা বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বর্ণযুগ এবং ভাষা আন্দোলনের অলিগলি চিনতে চান, তাদের জন্য এই বইটি এক অমূল্য রত্নভাণ্ডার।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ [ফিচার ১: ইতিহাসের অজানা অধ্যায়] জানুন কীভাবে ১৯৫৩ সালে ঝুঁকি নিয়ে ‘একুশের গান’ প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল এবং তাতে মাশির হোসেনের দুঃসাহসিক ভূমিকা।
✅ [ফিচার ২: সাংবাদিকতার পাঠশালা] নবীন সাংবাদিকদের জন্য একটি গাইডলাইন—কীভাবে নীতি ও নিষ্ঠার সাথে সাংবাদিকতা করতে হয়, তার বাস্তব সব উদাহরণ।
✅ [ফিচার ৩: দুষ্প্রাপ্য দলিল] প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী ও সহকর্মীদের স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে তৎকালীন ঢাকা, রাজনীতি এবং সংবাদপত্রের ভেতরের খবর।
✅ [ফিচার ৪: সবার জন্য] ইতিহাসপ্রেমী, সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র, গবেষক এবং সচেতন পাঠকদের জন্য অবশ্যপাঠ্য।
সম্পাদক পরিচিতি: মুস্তাফা মজিদ একজন নিবেদিতপ্রাণ গবেষক ও লেখক, যিনি ইতিহাসের ধুলো ঝেড়ে মাশির হোসেনের মতো ব্যক্তিত্বকে পুনরায় প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করেছেন।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।



















