২০২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থান: পর্দার আড়ালের নায়কদের অজানা উপাখ্যান
২০২৪ সালের জুলাই মাস। রাজপথ তখন বারুদের মতো জ্বলছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছিল এটি কেবলই কোটা সংস্কারের আন্দোলন। কিন্তু এই আগুনের স্ফুলিঙ্গ কীভাবে দাবানলে রূপ নিয়ে দীর্ঘ পনেরো বছরের স্বৈরাচারী শাসনের মসনদ পুড়িয়ে ছাই করে দিল? এটি কি কেবলই কাকতালীয়, নাকি এর পেছনে ছিল সুনিপুণ রাজনৈতিক কৌশল?
‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল’ কোনো সাধারণ ডায়েরি নয়; এটি একটি মহাকাব্যের নেপথ্য-আখ্যান। বইটির লেখক আবিদুল ইসলাম খান কেবল ঘটনার সাক্ষী নন, বরং এই ইতিহাসের এক সক্রিয় নির্মাতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে বাড্ডার রাজপথ—প্রতিটি ধাপে কীভাবে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ উঠে এসেছে এই বইয়ে।
লেখক তুলে এনেছেন সেই রাতের গল্প, যেদিন ‘রাজাকার’ স্লোগানকে কৌশলে ‘স্বৈরাচার’ স্লোগানে রূপান্তর করা হয়েছিল। কীভাবে লন্ডন থেকে আসা দিকনির্দেশনা এবং মাঠপর্যায়ের সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তহীনতার মুহূর্তে নেওয়া দুঃসাহসিক পদক্ষেপগুলো আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল—তার প্রতিটি মুহূর্ত এখানে জীবন্ত। এটি কেবল ইতিহাস নয়, এটি শহিদের রক্ত আর যোদ্ধার ঘামে লেখা এক গোপন দলিল।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ নেপথ্যের কৌশল: জানুন কীভাবে একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে সরকার পতনের এক দফায় রূপান্তর করা হলো।
✅ ঐতিহাসিক সত্য: ‘স্বৈরাচার’ স্লোগানের জন্মকথা এবং ১৪ জুলাইয়ের সেই উত্তাল রাতের অজানা ঘটনাপ্রবাহ।
✅ লড়াইয়ের দলিল: ঢাকা মেডিকেল, ভিসি চত্বর ও বাড্ডার প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী বয়ান।
✅ রাজনৈতিক বিশ্লেষণ: আন্দোলনে তারেক রহমানের নির্দেশনা এবং ছাত্রদলের কৌশলগত অবস্থানের নির্মোহ বিশ্লেষণ।
লেখক পরিচিতি: মোঃ আবিদুল ইসলাম খান—যিনি কেবল কলম হাতে নন, লাঠি হাতেও ছিলেন সম্মুখভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এই নেতা নিজের রক্ত ঝরিয়ে, পঙ্গুত্বকে বরণ করার ঝুঁকি নিয়ে লড়েছেন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।

















