জুলাই বিপ্লব: যখন কফির টেবিলে আঁকা হলো প্রতিরোধের মানচিত্র
পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী রাহাত যখন পরিবারের চাপে আর নিজের বেকারত্ব ঘোচাতে বনশ্রীতে একটি কফি শপ খোলে, তখন সে কল্পনাও করেনি যে তার এই শৌখিন ব্যবসাটিই হয়ে উঠবে একটি ঐতিহাসিক বিপ্লবের ‘ওয়ার রুম’। আপনি কি প্রস্তুত জুলাইয়ের সেই বারুদমাখা দিনগুলোতে ফিরে যেতে, যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত ছিল অনিশ্চয়তায় ভরা?
‘ক্যাফে রেভুল্যুশন’ নিছক কোনো প্রেমের উপন্যাস নয়, এটি ২০২৪-এর জুলাই বিপ্লবের দগদগে স্মৃতির এক ফিকশনাল দলিল। রাহাত, তার জেদি জেন-জি কর্মচারী সার্জিল, বন্ধু নাবিলা-তাপসী আর নাম না জানা শত শত ছাত্র—সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় এই গল্পে।
উপন্যাসটি আপনাকে দেখাবে কীভাবে সাধারণ মানুষ পরিস্থিতির শিকার হয়ে অসাধারণ সাহসী হয়ে ওঠে। একদিকে নীলিমার সাথে রাহাতের গড়ে ওঠা এক অমীমাংসিত প্রেমের আবেশ, অন্যদিকে রাজপথে গুলিতে লুটিয়ে পড়া শিশুর আর্তনাদ। কফি মেশিনের শোঁ শোঁ আওয়াজ ছাপিয়ে যখন ভেসে আসে ‘হেলিকপ্টারের চক্কর’ আর ‘কারফিউর সাইরেন’, তখন পাঠক হিসেবে আপনিও শিউরে উঠবেন। ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের সেই শ্বাসরোধী রাতগুলো কীভাবে পার করেছে ঢাকার মানুষ? মুরাদ কিবরিয়া তার নিপুণ লেখনীতে সেই চিত্রই তুলে ধরেছেন।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ জুলাই বিপ্লবের দলিল: এটি কোনো প্রথাগত ইতিহাসের বই নয়, বরং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সাধারণ মানুষের আবেগ, ভয় ও সাহসের এক নিখুঁত চিত্রায়ন।
✅ জেন-জি বনাম মিলেনিয়াল: প্রজন্মের ব্যবধান কীভাবে এক নিমেষেই ঘুচে গিয়ে এক কাতারে দাঁড়াতে পারে, সার্জিল ও রাহাতের রসায়ন তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
✅ ইমোশনাল রোলারকোস্টার: বইটিতে আপনি পাবেন কফির আড্ডার হাস্যরস, প্রেমের স্নিগ্ধতা এবং ট্র্যাজেডির তীব্র আঘাত—যা আপনাকে কাঁদাবে এবং ভাবাবে।
✅ জীবন্ত চরিত্র: বইয়ের প্রতিটি চরিত্র—রিকশাচালক বাবুল মামা থেকে শুরু করে কর্পোরেট বন্ধু রবিন—সবাই যেন আপনার আমার চেনা। তাদের গল্প আদতে আমাদেরই গল্প।
লেখক পরিচিতি: পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হয়েও মুরাদ কিবরিয়া সংখ্যার চেয়ে শব্দের খেলায় বেশি পারদর্শী; তার আগের বইগুলোর মতো এটিও পাঠককে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আটকে রাখবে।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















