গাণিতিক প্রমাণের রহস্যভেদ ও অলিম্পিয়াড জয়ের অব্যর্থ হাতিয়ার!
মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মৌলিক পার্থক্য হলো কৌতূহল। গণিতে এই কৌতূহল মেটানোর একমাত্র উপায় হলো ‘প্রমাণ’। আপনি কি জানেন, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে শুধু উত্তর লিখলেই হয় না, দরকার হয় পোক্ত যুক্তির প্রমাণ? অথচ সঠিক গাইডলাইনের অভাবে অনেকের গণিত জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।
‘প্রমাণ করো যে...’ কোনো সাধারণ গণিতের বই নয়, এটি গাণিতিক চিন্তাশক্তির এক নতুন দুয়ার। বইটিতে কেবল সূত্র গিলিয়ে দেওয়া হয়নি, বরং শেখানো হয়েছে কীভাবে লজিকের ইট গেঁথে প্রমাণের ইমারত গড়তে হয়।
লেখকরা বইটিকে সাজিয়েছেন কন্ট্রাপজিটিভ, কন্ট্রাডিকশন, ইনডাকশন, পিজিওনহোল প্রিন্সিপাল এবং গ্রাফ থিওরির মতো রোমাঞ্চকর সব টপিক দিয়ে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ‘অপপ্রমাণ’ অধ্যায়টি—যেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে সূক্ষ্ম ভুলে একটি প্রমাণ সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যেতে পারে। যারা প্রোগ্রামিং করেন, অ্যালগোরিদম বুঝতে চান কিংবা গণিত অলিম্পিয়াডে মেডেল জয়ের স্বপ্ন দেখেন—তাদের জন্য এই বইটি একটি মশাল। সহজ ভাষায়, গল্পের ছলে গাণিতিক যুক্তির এমন উপস্থাপনা বাংলা ভাষায় বিরল।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ প্রমাণের আর্ট: লজিক, ইনডাকশন ও কন্ট্রাডিকশনের মতো টুলস ব্যবহার করে কীভাবে নিখুঁত প্রমাণ দাঁড় করাতে হয়, তা হাতে-কলমে শেখাবে এই বই।
✅ অলিম্পিয়াড প্রস্তুতি: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে যারা অংশ নিতে চান, তাদের জন্য প্রমাণ লেখা শেখার এটি এক অপরিহার্য গাইড।
✅ ভুল থেকে শিক্ষা: ‘অপপ্রমাণ’ অধ্যায়ের মাধ্যমে জানবেন প্রমাণ করতে গিয়ে আমরা সচরাচর কী কী ভুল করি এবং কীভাবে তা এড়ানো যায়।
✅ চিন্তার গভীরতা: বইটি কেবল গণিত নয়, কম্পিউটার সায়েন্স ও প্রোগ্রামিংয়ের লজিক বিল্ড-আপ করতেও সমানভাবে কার্যকরী।
লেখক পরিচিতি: তামজীদ মোর্শেদ রুবাব, মুরসালিন হাবিব ও তাহনিক নূর সামীন—তিনজনই গণিত অলিম্পিয়াডের সফল মুখ এবং বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, যাদের অভিজ্ঞতার নির্যাস এই বইটি।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















