ভবিষ্যতের আয়নায় বর্তমানের প্রতিবিম্ব: ‘রঙপ্যাথি’ এক অনবদ্য রাজনৈতিক স্যাটায়ার
ভাবুন তো এমন এক দেশের কথা, যেখানে বই পড়া বাধ্যতামূলক কিন্তু স্বাধীন চিন্তা নিষিদ্ধ! যেখানে একটা শপিং মল ভাঙার সিদ্ধান্ত কাঁপিয়ে দেয় পুরো রাষ্ট্রের ভিত্তি। ২০৩৯ সালের প্রেক্ষাপটে লেখা এই উপন্যাস আপনাকে দাঁড় করাবে এমন এক আয়নার সামনে, যেখানে আপনি দেখবেন আমাদেরই সমাজের এক বিদ্রুপাত্মক প্রতিচ্ছবি।
গল্পের পটভূমি আফ্রিকা মহাদেশের এক কাল্পনিক রাষ্ট্র ‘চুদিরফুতুরশিয়া’। দেশটির নিদাঘড়ুদ জেলায় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় শহরের একমাত্র শপিং মল ভেঙে সেখানে গড়ে তোলা হবে ‘শিল্পপল্লি’ এবং শিক্ষাব্যবস্থায় আনা হবে আমূল পরিবর্তন। সরকারের এই ‘প্রগতিশীল’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে সাধারণ জনতা। শুরু হয় এক নজিরবিহীন ট্রাইব্যুনাল।
উপন্যাসের পাতায় পাতায় উঠে আসে মেয়র, ফাইভেক, তাইঠুড, ঋগুপাঞ্চন আর ইশিন্দিয়ার মতো বিচিত্র সব চরিত্র। কেউ ক্ষমতার দালালি করছে, কেউ খুঁজছে অস্তিত্বের অর্থ, আবার কেউ বা ব্যস্ত নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে। লেখকের ভাষায় ‘স্প্যানিশ বাংলা’ গদ্যরীতিতে লেখা এই কাহিনিতে ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয় রাজনীতি, মিডিয়া আর করপোরেট দুনিয়ার ভেতরের খেলা। এটি নিছক কল্পকাহিনি নয়, বরং সময় ও সভ্যতার এক তীক্ষ্ণ ব্যবচ্ছেদ।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ অপ্রত্যাশিত প্লট: গল্পের মোড়কে মোড়কে রয়েছে এমন সব টুইস্ট, যা আপনাকে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আটকে রাখবে।
✅ চিন্তার খোরাক: রাজনীতি, উন্নয়ন আর ব্যক্তিস্বার্থের দ্বন্দ্বে পাঠক হিসেবে আপনি নতুন করে ভাবতে শিখবেন ‘প্রগতি’র আসল সংজ্ঞা কী।
✅ অনন্য লিখনশৈলী: মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়ের নিজস্ব ‘সিগনেচার স্টাইল’ বা জাদুকরী গদ্যের স্বাদ, যা বাংলা সাহিত্যে বিরল।
✅ বুদ্ধিবৃত্তিক বিনোদন: যারা গতানুগতিক প্রেমের গল্প বা থ্রিলারের বাইরে গভীর ও মননশীল স্যাটায়ার খুঁজছেন, এই বই তাদের জন্য মাস্ট-রিড।
লেখক পরিচিতি: মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয় এমন এক কথাশিল্পী, যিনি শব্দের জাদুতে পাঠকের মস্তিষ্কে ঘোর তৈরি করতে জানেন; ‘মৌনতা ক্লাব’-এর পর ‘রঙপ্যাথি’ তার সেই সক্ষমতারই আরেক চূড়ান্ত প্রমাণ।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















