মাতৃত্বের কোনো রং হয় না, আর অটিজম কোনো অভিশাপ নয়—চোখ খুলে দেওয়া এক মানবিক উপাখ্যান ‘তিতলি’
অনিচ্ছাসত্ত্বেও সংসার জীবনে পা রাখা রিমির জীবনটা ছিল বিষাদময়, কিন্তু সেই আঁধারে জোনাকির আলোর মতো তার জীবনে আসে ‘তিতলি’ । কিন্তু তিতলি আর দশটা সাধারণ শিশুর মতো নয়। সে প্রজাপতির মতো ডানা ঝাপটায়, কারো সাথে মিশতে পারে না, আবার কখনো বিস্ময়কর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয় ।
উম্মে শায়লা রুমকী রচিত ‘তিতলি’ নিছক কোনো গল্প নয়, এটি অটিজম বা এসপারজার সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুদের মনস্তত্ত্ব বোঝার এক নিখুঁত দর্পণ । গল্পে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা যখন তিতলির আচরণকে পাগলামি ভেবে তাকে দূরে ঠেলে দিতে চায়, তখন রিমি ঢাল হয়ে দাঁড়ায় ।
তিতলিকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে রিমি দ্বারস্থ হয় ‘নীল জগৎ’-এর ডাক্তার নাজমুলের । গল্পের ছলে লেখক এখানে তুলে ধরেছেন অটিজমের বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি, থেরাপি এবং পরিবারের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। এটি এমন একটি উপন্যাস যা আপনাকে হাসাবে, কাঁদাবে এবং একই সাথে অটিজম সম্পর্কে আমাদের সমাজের প্রচলিত কুসংস্কারগুলো আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ গল্পের মোড়কে সচেতনতা: কাঠখোট্টা প্রবন্ধ নয়, বরং একটি হৃদয়ছোঁয়া গল্পের মাধ্যমে অটিজম ও এসপারজার সিনড্রোম সম্পর্কে জানুন।
✅ সঠিক গাইডলাইন: অটিস্টিক শিশুর আচরণগত সমস্যা (যেমন: জিদ, চোখের যোগাযোগ না করা) মোকাবিলায় ‘এবিএ মেথড’ (ABA Method) বা আচরণ পরিবর্তন কৌশল সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
✅ কুসংস্কার মুক্তি: সমাজে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো ভেঙে কীভাবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বিশেষ শিশুদের যত্ন নিতে হয়, তা শিখবেন।
✅ অনুপ্রেরণার উৎস: যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু লালন-পালন করছেন, তাদের জন্য এই বইটি হতে পারে এক অশেষ মানসিক শক্তির উৎস ।
লেখক পরিচিতি: পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ উম্মে শায়লা রুমকী তার দীর্ঘদিনের পেশাগত অভিজ্ঞতা ও মমত্ববোধ থেকেই রচনা করেছেন এই উপন্যাস, যা বইটিকে করে তুলেছে অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ও তথ্যনির্ভর ।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।