আমরা ভাবি এই পৃথিবীর রাজা মানুষ, কিন্তু আড়ালে কলকাঠি নাড়ছে এক অদৃশ্য সাম্রাজ্য!
সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষের সাথে জীবাণুর এক অদ্ভুত সম্পর্ক। কখনো তারা মারণঘাতী শত্রু হয়ে উজাড় করে দিয়েছে জনপদ, আবার কখনো পরম বন্ধু হয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীবদের জগত সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?
‘রোগ জীবাণুর গল্প’ কোনো কাঠখোট্টা বিজ্ঞানের বই নয়। এটি একটি টাইম মেশিন, যা আপনাকে নিয়ে যাবে ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে—যখন পৃথিবীতে প্রাণের স্পন্দন শুরু হয়েছিল। লেখক সঞ্জয় মুখার্জী চাচ্চু এবং তার ভাতিজা-ভাতিজির কথোপকথনের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসের সবচেয়ে চমকপ্রদ অধ্যায়গুলো।
কলেরা মহামারি থামানোর জন্য জন স্নো-এর গোয়েন্দাগিরি, গুটিবসন্তের টিকার পেছনের রোমহর্ষক ইতিহাস, কিংবা ‘উইন্টার ইজ কামিং’-এর মতো গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে বরফগলা প্রাচীন ভাইরাসের জেগে ওঠার আশঙ্কা—সবই উঠে এসেছে গল্পের মোড়কে। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সের মতো গভীর শঙ্কার পাশাপাশি দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার গল্পও আপনাকে অবাক করবে।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ ভয় নয়, বিজ্ঞান: ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বা ফ্লু—রোগের ভয় না পেয়ে এর পেছনের বিজ্ঞান ও ইতিহাস জানলে সচেতন হওয়া সহজ হয়।
✅ গল্পের ছলে শেখা: বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো (যেমন: জুনোসিস, ফিকাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট) এত সহজ ভাষায় লেখা যে, কিশোর থেকে বৃদ্ধ—সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ে শেষ করবেন।
✅ ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতনতা: ‘সুপারবাগ’ বা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স আগামী দিনে মানবজাতির জন্য কী হুমকি নিয়ে আসছে, তা জানা প্রতিটি সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব।
✅ কিশোর উপযোগী বিজ্ঞানচর্চা: আপনার সন্তান বা ছোট ভাইবোনকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এটি একটি আদর্শ উপহার।
লেখক পরিচিতি: সঞ্জয় মুখার্জী একজন অণুজীববিজ্ঞানী ও শিক্ষক, যিনি ল্যাবরেটরির জটিল গবেষণাগুলোকে সাধারণ মানুষের ভাষায় প্রাণবন্ত করে তুলতে সিদ্ধহস্ত। তার আগের বই ‘গল্পে গল্পে অণুজীব আবিষ্কার’-এর সফল সিক্যুয়েল হিসেবে এই বইটি বিজ্ঞানের পাঠকের ক্ষুধা মেটাবে নিশ্চিতভাবে।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।