পোশাক পরিকল্পনার নন্দন-বীক্ষণ: মঞ্চে চরিত্র নির্মাণের নেপথ্য কারিগরি
অভিনয়শিল্পীর শরীর যদি হয় 'কায়া', তবে তার পরিধেয় পোশাক হলো 'ছায়া'। এই কায়া ও ছায়ার মিলনই মঞ্চে জন্ম দেয় এক নতুন সত্তার।
নাট্যশাস্ত্রে বর্ণিত 'আহার্যাভিনয়' বা পোশাক পরিকল্পনা কেবল শরীর ঢাকার মাধ্যম নয়, এটি চরিত্র ও সমাজের মধ্যকার এক নান্দনিক সম্পর্ক। কিন্তু কীভাবে একটি সাধারণ কাপড় হয়ে ওঠে রাজার আভিজাত্য কিংবা চণ্ডালের আর্তনাদ? কীভাবে রঙের ব্যবহার বদলে দেয় একটি দৃশ্যের মনস্তত্ত্ব?
‘পোশাক পরিকল্পনার নন্দন-বীক্ষণ’ বইটি বাংলাদেশের নাট্যচর্চার ইতিহাসে একটি বিরল ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দলিল। বইটিতে প্রাচীন ভারতীয় মার্গনাট্য থেকে শুরু করে বাংলার লোকনাট্য, রবীন্দ্রনাট্য এবং পাশ্চাত্যের আধুনিক ইবসেনীয় বা এক্সপ্রেশনিস্ট নাট্য—প্রতিটি ধারায় পোশাকের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। শুধু তাত্ত্বিক আলোচনাই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ’ বিভাগের বিভিন্ন প্রযোজনার (যেমন: মধ্যমব্যায়োগ, বেহুলার ভাসান, এ ডল’স হাউস) অরিজিনাল স্কেচ, কালার প্যালেট এবং প্রায়োগিক অভিজ্ঞতার আলোকে বইটি সাজানো হয়েছে।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ তত্ত্ব ও প্রয়োগের মেলবন্ধন: বইটি কেবল থিওরি কপচায়নি, বরং প্রতিটি অধ্যায়ে কালার স্কেচ ও চার্ট-সহ হাতে-কলমে পোশাক পরিকল্পনার পদ্ধতি দেখিয়েছে।
✅ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংশ্লেষ: ভারতীয় নাট্যশাস্ত্রের 'রসতত্ত্ব' থেকে শুরু করে পাশ্চাত্যের 'রিয়েলিজম' ও 'ডিজাইন প্রিন্সিপাল'—সবই এক মলাটে।
✅ ব্যবহারিক কেস স্টাডি: 'বেহুলার ভাসান' বা 'সাজাহান'-এর মতো নাটকে কীভাবে তাৎক্ষণিক উদ্ভাবন (Improvisation) দিয়ে পোশাক তৈরি করা যায়, তার বাস্তব অভিজ্ঞতা।
✅ নাট্যকর্মী ও শিক্ষার্থীদের পাথেয়: যারা থিয়েটার চর্চা করেন, নাট্যকলা নিয়ে পড়েন বা ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে আগ্রহী—তাদের জন্য এটি একটি অবশ্যপাঠ্য গাইডবুক।
লেখক পরিচিতি: বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও পোশাক পরিকল্পক ওয়াহীদা মল্লিক এবং প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার শাহমান মৈশানের সম্মিলিত প্রজ্ঞা ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফসল এই বই।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।