তথাকথিত ‘ভালো ছাত্র’ হওয়ার ইঁদুর দৌড় থেকে মুক্তি এবং প্রকৃত গবেষক হয়ে ওঠার দিকনির্দেশনা
ছোটবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয়—‘ভালো ছাত্র’ মানেই জিপিএ ফাইভ পাওয়া রোবট। কিন্তু নিউটনের সূত্র মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় উগড়ে দেওয়াই কি শিক্ষা? নাকি সেই সূত্র দিয়ে নিজের জগৎটাকে চেনা? আপনি কি জানেন, আপনার বা আপনার সন্তানের এই ‘রেজাল্ট সর্বস্ব’ চিন্তাভাবনাই আসলে ধ্বংস করে দিচ্ছে প্রকৃত মেধার বিকাশ?
অনুপম দেবাশীষ রায় তার ‘স্কুল মানে আড্ডাখানা’ বইটিতে আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার গলদগুলো আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি বুঝিয়েছেন, স্কুল কোনো জেলখানা নয়, স্কুল হওয়া উচিত ‘বুরশেনশাফট’ বা আড্ডাখানা—যেখানে ছাত্ররা একে অপরের শিক্ষক হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে শিখবে।
লেখক কেবল সমস্যার কথা বলেই থেমে যাননি, দেখিয়েছেন সমাধানের পথও। কীভাবে একজন স্কুলপড়ুয়া ছাত্রও মাধ্যমিক পর্যায় থেকে গবেষণাপত্র বা রিসার্চ পেপার লিখতে পারে, তার হাতে-কলমে উদাহরণ দিয়েছেন এই বইতে। এই বইটি আপনাকে শেখাবে কীভাবে অন্যের নোট মুখস্থ না করে নিজের চিন্তাকে শান দিতে হয়।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ মুখস্থনির্ভরতা বনাম গবেষণা: পাঠ্যবইয়ের তোতাপাখি না হয়ে কীভাবে প্রকৃত গবেষণাধর্মী শিক্ষা অর্জন করা যায় তার রোডম্যাপ।
✅ রিসার্চ পেপার গাইডলাইন: মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে থেকেই কীভাবে আন্তর্জাতিক মানের রিসার্চ পেপার লেখা শুরু করবেন, তার বাস্তব উদাহরণসহ নির্দেশনা।
✅ ‘আই অ্যাম জিপিএ ফাইভ’ সিনড্রোম: জিপিএ ফাইভ সংস্কৃতির নেপথ্যের মানসিক চাপ, হীনম্মন্যতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায়।
✅ অভিভাবকদের জন্য বার্তা: সন্তানের সফলতার চেয়ে সুখ কেন বেশি জরুরি—সে বিষয়ে বাবা-মায়েদের প্রতি একটি বিশেষ খোলা চিঠি।
লেখক পরিচিতি: যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক এবং ‘মুক্তিফোরাম’-এর সম্পাদক অনুপম দেবাশীষ রায় তার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বইটি লিখেছেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বদলানোর প্রত্যয়ে।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।