পুরুষতন্ত্রের শিকড় সন্ধানে এক দুঃসাহসী বুদ্ধিবৃত্তিক অভিযান
নারী মানেই কি কেবল ভিক্টিম? আর পুরুষ মানেই কি শোষক? প্রচলিত সমাজভাবনায় এই সমীকরণটি এতটাই গেঁথে গেছে যে, এর পেছনের মূল কারণগুলো আমরা তলিয়ে দেখার সুযোগ পাই না। কিন্তু আপনি যদি স্রোতের বিপরীতে গিয়ে নারীমুক্তির প্রকৃত দর্শন বুঝতে চান, তবে আপনাকে তাকাতে হবে সমস্যার গভীরে।
‘পুরুষতন্ত্র ও নারী’ গতানুগতিক কোনো ফেমিনিস্ট ম্যানিফেস্টো নয়। লেখকদ্বয় ফরিদা আখতার এবং ফরহাদ মজহার এখানে দেখিয়েছেন, নারী ও পুরুষের প্রাকৃতিক ভিন্নতা থাকাটা স্বাভাবিক, কিন্তু সেই ভিন্নতাকে পুঁজি করে যে ‘বিভেদ’ ও ‘বৈষম্য’ তৈরি করা হয়—তার শিকড় প্রোথিত আছে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থায়।
বইটিতে কার্ল মার্কস, এঙ্গেলস থেকে শুরু করে ভ্লাদিমির লেনিন ও মারিয়া মিসের তত্ত্বের আলোকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে পুরুষতন্ত্রকে। কেন পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা পুরুষতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখে? উৎপাদন সম্পর্কের সঙ্গে নারীর অবস্থানের যোগসূত্র কোথায়? এই বই তাত্ত্বিক যুক্তির ধারালো অস্ত্র দিয়ে ব্যবচ্ছেদ করেছে সমাজকে। এটি কেবল সমস্যার কথা বলে না, বরং নারী ও পুরুষের সহাবস্থানে একটি ইনসাফপূর্ণ সমাজ গড়ার পথ দেখায়।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ গভীর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: বইটিতে নারী প্রশ্নকে আবেগ দিয়ে নয়, বরং ইতিহাস, অর্থনীতি ও দর্শনের শক্ত ভিত্তিতে বিচার করা হয়েছে।
✅ ভ্রান্ত ধারণা নিরসন: ‘পুরুষ বনাম নারী’—এই অহেতুক যুদ্ধের বদলে বইটি ‘পুরুষতন্ত্র’ নামক সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়ার রসদ জোগাবে।
✅ তৃণমূলের অভিজ্ঞতা: লেখকদ্বয় কেবল তাত্ত্বিক নন, উবিনীগ ও নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার মাধ্যমে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছেন, যার প্রতিফলন এই বইয়ে স্পষ্ট।
✅ মননশীল পাঠকের খোরাক: যারা জেন্ডার স্টাডিজ, সমাজবিজ্ঞান কিংবা রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি একটি অবশ্যপাঠ্য রেফারেন্স বুক।
লেখক পরিচিতি: বাংলাদেশের চিন্তাজগতে ফরিদা আখতার ও ফরহাদ মজহার—দুজনই স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। তাঁদের যৌথ গবেষণা ও দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল এই বই।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।

















