আমাদের জীবনে ইন্টারনেট এখন অক্সিজেনের মতো। শুধু মোবাইলে চ্যাট বা সোশ্যাল মিডিয়া না, এখন কেনাকাটা, অনলাইন ক্লাস, সরকারি সার্ভিস, ব্যাংকিং থেকে শুরু করে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট— সবই নির্ভর করে ইন্টারনেটের উপর। দেশের হাজার কোটি টাকার ব্যবসা চলে এই ইন্টারনেটের ভরসায়, বিলিয়ন টাকা ট্রান্সফার হয় এর উপর দিয়ে। এর অর্থ হচ্ছে, ইন্টারনেট একটা বিশাল ইকোসিস্টেম। এত বড় সিস্টেম শুধুমাত্র মানুষ দিয়ে চালানো নিতান্তই অসম্ভব।
বিশ্বব্যাপী এই বিশাল ‘লাইভ’ নেটওয়ার্ককে প্রতি সেকেন্ডে চালু রাখার জন্য এত নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার পাওয়া দুষ্কর। এর পাশাপাশি এই পেশায় ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স একটা বড় চ্যালেঞ্জ। গুগল, ফেসবুক, নেটফ্লিক্স, ডাটা সেন্টার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের প্রতি মুহূর্তের সার্ভিস চালু রাখতে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারদের থাকতে হয় প্রচণ্ড চাপে।
উপায় কী? কোম্পানিগুলো এখন দক্ষতা বাড়াতে নেটওয়ার্ক অটোমেশনের দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারদের জীবনটা কেমন যাচ্ছে, সেদিকে কেউ তাকাচ্ছে না। তাই এই বই লেখা হয়েছে দুটো কাজকে মাথায় রেখে— একদিকে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনাকে আরও দক্ষ করা, অন্যদিকে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারদের জীবনকে সহজ করা।