নারীবাদ কি কেবল স্লোগান, নাকি বেঁচে থাকার অনিবার্য লড়াই?
“আমি নারীর সমান অধিকারে বিশ্বাসী, কিন্তু আমি নারীবাদী নই”—এই কথাটি আমাদের সমাজে খুবই পরিচিত। নারীবাদ শব্দটিকে ঘিরে থাকা ভীতি, বিভ্রান্তি এবং সামাজিক ট্যাবু অনেক সচেতন মানুষকেও পিছিয়ে রাখে। কিন্তু কেন এই পিছুটান?
ফাতেমা সুলতানা শুভ্রার ‘আমি কি নারীবাদী’ বইটি কোনো প্রথাগত তাত্ত্বিক আলোচনা নয়। এটি লেখকের বেড়ে ওঠা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল দিন এবং দীর্ঘ একাডেমিক গবেষণার এক অসামান্য সংকলন। লেখক এখানে প্রশ্ন তুলেছেন—নারীবাদ কি শুধুই পশ্চিমা ধারণা, নাকি আমাদের মা-খালাদের প্রতিদিনের লড়াইয়ের নাম?
বইটিতে উঠে এসেছে ধর্ষণ সংস্কৃতির ভয়াবহতা, ‘সতী’ নারীর মিথ এবং সাক্ষ্য আইনের অমানবিক দিকগুলো। লেখকের সাবলীল গদ্য এবং ক্ষুরধার যুক্তি পাঠককে বাধ্য করবে নিজের অবস্থান নিয়ে নতুন করে ভাবতে। এটি কেবল নারীদের জন্য নয়, বরং লিঙ্গবৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাওয়া প্রতিটি মানুষের জন্য একটি অবশ্যপাঠ্য বই।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ ট্যাবু ভাঙার হাতিয়ার: নারীবাদ নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ও ‘গালি’ হিসেবে এর ব্যবহারের পেছনের মনস্তত্ত্ব উন্মোচন।
✅ বাস্তব অভিজ্ঞতা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বয়ান।
✅ গবেষণালব্ধ সত্য: ধর্ষণ ও বিচারব্যবস্থায় নারীর ‘চরিত্র’ বা ‘সতীত্ব’ নিয়ে সমাজের দ্বিমুখী আচরণের সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।
✅ সবার জন্য: যারা জেন্ডার স্টাডিজ বুঝতে চান এবং যারা নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে চান—উভয়ের জন্যই এটি একটি গাইডবুক।
লেখক পরিচিতি: ফাতেমা সুলতানা শুভ্রা একাধারে একজন সমাজবিজ্ঞানী এবং এক্টিভিস্ট, যিনি নারীর প্রতি সহিংসতা ও জেন্ডার রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাঠপর্যায়ে ও একাডেমিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















