প্রথাগত চিন্তার শিকল ভেঙে বেরিয়ে আসার এক দুঃসাহসী বুদ্ধিবৃত্তিক ইশতেহার
আপনি কি কখনো ভেবেছেন, কেন বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা বারবার শূন্য থেকে শুরু করতে চাই? কেন আমাদের রাজনীতি, সমাজচিন্তা এবং ভাষাগত দক্ষতা একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে যেতে পারে না? উত্তরটা হয়তো আমাদের ‘মিডিয়োক্রিটি’ বা মাঝারি মানের হয়ে থাকার প্রবণতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে। এই অস্বস্তিকর সত্যটি মেনে নেওয়া কঠিন, কিন্তু জরুরি।
ফাহাম আব্দুস সালামের ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ কোনো গতানুগতিক প্রবন্ধের বই নয়। এটি বাঙালির মনস্তত্ত্বের এক নির্মোহ অপারেশন। লেখক এখানে প্রচলিত দেশপ্রেম, শাহবাগ আন্দোলন, ভাষাগত গোঁড়ামি, এবং ‘উইল ডু’ জেনারেশনের মতো বিষয়গুলোকে ব্যবচ্ছেদ করেছেন তীক্ষ্ণ যুক্তি দিয়ে। বিজ্ঞানচর্চায় ইংরেজি ভাষার প্রয়োজনীয়তা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের আস্তিক-নাস্তিক বাইনারি—প্রতিটি বিষয়ে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি আপনাকে চমকে দেবে।
বইটিতে লেখক ধ্বংস ও সৃষ্টির পার্থক্য বুঝিয়েছেন, দেখিয়েছেন কীভাবে আমরা আবেগের বশবর্তী হয়ে যুক্তির পথ রুদ্ধ করি। ‘পিতা কন্যাকে’ অধ্যায়ে তিনি আগামী প্রজন্মের জন্য যে বার্তা দিয়েছেন, তা প্রতিটি সচেতন অভিভাবকের হৃদয়ে দাগ কাটবে। এটি এমন একটি বই যা আপনাকে রাগাতে পারে, তর্কে লিপ্ত করতে পারে, কিন্তু দিনশেষে আপনাকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ চিন্তার নতুন দিগন্ত: বইটি আপনাকে শেখাবে কীভাবে ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ না হয়েও সত্য কথাটি বলতে হয়।
✅ ভাষা ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক: বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা নাকি ইংরেজি মাধ্যম—এই বিতর্কে লেখকের বিজ্ঞানসম্মত ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ আপনার ধারণা বদলে দেবে।
✅ সামাজিক মনস্তত্ত্ব: বাংলাদেশের নব্য ধনিক শ্রেণি বা ‘উইল ডু’ জেনারেশনের মনস্তত্ত্ব এবং লাইফস্টাইল নিয়ে এক অসামান্য বিশ্লেষণ।
✅ ভাবুক ও তরুণদের জন্য: যারা প্রচলিত ন্যারেটিভের বাইরে গিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রকে বুঝতে চান, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যপাঠ্য।
লেখক পরিচিতি: ফাহাম আব্দুস সালাম কেবল একজন লেখক নন, তিনি একজন বায়োমেডিক্যাল গবেষক ও চিন্তক। তার লেখা আবেগের চেয়ে যুক্তির ওপর বেশি নির্ভরশীল, যা বাংলা সাহিত্যে বিরল।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















