উন্নয়নের মিথ বনাম রূঢ় বাস্তবতা: অর্থনীতির ৫০ বছরের নির্ভীক ব্যবচ্ছেদ
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ কি আসলেই ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র অপবাদ ঘুচিয়ে উন্নয়নের রোল মডেল হতে পেরেছে? নাকি জিডিপির জাদুকরী সংখ্যার আড়ালে লুকিয়ে আছে বৈষম্য আর লুটপাটের এক ভয়াবহ ক্ষত? এই প্রশ্নগুলো কি আপনাকে ভাবায়?
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব রচিত ‘বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর’ কোনো সাধারণ অর্থনীতির পাঠ্যবই নয়। এটি একটি সাহসিক দলিল। ১৯৭২ সালের যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি থেকে শুরু করে বর্তমানের ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ হয়ে ওঠার যাত্রাপথ এতে নিখুঁতভাবে আঁকা হয়েছে। লেখক এখানে তত্ত্বের ভারে পাঠককে বিভ্রান্ত করেননি; বরং পরিসংখ্যান ও ডেটার সঠিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে উন্মোচন করেছেন আমাদের অর্থনীতির সবল ও দুর্বল দিকগুলো।
বঙ্গবন্ধুর আমলের সমাজতান্ত্রিক ভাবনা, জিয়ার মুক্তবাজার অর্থনীতি, এরশাদের অনুন্নয়ন কাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের মেগা প্রজেক্ট ও ব্যাংকিং খাতের অরাজকতা—কোনো কিছুই লেখকের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এড়ায়নি। রেমিট্যান্স ও গার্মেন্টসের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অর্থনীতির মেরুদণ্ড কতটা শক্ত, আর কতটা ভঙ্গুর—তা বুঝতে এই বইটি আপনাকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ সহজবোধ্য বিশ্লেষণ: অর্থনীতিবিদ না হয়েও কীভাবে দেশের অর্থনীতির নাড়িনক্ষত্র বুঝবেন, তার সেরা উদাহরণ এই বই।
✅ শাসনামল ভিত্তিক পর্যালোচনা: গত ৫০ বছরে কোন সরকারের সময় অর্থনীতি কেমন ছিল এবং বর্তমানের সংকটগুলোর শিকড় কোথায়, তা জানবেন তথ্য-উপাত্তসহ।
✅ লুটপাটের খতিয়ান: ব্যাংক কেলেঙ্কারি, রিজার্ভ চুরি, অর্থ পাচার এবং খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি কীভাবে গড়ে উঠল, তার দালিলিক প্রমাণ পাবেন।
✅ ভবিষ্যৎ ভাবনা: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ কোন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং তা মোকাবিলার উপায় কী—তা নিয়ে রয়েছে দিকনির্দেশনা।
লেখক পরিচিতি: টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক লেখক ও গবেষক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব তার নিরপেক্ষ ও তথ্যনির্ভর লেখনীর জন্য ইতিমধ্যেই সচেতন পাঠকসমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।




















