বিপন্ন জনপদ ও ধুঁকতে থাকা প্রাণ-প্রকৃতি: উন্নয়নের নামে আমরা কি আত্মহননের পথে?
চকচকে ফ্লাইওভার আর উন্নয়নের জোয়ারে আমরা প্রায়ই ভুলে যাই—আমাদের শ্বাস নেয়ার বাতাস আজ ভারী, পান করার পানি বিষাক্ত। আপনি কি জানেন, উন্নয়নের নামে আমরা যে পরিবেশগত ঋণ তৈরি করছি, তার চড়া সুদ দিতে হবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে?
‘বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য’ গতানুগতিক কোনো পরিবেশ বিষয়ক বই নয়; এটি বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন মডেলের ওপর একটি সার্জিক্যাল অপারেশন। লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব তথ্য-উপাত্ত ও গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখিয়েছেন কীভাবে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, ভারতের পানি আগ্রাসন এবং আমাদের অব্যবস্থাপনা দেশকে এক ভয়াবহ পরিবেশগত বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বইটিতে সুন্দরবনের ওপর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব থেকে শুরু করে ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মেডিকেল বর্জ্যের ঝুঁকি, এবং তিস্তা ও গঙ্গার পানিবণ্টন রাজনীতির মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো উঠে এসেছে। লেখক কেবল হতাশার চিত্র আঁকেননি, বরং টেকসই উন্নয়নের (Sustainable Development) নিরিখে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নদী রক্ষা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপও প্রদান করেছেন।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ গভীর বিশ্লেষণ: সুন্দরবন বিনাশ, নদী দূষণ এবং ভারতের পানি আগ্রাসনের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর ক্ষুরধার বিশ্লেষণ ও সত্য উদঘাটন।
✅ সচেতনতা ও সমাধান: প্লাস্টিক দূষণ, ই-বর্জ্য এবং মেডিকেল বর্জ্য কীভাবে আমাদের খাদ্যচক্রে বিষ ঢুকাচ্ছে তা জানা এবং এর থেকে বাঁচার উপায়।
✅ পলিসি লেভেল ডিসকাশন: ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, ব্লু-ইকোনমি এবং আন্তঃসীমান্ত নদী রাজনীতির জটিল সমীকরণগুলো সহজ ভাষায় বোঝা।
✅ সবার জন্য অপরিহার্য: আপনি নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী কিংবা সচেতন নাগরিক—যেই হোন না কেন, নিজের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই এই বইটি আপনার পড়া দরকার।
লেখক পরিচিতি: ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ’ খ্যাত বেস্টসেলার লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, যিনি আবেগের চেয়ে ডাটা এবং যুক্তির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের উন্নয়ন দর্শনকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস রাখেন।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















