ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: বন্ধুত্বের আড়ালে অসম বাণিজ্যের হাড়হিম করা বাস্তবতা
‘বন্ধু রাষ্ট্র’—শব্দটি শুনলে চোখের সামনে ভেসে ওঠার কথা পারস্পরিক সহযোগিতা আর সম্মানের ছবি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা কি তাই? নাকি বন্ধুত্বের মোড়কে আমরা দিনের পর দিন মেনে নিয়েছি একপাক্ষিক দাদাগিরি আর অর্থনৈতিক শোষণ?
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব তাঁর ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বইটিতে সাহসের সাথে হাত দিয়েছেন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সবচেয়ে স্পর্শকাতর ক্ষতগুলোতে। ট্রানজিট ও করিডরের নামে ভারতের সামরিক ও নিরাপত্তা সুবিধা নিশ্চিত হলেও, বাংলাদেশ কেন তার ন্যায্য হিস্যা পায় না—সেই প্রশ্ন তিনি তুলেছেন কড়া ভাষায়। সীমান্তে ফেলানীর লাশ ঝুলে থাকার পরেও কেন আমাদের নতজানু থাকতে হয়, তা তিনি দেখিয়েছেন যুক্তির আয়নায়।
বইটিতে কেবল সমস্যার কথা নয়, উঠে এসেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাও। কীভাবে তরুণ প্রজন্ম আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মেনে নেবে না, কীভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় মর্যাদাপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব—তার এক সুস্পষ্ট রোডম্যাপ এই বই। এটি কেবল একটি বই নয়, এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার বুদ্ধিবৃত্তিক দলিল।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ ট্রানজিট বনাম নিরাপত্তা: জানুন কীভাবে বাণিজ্যের নামে ভারত মূলত তাদের সামরিক ও নিরাপত্তা করিডর নিশ্চিত করছে।
✅ অসম অর্থনীতির খতিয়ান: পানির ন্যায্য হিস্যা, বাণিজ্য ঘাটতি এবং একপাক্ষিক চুক্তির ভয়াবহ অর্থনৈতিক প্রভাবের দালিলিক প্রমাণ।
✅ রাজনীতির ল্যাবরেটরি: বাংলাদেশের নির্বাচন ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের নগ্ন হস্তক্ষেপের নেপথ্য কাহিনি।
✅ জুলাই স্পিরিট ও আগামীর বাংলাদেশ: তরুণ প্রজন্মের চোখে কেমন হওয়া উচিত আগামীর পররাষ্ট্রনীতি—তার দিকনির্দেশনা।
লেখক পরিচিতি: জনপ্রিয় কলামিস্ট ও পলিসি এনালিস্ট ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, যিনি ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব’ ও ‘উন্নয়ন বিভ্রম’-এর মতো বেস্টসেলার বই লিখে চিন্তাশীল পাঠকের আস্থা অর্জন করেছেন।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।














