বাংলা কবিতার সনাতন কাঠামো গুঁড়িয়ে দেওয়া এক লড়াকু আখ্যান
আপনি কি সেই পাঠকদের একজন, যারা বিশ্বাস করেন কবিতা মানেই কেবল প্রেম, প্রকৃতি আর বিলাসিতা নয়? আপনি কি কবিতার ভেতরে নিজের অস্তিত্ব, রাজনীতি আর মাটির প্রকৃত ঘ্রাণ খুঁজছেন? যদি উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে গতানুগতিক বাংলা কবিতার ভিড়ে ‘এলা হি বরষা’ আপনার জন্য এক বড় ধাক্কা—এবং অবশ্যই ইতিবাচক।
সাখাওয়াত টিপু কেবল একজন কবি নন, তিনি ভাষার ভেতর বাস করা এক বিদ্রোহী সত্তা। ‘এলা হি বরষা’ কোনো সাধারণ কবিতার বই নয়। এখানে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বাংলা কবিতার ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকারকে। রবীন্দ্রনাথ-পরবর্তী বাংলা সাহিত্য যে ‘বিস্তীর্ণ পঙ্কশয্যা’ আর ‘বিজাতীয় আধুনিকতা’র ভার বয়ে বেড়াচ্ছে, টিপু সেই ভার নামিয়ে ফেলার স্পর্ধা দেখিয়েছেন।
বইটিতে কবি দেখিয়েছেন কীভাবে ভাষা নিজেই একটি জাতিসত্তা হয়ে ওঠে। মার্কস, ফ্রয়েড থেকে শুরু করে গ্রামীণ কেত্তন—সবই একাকার হয়ে গেছে তাঁর পঙক্তিতে। ফরাসি শিল্পী লুক-ফ্রাঁসোয়া গ্রানিয়ে’র আঁকা প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ বইটিকে দিয়েছে এক আন্তর্জাতিক মাত্রা। আর বইয়ের শেষাংশে যুক্ত হয়েছে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ সলিমুল্লাহ খানের তোলপাড় করা প্রবন্ধ ‘এলা হি বরষা: বঙ্গের জাতীয় ভরসা’, যা এই কাব্যগ্রন্থের তাত্ত্বিক ভিত্তি ও গুরুত্বকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ চিন্তার পুনর্গঠন: তথাকথিত ‘ভদ্রলোকী’ সাহিত্যের বাইরে গিয়ে বাংলা কবিতার ‘জাতীয়’ রূপটি চিনে নিতে সাহায্য করবে।
✅ সলিমুল্লাহ খানের বিশ্লেষণ: বইটিতে যুক্ত আছে সলিমুল্লাহ খানের একটি মাস্টারপিস প্রবন্ধ, যা কবিতার রাজনীতি বুঝতে আপনাকে নতুন দৃষ্টি দেবে।
✅ আন্তর্জাতিক মানের শিল্পকর্ম: বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ করেছেন বিখ্যাত ফরাসি শিল্পী লুক-ফ্রাঁসোয়া গ্রানিয়ে, যা সংগ্রহে রাখার মতো।
✅ প্রথাবিরোধী ভাষাভঙ্গি: ছন্দের গজফিতা আর ব্যাকরণের শাসন অমান্য করে যারা ‘অপর ভাষা’র স্বাদ পেতে চান, তাদের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য।
লেখক পরিচিতি: সাখাওয়াত টিপু গত দুই দশক ধরে বাংলা কবিতায় এক স্বতন্ত্র স্বর। ‘ইতল বিতল’, ‘নভেরার রূপ’ কিংবা ‘কার্ল মার্কসের ধর্ম’র মতো কাজের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি স্রোতে গা ভাসাতে আসেননি।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















