ভোট, বিপ্লব আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক শ্বাসরুদ্ধকর ল্যাবরেটরি
আপনি কি জানেন, আপনি কাকে ভোট দেবেন কিংবা আগামীকাল রাজপথে নামবেন কি না, তা আপনার অজান্তেই কোনো এক সুপার কম্পিউটার প্রেডিক্ট করে ফেলেছে? ২০০১ সালে নিউইয়র্কের এক আকাশচুম্বী ভবনে শাহরিয়ার ও রাশাদ যে স্বপ্নের বীজ বুনেছিলেন, তা আজ ‘কল্যাণী’ নামের এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI-তে রূপ নিয়েছে। লক্ষ্য ছিল ডাটা দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা।
কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠ যে এত ভয়ংকর হতে পারে, তা কে জানত? শাহরিয়ার, ভিয়া, ব্রায়ান আর হৃদি—একদল জিনিয়াস ডাটা সায়েন্টিস্টের হাত ধরে এই উপন্যাস আপনাকে নিয়ে যাবে তথ্যের এক গোপন দুনিয়ায়। যেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়া থেকে শুরু করে শাহবাগ আন্দোলন, শাপলা চত্বরের ঘটনা, এমনকি ২০১৮ ও ২০২৫-এর ছাত্র আন্দোলনের নিখুঁত পূর্বাভাস দিচ্ছে একটি মেশিন! এটি নিছক কোনো গল্প নয়; এটি ‘সার্ভিল্যান্স ক্যাপিটালিজম’ বা নজরদারির পুঁজিবাদের যুগে আমাদের বিপন্ন স্বাধীনতার এক দালিলিক ফিকশন। প্রযুক্তির এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জিতবে—মানুষের স্বাধীন সত্তা নাকি কোডের জটিল বিন্যাস?
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ ভবিষ্যতের আয়না: ছাত্র আন্দোলন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাস কীভাবে ডাটা সায়েন্স দিয়ে পাওয়া সম্ভব, তার লোমহর্ষক বর্ণনা।
✅ টেকনো-পলিটিক্যাল থ্রিলার: যারা রাজনীতি এবং প্রযুক্তি—উভয় জগতেই আগ্রহী, তাদের জন্য এটি একটি পারফেক্ট ব্লেন্ড। ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ ও ‘মাইন্ড হ্যাকিং’-এর নেপথ্য কৌশলগুলো জানলে আপনি শিউরে উঠবেন।
✅ বাস্তবতার সাথে ফিকশনের মেলবন্ধন: গল্পের প্রতিটি মোড়ে আপনি বাংলাদেশের সমসাময়িক ইতিহাসের ছায়া দেখতে পাবেন, যা আপনাকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে।
✅ সচেতনতার হাতিয়ার: সোশ্যাল মিডিয়া অ্যালগরিদম কীভাবে আমাদের ব্রেনওয়াশ করে এবং কীভাবে এর থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন, তার পরোক্ষ গাইডলাইন।
লেখক পরিচিতি: রকিবুল হাসান—যিনি শুধু লেখক নন, একাধারে সিগনাল ইনটেলিজেন্স ও পলিসি রিসার্চের একজন ঝানু ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। তার অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকেই উঠে এসেছে এই অসামান্য উপাখ্যান।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















