বিষণ্ণতা কোনো বিলাসিতা নয়, এটি একটি নিরাময়যোগ্য অসুখ—জানুন মুক্তির উপায়
আমরা শরীরের অসুখ হলে ডাক্তার দেখাই, কিন্তু মনের অসুখকে বলি ‘বিলাসিতা’ বা ‘ঢং’। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি রোগগুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে এই বিষণ্ণতা । আপনি কি জানেন, আপনার প্রিয় মানুষটির অকারণে রেগে যাওয়া, নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া বা ঘুমের সমস্যা—এগুলো আসলে তার সাহায্যের নীরব চিৎকার হতে পারে?
‘ওভারকামিং ডিপ্রেশন’ নিছক কোনো মোটিভেশনাল বই নয়; এটি একজন অভিজ্ঞ সাইকিয়াট্রিস্টের লেখা বিজ্ঞানসম্মত নির্দেশিকা। বইটিতে লেখক ডা. সাঈদুল আশরাফ কুশল অত্যন্ত সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন সাধারণ মন খারাপ এবং ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের পার্থক্য । মঈন সাহেবের পরিবারের মতো বাস্তব কেস স্টাডির মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে বিষণ্ণতা একটি সাজানো সংসারকে তছনছ করে দিতে পারে এবং সেখান থেকে উত্তরণের উপায় কী ।
ওষুধ কখন প্রয়োজন, আর কখন শুধু কাউন্সেলিং বা কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (CBT)-তেই কাজ হবে—এই চিরচেনা বিভ্রান্তি দূর করতে বইটি আপনাকে সঠিক পথ দেখাবে । নিজের নেতিবাচক চিন্তার প্যাটার্ন ভাঙা থেকে শুরু করে আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ—মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিটি স্পর্শকাতর বিষয়ে এখানে রয়েছে ডাক্তারি পরামর্শ ।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ লক্ষণ শনাক্তকরণ: আপনার বা প্রিয়জনের সমস্যাটি কি শুধুই সাময়িক মন খারাপ, নাকি চিকিৎসার প্রয়োজন—তা নিজেই যাচাই করতে পারবেন ।
✅ চিকিৎসা পদ্ধতি: অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধের কার্যকারিতা এবং ভুল ধারণাগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন ।
✅ জীবনমুখী সমাধান: ওষুধ ছাড়া বিষণ্ণতা কমাতে ঘুম, খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের সঠিক রুটিন তৈরি করতে শিখবেন ।
✅ মনস্তাত্ত্বিক কৌশল: নেতিবাচক চিন্তা দূর করার জন্য ‘কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি’ ও ‘মাইন্ডফুলনেস’-এর মতো কার্যকরী কৌশলগুলো ঘরে বসেই চর্চা করতে পারবেন ।
লেখক পরিচিতি: ডা. সাঈদুল আশরাফ কুশল দেশের একজন অগ্রগামী সাইকিয়াট্রিস্ট এবং লাইফস্প্রিং ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা। মানসিক স্বাস্থ্যকে সহজ ও বোধগম্য ভাষায় মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার এক অনন্য কারিগর তিনি।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।




















