সমাজ, সংসার আর রাজনীতির অন্দরমহলের এক আয়না—যেখানে আপনি নিজেকেই খুঁজে পাবেন!
আপনি কি এমন কোনো পরিবারের কথা শুনেছেন যেখানে সবাই ‘পাগল’? মিরপুরের এক মধ্যবিত্ত পরিবার, যেখানে দাদা মতিন উদ্দিন নিজের জন্মতারিখ জানেন না কিন্তু সুচিত্রা সেনের প্রেমে মগ্ন, আর বাবা শফিক টিভির পর্দায় ‘জাতীয় ডিম বীর’ বা ‘মশার বয়াম’ নিয়ে অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটান! আপাতদৃষ্টিতে হাসির গল্প মনে হলেও, এর গভীরে লুকিয়ে আছে আমাদের সময়ের এক করুণ বাস্তবতা।
‘পালিয়ে যাবার পরে’ নিছক কোনো গল্প নয়, এটি আমাদের সমসাময়িক জীবনের এক স্যাটায়ার। সাংবাদিক শফিক সত্য বলতে চেয়েছিলেন, চেয়েছিলেন মানুষকে আসল টেলিভিশন দেখাতে। কিন্তু তার এই পাগলামি বা সাহসিকতা তাকে দাঁড় করিয়ে দেয় ক্ষমতার মুখোমুখি। চাকরি হারিয়ে, হুমকির মুখে পড়ে তাকে পাড়ি দিতে হয় আমেরিকায়—নাগরিকত্বহীন এক অনিশ্চিত জীবনে।
লেখক আশীফ এন্তাজ রবি অত্যন্ত নিপুণভাবে দেখিয়েছেন, কীভাবে একটি সাজানো সংসার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে। একদিকে শফিকের প্রবাসে রাজমিস্ত্রির কাজ করে টিকে থাকার লড়াই, অন্যদিকে দেশে ফেলে যাওয়া স্ত্রী ফাহমিদা আর মেয়ে টুশকির অপেক্ষা। গল্পের প্রতিটি বাঁকে আপনি পাবেন হাসির খোরাক, কিন্তু শেষটায় যখন পৌঁছাবেন, তখন বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠবে এক অব্যক্ত যন্ত্রণায়।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ তীক্ষ্ণ সমাজলিপি: টিভির টকশো, মিডিয়ার ভণ্ডামি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে এমন সাহসী রম্য সচরাচর চোখে পড়ে না।
✅ হাসি ও কান্নার রোলারকcoaster: দাদা মতিন উদ্দিনের ফিলোসফি আপনাকে যেমন হাসাবে, শফিকের পরিণতি আপনাকে তেমনই কাঁদাবে।
✅ ভিন্নধর্মী ন্যারেটিভ: টুশকি, ফাহমিদা, আব্বাস ভাই কিংবা মতিন উদ্দিন—ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের জবানবন্দিতে পুরো গল্পটি এক সিনেমাটিক আবহে ফুটে উঠেছে।
✅ বাস্তববাদী চরিত্র: বইয়ের চরিত্রগুলো এতই জীবন্ত যে মনে হবে এরা আপনার পাশের ফ্ল্যাটেই থাকে।
লেখক পরিচিতি: বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কথাশিল্পী আশীফ এন্তাজ রবি। তার লেখনীতে জাদু আছে—যিনি অনায়াসেই সিরিয়াস বিষয়কে রম্যের মোড়কে পরিবেশন করতে পারেন। ‘পালিয়ে যাবার পরে’ তার সেই জাদুকরী ক্ষমতারই এক উজ্জ্বল স্বাক্ষর।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















