কবি আল মাহমুদের গদ্যশৈলীতে নির্মিত এক জাদুকরী বাস্তবতার জগৎ
একজন শিকারি যখন পাখির বুকে গুলি চালায়, সে কি কেবল একটি পাখি মারে, নাকি নিজের অবদমিত কামনারই রক্তপাত ঘটায়? আল মাহমুদের কলমে গল্প কেবল গল্প থাকে না, তা হয়ে ওঠে জীবন ও প্রকৃতির এক নিগূঢ় বোঝাপড়া।
‘পানকৌড়ির রক্ত’ আল মাহমুদের প্রথম এবং সম্ভবত সবচেয়ে আলোচিত গল্পগ্রন্থ। এই বইয়ের প্রতিটি গল্পে—হোক তা নামগল্প ‘পানকৌড়ির রক্ত’, কিংবা ‘জলবেশ্যা’, ‘কালো নৌকা’ বা ‘রোকনের স্বপ্নদোলা’—লেখক মানুষের মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা আদিম প্রবৃত্তিগুলোকে তুলে এনেছেন। বিলের কাদা, নদীর জল, আর মানুষের শরীরের ঘাম ও রক্তের গন্ধ এই বইয়ের পাতায় পাতায় মিশে আছে।
গল্পগুলোতে লেখক দেখিয়েছেন গ্রামীণ জীবনের এমন এক রূপ, যা একইসাথে রূঢ় ও সুন্দর। একজন কবির হাতে গদ্য যখন প্রাণ পায়, তখন তা কতটা চিত্রল ও ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য হতে পারে, এই বইটি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে নারীর শরীর, প্রকৃতির রূপ আর পুরুষের মনস্তত্ত্ব একাকার হয়ে এক ঘোরলাগা আবহের সৃষ্টি করে।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ চিরায়ত ক্লাসিক: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ছোটগল্পের ধারায় এটি একটি মাইলফলক গ্রন্থ, যা একজন সিরিয়াস পাঠকের সংগ্রহে থাকা আবশ্যিক।
✅ মনস্তাত্ত্বিক গভীরতা: গল্পগুলোতে মানুষের অবচেতন মনের কামনা-বাসনা ও ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ত্বের যে খেলা লেখক দেখিয়েছেন, তা আপনাকে ভাবাবে।
✅ কাব্যিক গদ্য: আল মাহমুদ মূলত কবি, তাই তার গল্পের ভাষায় রয়েছে এক জাদুকরী লিরিক্যাল ফ্লো, যা পাঠের সময় এক অনন্য আবেশ তৈরি করে।
✅ গ্রামবাংলার অকৃত্রিম চিত্র: হাওর-বাঁওড়, নদী ও জেলে জীবনের এমন নিখুঁত ও জীবন্ত বর্ণনা খুব কম কথাসাহিত্যেই পাওয়া যায়।
লেখক পরিচিতি: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি ও কথাসাহিত্যিক আল মাহমুদ, যিনি ‘সোনালী কাবিন’-এর মতো কালজয়ী সৃষ্টির স্রষ্টা। তার হাতেই মাটি ও মানুষের ভাষা পেয়েছে এক অনন্য উচ্চতা।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















