নিছক স্মৃতিচারণ নয়, এটি একজন স্বপ্নবাজ তরুণের নিজেকে খুঁজে পাওয়ার মানচিত্র
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসা এক তরুণের সম্বল কেবল একবুক স্বপ্ন আর বই পড়ার অদম্য নেশা । প্রকৌশল বিদ্যার কঠিন সমীকরণ, হলের নতুন জীবন আর অচেনা শহরের ভিড়ে সে কি হারিয়ে যাবে? নাকি বইয়ের জগৎ তাকে দেখাবে নতুন পথ?
মুনির হাসানের ‘পড়ো পড়ো পড়ো’ কোনো প্রথাগত আত্মজীবনী নয়; লেখক নিজেই একে বলছেন ‘আত্মানুসন্ধানের কাহিনি’ । এটি বুয়েটের আহসানউল্লাহ হলের চারদেয়াল, টিএসসির আড্ডা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির দিনগুলি এবং ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি-ম্যাথের জগতের বাইরের এক মুগ্ধকর আখ্যান ।
লেখক এখানে অকপটে তুলে ধরেছেন তার নিজেকে গড়ার গল্প—যেখানে ‘পড়া’ কেবল পরীক্ষার জন্য নয়, বরং নিজেকে চেনার হাতিয়ার। বাদল ভাইয়ের সেই অমোঘ মন্ত্র “ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি আর ম্যাথ” থেকে শুরু করে হলের রুমমেটদের খুনসুটি—প্রতিটি ছত্রে মিশে আছে তারুণ্যের স্পন্দন । বইটি আপনাকে মনে করিয়ে দেবে, জীবনের পরীক্ষায় পাস করার জন্য পাঠ্যবইয়ের বাইরের জগতটা চেনা কতটা জরুরি।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ বুয়েট ক্যাম্পাসের অন্দরমহল: আহসানউল্লাহ হলের ডাইনিং থেকে শুরু করে সিট পাওয়ার সংগ্রাম ও হলের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার জীবন্ত ও রসবোধপূর্ণ বর্ণনা ।
✅ আত্মউন্নয়নের অনুপ্রেরণা: পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে কীভাবে নিজের ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাশক্তি গড়ে তোলা যায়, তার প্র্যাকটিক্যাল উদাহরণ ।
✅ নস্টালজিক ভ্রমণ: ছাত্রজীবনের বিভ্রান্তি, বন্ধুত্ব, মফস্বল থেকে শহরে মানিয়ে নেওয়ার সংগ্রাম—যা প্রতিটি পাঠকের নিজের গল্পের সাথে মিলে যাবে ।
✅ যাদের জন্য এই বই: যারা ছাত্র, যারা বই ভালোবাসেন, কিংবা যারা তারুণ্যের সেই সোনালি দিনগুলোকে ফিরে পেতে চান—তাদের সবার জন্য এটি মাস্ট-রিড ।
লেখক পরিচিতি: গণিত অলিম্পিয়াডের স্বপ্নদ্রষ্টা ও বিজ্ঞান আন্দোলনের পথিকৃৎ মুনির হাসানের কলমে উঠে এসেছে তারুণ্যের সেই সোনালি দিনগুলোর কথা, যা আজকের প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখার সাহস জোগাবে [cover image info]।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।














