রকেট সায়েন্স এখন পানির মতো সহজ—চলুন যাই গ্র্যাভিটিকে ছাড়িয়ে!
আপনি কি জানেন, ৪০০০ বছর আগে এক কাঠের তৈরি কবুতর ছিল ইতিহাসের প্রথম রকেট? কিংবা মহাকাশযানের জটিল ডকিং পদ্ধতি শেখা যায় সুপারশপে ট্রলি ঠেলার অভিজ্ঞতা থেকে? যদি ভাবেন রকেট সায়েন্স কেবল বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীদের জন্য, তবে এই বইটি আপনার ধারণা আমূল বদলে দেবে।
‘রকেটস: গ্র্যাভিটিকে ছাড়িয়ে’ কেবল একটি বই নয়, এটি একটি টাইম মেশিন। অ্যান ড্রোজড ও জেরজি ড্রোজডের অনবদ্য সৃষ্টি এবং ইশতিয়াক হোসেন চৌধুরীর সাবলীল রূপান্তরে এই গ্রাফিক নভেলটি আপনাকে নিয়ে যাবে বিজ্ঞানের এক রঙিন ভুবনে। এখানে লুইস নামের এক পায়রা এবং তার বন্ধুরা আপনাকে গল্পে গল্পে শেখাবে রকেটের নিউটনিয়ান ফিজিক্স, তরল জ্বালানির রসায়ন এবং মহাকাশভ্রমণের রোমাঞ্চকর ইতিহাস।
প্রাচীন আতশবাজি থেকে শুরু করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভি-২ রকেট, স্নায়ুযুদ্ধের স্পেস রেস, অ্যাপোলো মিশন হয়ে আজকের স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন ৯—রকেট প্রযুক্তির প্রতিটি ধাপ এখানে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। কোনো একঘেয়ে থিওরি নয়, বরং চোখের সামনে ভেসে ওঠা রঙিন চিত্রের মাধ্যমেই আপনি বুঝে যাবেন কীভাবে মানুষ অভিকর্ষের মায়া কাটিয়ে পাড়ি জমিয়েছে অসীম শূন্যতায়।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ দৃশ্যমান বিজ্ঞান শিক্ষা: হাজার শব্দের বর্ণনার চেয়ে একটি কমিক্স প্যানেল অনেক বেশি শক্তিশালী। জটিল পদার্থবিজ্ঞান এখানে পানির মতো সহজ।
✅ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ: আর্কিটাসের বাষ্পচালিত পাখি থেকে শুরু করে ইলন মাস্কের মঙ্গল অভিযানের স্বপ্ন—রকেটের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সব এক মলাটে।
✅ সবার জন্য বিজ্ঞান: বইটি ছোটদের জন্য লেখা হলেও, এর গভীরতা এবং তথ্যের ভাণ্ডার বড়দেরও সমানভাবে মুগ্ধ করবে। সায়েন্স ফিকশন বা মহাকাশপ্রেমীদের জন্য এটি এক জাদুকরী উপহার।
✅ নির্ভুল ও প্রাঞ্জল রূপান্তর: পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র এবং নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে কর্মরত ইশতিয়াক হোসেন চৌধুরীর নিপুণ অনুবাদে বিজ্ঞানের পরিভাষাগুলো হয়ে উঠেছে সহজবোধ্য।
লেখক পরিচিতি: মূল লেখক অ্যান ও জেরজি ড্রোজড এবং রূপান্তরক ইশতিয়াক হোসেন চৌধুরী—যিনি নিজে একজন পদার্থবিদ এবং বিজ্ঞান লেখক; তার হাত ধরেই এই বিশ্বমানের কন্টেন্টটি এখন বাংলা ভাষায়।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















